ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর বিওপি–সংলগ্ন হুদাপাড়া এলাকায় ইছামতী নদীতে এক বাংলাদেশি যুবকের লাশ ভেসে ওঠে। লাশটি ভারতের সীমানার মধ্যে ছিল। গতকাল শুক্রবার রাতে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) লাশটি নিয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় হুদাপাড়া এলাকার ইছামতী নদীতে একটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন বাংলাদেশি কৃষকেরা। পরে স্থানীয় লোকজন সেখানে গিয়ে নিশ্চিত হন, মৃতদেহটি ভারতের অংশে রয়েছে। তাঁরা বিষয়টি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) জানালে বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটিকে ভারতীয় অংশে পড়ে থাকতে দেখেন।

নিহতের লাশ পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার ধানতলা থানার হাবাসপুর এলাকায় নদীতে ভেসে ওঠে বলে জানা গেছে। বিষয়টি জানার পর বিজিবি বিএসএফকে জানায়। রাত ১০টার দিকে বিএসএফ সদস্যরা মৃতদেহটি নদী থেকে নিয়ে যান।

মহেশপুর উপজেলার নেপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুল আলম বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছেন, মৃতদেহটি বাংলাদেশি এক যুবকের। তবে তাঁর পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। স্থানীয়ভাবে শোনা যাচ্ছে, লাশটি উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা ওয়াসিম আলীর হতে পারে। ওয়াসিম কয়েক দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। তবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হতে পারে।

বিজিবি-৫৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, মৃতদেহটি নদীর ভারতীয় অংশে ছিল বলে শুনেছেন। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ বা দাবি নিয়ে আসেননি। বিএসএফের পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তাঁরা বিএসএফের পক্ষ থেকে তথ্য জানার অপেক্ষায় রয়েছেন।
কয়েক দিন আগে ওয়াসিমসহ কয়েকজন অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন। তখন বিএসএফ তাঁদের ধাওয়া করে। অন্যরা পালিয়ে দেশে ফিরলেও ওয়াসিমের আর খোঁজ মেলেনি। ধারণা করা হচ্ছে, ওয়াসিম বিএসএফের হাতে ধরা পড়েছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এসএফ র

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী

অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়।  ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়। 

আরো পড়ুন:

কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির

অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প

বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।

বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী