মস্তিষ্ক ভালো রাখতে বাদামের সঙ্গে খাবেন কোন খাবার
Published: 16th, April 2025 GMT
বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে নানা ধরনের বড় রোগের ঝুঁকি কমে। মস্তিষ্ক ভালো রাখতে, স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও বাদাম খাওয়া উপকারী । তবে বাদামের সঙ্গে কিছু খাবার খেলে মস্তিষ্ক আরও সতেজ হবে। যেমন-
১. বাদামের সঙ্গে ডার্ক চকোলেট খেতে পারেন। ডার্ক চকোলেট প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যাফেইন থাকায় স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বাদামের সঙ্গে এটি মিশিয়ে খেলে শরীরের ভিটামিন ইয়ের ঘাটতিও পূরণ হয়।
২.
৩. দই ও বাদাম একসঙ্গে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। এটি খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। দইয়ে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক থাকায় এটি অন্ত্রের জন্য খুব ভালো। আর মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও ভালো কাজ করে। দই আর বাদাম খাওয়া খুব ভালো। কারণ এতে ভিটামিন ই থাকে।
৪.ওটস ও বাদাম একসঙ্গে খান। এতে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ থাকে। তাছাড়াও থাকে ফাইবার। আর বাদামে ভিটামিন ই, ওমেগা ৩ থাকে। যা মস্তিষ্ক আরও সতেজ করতে সাহায্য করে।
৫. নিয়মিত আখরোট ও বাদাম একসঙ্গে খাওয়া খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়তে থাকবে। এতে প্রচুর পরিমাণে ডিএইচএ থাকে। যা এক ধরনের ওমেগা । এটি মস্তিষ্কের জন্য খুব ভালো।
৬. পালংশাক ও বাদাম একসঙ্গে খেলে ত্বক-অন্ত্র সবই ভালো থাকবে। সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তি বাড়বে। কারণ পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। এই উপাদান মানসিক চাপ কমাতে খুব সাহায্য করে। তাছাড়া, বাদামে ভিটামিন ই থাকায় মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
৭. হলুদ ও বাদাম একসঙ্গে খেতে পারেন। হলুদের প্রচুর পরিমাণে কারকিউমিন থাকে। অন্যদিকে বাদামে ভিটামিন ই, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এসব উপিাদান স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।
৮. মস্তিষ্ক ভালো রাখতে বাদামও ডিম একসঙ্গে খেতে পারেন । এতে স্মৃতিশক্তি বাড়ার পাশাপাশি মানসিক চাপও কমবে। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি ই থাকে।
৯. গ্রিন টি ও বাদাম একসঙ্গে খেলে আপনার মানসিক চাপ কমবে। যদি রাতে এই দুটি উপাদান একসঙ্গে খান তাহলে ভালো ঘুমাতেও পারবেন।
১০. কলা ও বাদাম একসঙ্গে খাওয়া খুব ভালো। কলাতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, পটাশিয়াম থাকায় এটি মস্তিষ্ক ভালো রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে মানসিক চাপ কমে। বাদামে থাকা ভিটামিন ই ত্বকের জন্য খুব ভালো।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ও ব দ ম একসঙ গ র জন য খ ব স হ য য কর
এছাড়াও পড়ুন:
জামের সঙ্গে খাবেন না যেসব খাবার
বাজারে এখন জাম পাওয়া যাচ্ছে । মিষ্টি ও রসালো স্বাদের এই ফলটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। এই ফলের নানা উপাদান রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে । এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফাইবার রয়েছে, পেট পরিষ্কার করে এবং পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে । জাম রক্ত পরিষ্কার করে এবং মুখে উজ্জ্বলতা আনে । এতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এত গুণ থাকা সত্ত্বেও এই ফল খাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কিছু খাবার আছে যা দিয়ে জাম খাওয়া ঠিক নয়। যেমন-
মিষ্টি: আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে,জাম খাওয়ার পরপরই ভুল করেও মিষ্টি খাওয়া উচিত নয় । এই দুই খাবারের মধ্যে কমপক্ষে আধ ঘণ্টার ব্যবধান থাকা উচিত । তা না হলে হজমজনিত সমস্যা হতে পারে ।
পানি: অন্যান্য রসালো ফলের মতো, জাম খাওয়ার পর পরই পানি পান করা ঠিক নয় । এতে হজম প্রক্রিয়া খারাপ হতে পারে । যার ফলে পেট ফাঁপা, গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আচার: জাম টক-মিষ্টি স্বাদের একটি ফল । আর আচার প্রায় সম্পূর্ণ টক । তাই, জাম এবং আচার কখনই একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয় । দুটি একসঙ্গে খেলে বুক জ্বালাপোড়া, গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং বদহজমের মতো সমস্যা হতে পারে ।
দুধ: জাম খাওয়ার আগে বা পরে কখনই দুধ খাওয়া ঠিক নয়। উভয়েরই ঠান্ডা প্রভাব রয়েছে । এ কারণে দুটি খাবার একসঙ্গে খাওয়ার ফলে বদহজম, গ্যাস, অ্যাসিডিটি হতে পারে । যদি আপনি দুটি খাবারই খেতে চান তাহলে কমপক্ষে আধ ঘণ্টার ব্যবধান রাখা উচিত।