সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির ২ শীর্ষ নেতাসহ ৫ জনকে বহিষ্কার
Published: 15th, April 2025 GMT
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান লেবু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান রঞ্জন, এনায়েতপুর থানা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব শঙ্কর রহমান শঙ্কু সিকদারসহ আট নেতাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান লেবু, যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুল হাসান রঞ্জন, এনায়েতপুর থানা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব শঙ্কর রহমান শঙ্কু সিকদার, সাবেক সদস্য নজরুল ইসলাম লেবু, আতাউর রহমান আতাস, আনিছুর রহমান আনিছ, এনায়েতপুর থানার ২নম্বর সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মিঠু ও সাবেক সদস্য সচিব আবুল কালাম সিকদার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপরোক্ত নেতারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা হিসেবে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, হয়রানি, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল।
প্রসঙ্গত, গত ৫ এপ্রিল জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর বিভিন্ন অভিযোগের কারণে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান লেবু, যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুল হাসান রঞ্জনকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করা হয়।
ঢাকা/অদিত্য/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স র জগঞ জ জ ল স ব ক সদস য ব এনপ র স র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।