বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে নানা ধরনের বড় রোগের ঝুঁকি কমে। মস্তিষ্ক ভালো রাখতে, স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও বাদাম খাওয়া উপকারী । তবে বাদামের সঙ্গে কিছু খাবার খেলে মস্তিষ্ক আরও সতেজ হবে। যেমন-

১. বাদামের সঙ্গে ডার্ক চকোলেট খেতে পারেন। ডার্ক চকোলেট প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যাফেইন থাকায় স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বাদামের সঙ্গে এটি মিশিয়ে খেলে শরীরের ভিটামিন ইয়ের ঘাটতিও পূরণ হয়।

২.

ব্লুবেরি ও বাদাম (আমন্ড) একসঙ্গে খেলে মস্তিষ্ক আরও সতেজ করবে। এই খাবার খেলে স্মৃতিশক্তিও বাড়বে। কারণ ব্লুবেরিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্থোসায়ানিন থাকে, তাছাড়াও বাদামে ভিটামিন ই থাকে।  এসব উপাদান মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে। 

৩. দই ও বাদাম একসঙ্গে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। এটি খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। দইয়ে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক থাকায় এটি অন্ত্রের জন্য খুব ভালো। আর মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও ভালো কাজ করে। দই আর বাদাম খাওয়া খুব ভালো। কারণ এতে ভিটামিন ই থাকে। 

৪.ওটস ও বাদাম একসঙ্গে খান। এতে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ থাকে। তাছাড়াও থাকে ফাইবার। আর বাদামে ভিটামিন ই, ওমেগা ৩ থাকে। যা মস্তিষ্ক আরও সতেজ করতে সাহায্য করে।

৫. নিয়মিত আখরোট ও বাদাম একসঙ্গে খাওয়া খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়তে থাকবে। এতে প্রচুর পরিমাণে ডিএইচএ থাকে। যা এক ধরনের ওমেগা । এটি মস্তিষ্কের জন্য খুব ভালো। 

৬. পালংশাক ও বাদাম একসঙ্গে খেলে ত্বক-অন্ত্র সবই ভালো থাকবে। সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তি বাড়বে। কারণ পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। এই উপাদান মানসিক চাপ কমাতে খুব সাহায্য করে। তাছাড়া, বাদামে ভিটামিন ই থাকায় মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। 

৭.  হলুদ ও বাদাম একসঙ্গে খেতে পারেন। হলুদের প্রচুর পরিমাণে কারকিউমিন থাকে। অন্যদিকে বাদামে ভিটামিন ই, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এসব উপিাদান স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে। 

৮. মস্তিষ্ক ভালো রাখতে বাদামও ডিম একসঙ্গে খেতে পারেন । এতে স্মৃতিশক্তি বাড়ার পাশাপাশি মানসিক চাপও কমবে। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি ই থাকে। 

৯. গ্রিন টি ও বাদাম একসঙ্গে খেলে আপনার মানসিক চাপ কমবে। যদি রাতে এই দুটি উপাদান একসঙ্গে খান তাহলে ভালো ঘুমাতেও পারবেন। 

১০. কলা ও বাদাম একসঙ্গে খাওয়া খুব ভালো। কলাতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, পটাশিয়াম থাকায় এটি মস্তিষ্ক ভালো রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে মানসিক চাপ কমে। বাদামে থাকা ভিটামিন ই ত্বকের জন্য খুব ভালো।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ও ব দ ম একসঙ গ র জন য খ ব স হ য য কর

এছাড়াও পড়ুন:

একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল

একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।

ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।

আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগে

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাগদানের গুঞ্জনের মাঝে হুমার রহস্যময় পোস্ট
  • যে ১০ কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বেশি ঝগড়া হয়
  • স্মার্ট সিটি হবে চট্টগ্রাম, একসঙ্গে কাজ করবে গ্রামীণফোন-চসিক
  • অনলাইন জীবন আমাদের আসল সম্পর্কগুলোকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে
  • তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন
  • প্রেমিকের সঙ্গে বাগদান সারলেন হুমা কুরেশি!
  • একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল