রানআউটের হ্যাটট্রিকে দিল্লি-জয় মুম্বাইয়ের
Published: 13th, April 2025 GMT
২ ওভারে ৩ উইকেট হাতে নিয়ে দরকার ২৩ রান। মু্ম্বাই ইন্ডিয়ানসের যশপ্রীত বুমরার করা ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে টানা দুই বাউন্ডারি মেরে প্রয়োজনটাকে ৯ বলে ১৫ রান বানিয়ে ফেললেন দিল্লি ক্যাপিটালসের আশুতোষ শর্মা।
কিন্তু এরপর জয়টা দুরস্তই হয়ে রইল দিল্লির জন্য। এরপর অবিশ্বাস্যভাবে টানা তিন বলে তিনটি রানআউট করে ওই ওভারেই ম্যাচটি জিতে দিল্লি-জয় করে ফেলল মুম্বাই।
২০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি অলআউট ১৯৩ রানে। ১২ রানের এই হারে পাঁচে পাঁচ জয় হলো না দিল্লির। অন্যদিকে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ষষ্ঠ ম্যাচে পেল দ্বিতীয় জয়।
১৯তম মুম্বাইয়ের রানআউটের উৎসবে প্রথম কাটা পড়েন আশুতোষ। বুমরার ইয়র্কারটাকে পয়েন্টে ঠেলে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে বিপদে পড়েন আশুতোষ। উইল জ্যাকসের থ্রো ধরে তাঁকে রানআউট করে দেন উইকেটকিপার রায়ান রিকেলটন।
পরের বলটাকে ডিপ মিডউইকেটে পাঠিয়ে ২ রান নিতে গিয়ে রানআউট কুলদীপ যাদব। এবার বদলি ফিল্ডার রাজ বাওয়ার থ্রো ধরে উইকেট ভাঙেন রিকেলটন।
রানআউটের হ্যাটট্রিক বলটায় রিকেলটনকে আর গ্লাভস গলাতে দেননি মিচেল স্যান্টনার। মিড অন থেকে সরাসরি থ্রোতে ননস্ট্রাইকিং প্রান্তে উইকেট ভেঙে ১ রান নিতে যাওয়া মোহিত শর্মাকে আউট করে দেন মিচেল স্যান্টনার।
দারুণ থ্রোতে মোহিতকে রানআউট করা স্যান্টনার এর আগে বোল্ড করেছেন দিল্লির ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরার করুণ নায়ারকে। ৪০ বলে ৫ ছক্কায় ৮৯ রান করে নায়ার যখন ফিরলেন দিল্লির স্কোর ১৩৫/৩। এরপর ৫০ বলে ৭১ রান দরকার ছিল দলটির। সেটি আর হলো না।
এর আগে মুম্বাইয়ের হয়ে ৩৩ বলে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন তিলক বর্মা। এ ছাড়া সূর্যকুমার যাদব ২৮ বলে ৪০, রায়ান রিকেলটন ২৫ বলে ৪১ ও নমন ধীর ১৭ বলে ৩৮ রান করেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা
লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’
বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়। যতটুকুই করি, আমার মেয়ে ও হাজব্যান্ড ওরাই বলে। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’
পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।
২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।