বেহাল সড়কের কারণে বিয়ে ভেঙেছে তরুণীর
Published: 16th, April 2025 GMT
দীর্ঘদিন ধরেই সংস্কার হচ্ছে না রাজবাড়ী সদরের বানীবহ ইউনিয়নের উত্তরপাড়া থেকে পশ্চিমপাড়া পর্যন্ত সড়কটি। খানাখন্দে জমে থাকা পানির কারণে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতেও বেগ পেতে হয়। এমনকি এমন বেহাল সড়কের কারণে এক তরুণীর বিয়েও সম্প্রতি ভেঙে দিয়েছে পাত্রপক্ষ।
আজ বুধবার বানীবহ উত্তরপাড়া নুরমুনমেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে বক্তারা এমন তথ্য জানিয়েছেন। সকাল ১১টার দিকে সেখানে বানীবহ ইউনিয়নবাসী আয়োজিত কর্মসূচিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, এ সড়কটির পাশেই অবস্থিত বানীবহ উত্তরপাড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা, আয়শা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসা, আননূর তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসা, ইবতেদায়ি মাদ্রাসা, উত্তরপাড়া ও পশ্চিমপাড়ার দুটি মসজিদ। দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কের সংস্কার হচ্ছে না। যে কারণে এখানে ওখানে সৃষ্ট গর্তে পানি জমে কাদা হয়ে আছে। ভাঙাচোরা অবস্থার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে বেগ পেতে হয় শিশু-কিশোরদের। জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল এখান দিয়ে একরকম অসম্ভব। সম্প্রতি এক তরুণীর বিয়েও এ রাস্তাঘাটের কারণে ভেঙে দিয়েছে পাত্রপক্ষ।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলী আকবর, উত্তরপাড়া নুরমুনমেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চারঘাটে পদ্মার ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের একজন নারী একটি ফেস্টুন হাতে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাতে লেখা ছিল ‘নদী আমাদের মা, মায়ের বুক ভাঙা চাই না।’ এ রকম আরও বিভিন্ন স্লোগান লেখা ব্যানার, ফেস্টুন হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষেরা।
জেলার চারঘাট উপজেলা সদরে নদীভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে এই মানববন্ধন হয়। জেলার চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় পদ্মার ভাঙনকবলিত পাঁচটি গ্রামের মানুষের উদ্যোগে আজ শনিবার বেলা ১১টা থেকে ১১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত এই আয়োজন হয়।
গ্রামবাসীর ভাষ্য, চারঘাট উপজেলার গোপালপুর, রাউথা, পিরোজপুর, সাহাপুর এবং বাঘা উপজেলার চক রাজাপুর, আতারপাড়া এলাকায় পদ্মা নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না করা হলে আগামীতে ভাঙনের ঝুঁকি আছে। এই আশঙ্কায় ভাঙনকবলিত গ্রামবাসী এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিলেন চারঘাটের পিরোজপুর গ্রামের শাহানাজ বেগম (৪০। তিনি বললেন, ‘আমার বাড়ি নদীর পাড়ের ওপরে ঝুলি আছে। যকুন তকুন ভাইঙ্গি পড়বি।’
একই এলাকা থেকে এসেছেন পারভীনা খাতুন (৩৫)। সঙ্গে তাঁর শিশু ও বৃদ্ধ শাশুড়িকে নিয়ে এসেছেন। তিনি জানান, নদী একেবারে পায়ের তলায় এসে গেছে। তাঁদের আর পেছনে সরার জায়গা নেই।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাইদ। তিনি বলেন, পিরোজপুর, গোপালপুর, সাহাপুর এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে নদীভাঙন অব্যাহত আছে। এলাকার অন্তত ৫০০ মানুষের ঘরবাড়ি পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এলাকার বাস্তুহারা মানুষ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছেন। তাঁরা এলাকায় ফিরতে পারছেন না। এই ভাঙনকবলিত এলাকায় এবার যদি বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা না করা হয়, তাহলে জনগণ আবার রাজপথে নামবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) অচল করে দেওয়া হবে। তাঁদের অফিস করতে দেওয়া হবে না।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাকিরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শাহীন আলী, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির রহমান, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবদুস সালেক আদিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শাহীনুর রহমান, ভাঙনকবলিত এলাকার শিক্ষক মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।