শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ব্র্যান্ডে কাজের সুযোগ
Published: 15th, April 2025 GMT
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট কর্মসূচির উদ্যোগ নেয় উদ্ভাবনী ব্র্যান্ড হুয়াওয়ে। সদ্য স্নাতক শেষ করা শিক্ষার্থীরা যেন বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা মাত্রই উজ্জ্বল পেশাজীবন পান, সেটাই ছিল আয়োজনের মূল লক্ষ্য বলে জানায় উদ্যোক্তারা।
চুয়েটের কয়েকটি বিভাগ থেকে প্রায় তিনশ শিক্ষার্থী কর্মসূচিতে অংশ নেয়। যার মধ্যে ছিল বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ সেশন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা উদ্ভাবনী ব্র্যান্ডে সরাসরি কাজের সুযোগ পাবেন। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে মো.
হুয়াওয়ে ব্র্যান্ডের এইচআর ডিরেক্টর লিনজিয়াও বলেন, নিয়মিত ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্টের মাধ্যমে আমরা নতুন স্নাতকের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি করছি, যেন তারা দেশের প্রযুক্তিগত মানোন্নয়নে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে। নতুন গ্র্যাজুয়েট ও অভিজ্ঞতার পরিবার ও সমন্বয়টা জরুরি। সদ্য স্নাতকরা নিত্যনতুন ধারণা নিয়ে কাজ করতে পারে। চুয়েটে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী রয়েছে, যাদের নিজেদের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করতে পেরেছি।
কর্মসূচি প্রসঙ্গে সহযোগী অধ্যাপক ড. মেহেদী হাসান চৌধুরী বলেন, ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট আমাদের শিক্ষার্থীরা আইসিটিতে বিশ্বের সেরা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযোগে মূল্যবান প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে। উদ্যোক্তা প্রযুক্তি ব্র্যান্ড শিল্পখাতের চাহিদা পূরণে তাদের আরও বেশি সম্যক ধারণা দেওয়ার সঙ্গে ক্যারিয়ার গড়ার দারুণ সুযোগ দিয়েছে।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ বলেন, যদি আইসিটি ও টেলিকম খাতের সেরা নির্মাতার প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ পাই, তাহলে দারুণভাবে ক্যারিয়ারের সূচনা হবে। সিনিয়রদের কাছে শুনেছি, পারফরম্যান্সই হুয়াওয়ে ব্র্যান্ডের চালিকাশক্তি। কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে অনুপ্রাণিত। বৃদ্ধিবৃত্তিক ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ে তাই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
হুয়াওয়ে ব্র্যান্ডের সিনিয়র এইচআর ম্যানেজার মো. ফারা নেওয়াজ, এইচআর ম্যানেজার ওমর হায়দার মাসফিক আহমেদ ও অ্যাসিস্টেন্ট এইচআর ম্যানেজার মো. খালিদ হোসেন, চুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. মেহেদী হাসান চৌধুরী সরাসরি কর্মসূচিতে অংশ নেন। উদ্ভাবনী ব্র্যান্ড হুয়াওয়ে বেশিরভাগ কর্মীকে স্থানীয় জনবল থেকে নিয়োগ দেয়। তারা শুধু বাংলাদেশ নয়, বরং বিশ্বের অন্যসব দপ্তরেও বিশেষ দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালন করছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি