নববর্ষেও হল খোলার দাবিতে কুয়েট শিক্ষার্থীদের অবস্থান
Published: 14th, April 2025 GMT
হল খুলে দেওয়ার দাবিতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রশাসন ভবনের সামনে ২৪ ঘণ্টা ধরে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা। হল না খোলা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থানের সিদ্ধান্তে অনঢ়। এদিকে একাডেমিক কার্যক্রম ও হল খোলার বিষয়সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজ সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, হল খুলে দেওয়ার দাবিতে গতকাল রোববার বিকেল ৩ টায় তারা প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন। রাতেও তারা সেখানে ছিলেন। এছাড়া নববর্ষের দিনেও তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনেই অবস্থান করছেন।
তারা জানান, সোমবার বেলা ১১টার দিকে ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের দপ্তরের সহকারী পরিচালক রাজু আহম্মদ তাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার্থীদের চলে যেতে অনুরোধ জানান। তবে হল খুলে না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকজন শিক্ষার্থী মাদুর পেতে সেখানে অবস্থান করছেন। প্রশাসনিক ভবনের সামনে তাদের ব্যবহার্য কাপড় রোদে শুকাতে দেওয়া আছে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, রোববার রাতে তারা ২২ জন প্রশাসন ভবনের সামনে ছিলেন। কিন্তু তাদেরকে এই ভবনের শৌচাগার ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন একাডেমিক ভবনের শৌচাগারে যেতে হচ্ছে।
এদিকে ‘কুয়েট ১৯’ নামের একটি ফেসবুক পেজে কুয়েটের শিক্ষার্থীরা সারাদেশের শিক্ষার্থীদের একাত্ম হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে বিরোধের জেরে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে শতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সভায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম ও হলগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এক ড ম ক ক ভবন র হল খ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’