ক্রসবারে মেসির দুই ফ্রি কক, অফসাইডে বাতিল সুয়ারেজের গোল
Published: 14th, April 2025 GMT
২০২৩ সালে ইন্টার মায়ামিতে যোগদানের পর এবারই প্রথম শিকাগোতে খেলতে গিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে দেখতে শিকাগো ফায়ারের স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন রেকর্ড ৬২ হাজার ৩৫৮ দর্শক।
ম্যাড়ম্যাড়ে প্রথমার্ধে মেসি এবং তার দল মায়ামি পারেনি নিজেদের মেলে ধরতে। দ্বিতীয়ার্ধে মেসি সুযোগ তৈরি করেছিলেন। ফ্রি কিকে দারুণ শটও নিয়েছিলেন। কিন্তু ক্রসবারের বাধায় গোল পাননি। এছাড়া লুইস সুয়ারেজ গোল করেছিলেন। কিন্তু অফসাইডে বাতিল হয়ে যায় গোল। তাতে গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ হয় মায়ামি ও শিকাগোর ম্যাচ।
টানা দুই ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়ে মেসির মায়ামি কিছুটা ব্যাকফুটে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ওঠার সুযোগ হারালেন তারা। ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট তালিকায় চার নম্বরে আছে মায়ামি। ৭ ম্যাচে ৪ জয় ও ৩ ড্রয়ে মায়ামির পয়েন্ট ১৫। ৮ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে কলম্বাস।
এই ম্যাচের তিন মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। কিন্তু বক্সের বাইরে থেকে তার নেওয়া শট আঙুল ছুঁয়ে ফিরিয়ে দেন গোল রক্ষক ক্রিস ব্রাডি। প্রথমার্ধে এরপর তেমন জোরাল আক্রমণ হয়নি। দুই দলের ফরোয়ার্ডরাই ছিলেন নিষ্প্রভ। তাতে গোলশূন্যভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৬৩ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক পায় মায়ামি। মেসির নেওয়া শট প্রতিহত হয় ক্রসবারে। এরপর ম্যাচের শেষ লগ্নে ৮৫ মিনিটে আরেকটি ফ্রি কিক পায় মায়ামি। এবারও মেসির শট ক্রসবারের বাধায় জালে জড়ায়নি। শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মায়ামি ও মেসিকে।
একেবারে শেষ সময়ে মেসির বাড়ানো পাসে জাল খুঁজে পান সুয়ারেজ। কিন্তু অফসাইডে তার গোল বাতিল করেন রেফারি। তাতে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হয় দুই দলকে।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক রসব র প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা
লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’
বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়। যতটুকুই করি, আমার মেয়ে ও হাজব্যান্ড ওরাই বলে। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’
পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।
২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।