খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) কর্মচারী সমিতির উদ্যোগে উপাচার্যের সমর্থনে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের ভাস্কর্য দুর্বার বাংলার পাদদেশে ওই কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় অভিযোগ করা হয়, গত ফেব্রুয়ারিতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে আবারও কুয়েট ক্যাম্পাসে কতিপয় শিক্ষার্থী বিশৃঙ্খলা তৈরি করছেন।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাসিব সরদার। এ সময় বক্তব্য দেন সমিতির সভাপতি শেখ এরশাদ আলী, সাবেক সভাপতি ইমদাদ মোড়ল, মাস্টাররোল কর্মচারী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল হালিম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের যে এক দফা দাবি তুলেছেন, সেটা যৌক্তিক নয়। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁরা সব সময় ছিলেন, এখনো তাঁদের পাশে আছেন। সেদিন (১৮–১৯ ফেব্রুয়ারি) মার খেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর বিচারের ব্যবস্থা করছে। এখন উপাচার্য স্যারের পদত্যাগ দাবি করায় একধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে। যাঁরা প্রকৃত দোষী, তাঁরাও পার পেয়ে যেতে পারেন।’

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তারা বলেন, ‘আপনারা আলোচনার টেবিলে বসুন, আলোচনা করুন, সমাধান করুন। এই ভার্সিটি যেন সুন্দরভাবে চলে। বিশ্বের কাছে যাতে এই ভার্সিটির শিক্ষার্থীরা মাথা উঁচু করে পরিচয় দিতে পারেন।’

এদিকে উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আজ সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসের দুর্বার বাংলার পাদদেশে মশালমিছিল করার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক আহত হন। পরদিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি সব আবাসিক হল ও একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এদিকে আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার দাবিতে কুয়েটের শিক্ষার্থীরা গত রোববার বিকেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিলে আন্দোলন আবারও দানা বাঁধতে থাকে। গত সোমবার রাতে শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় দিনের মতো প্রশাসনিক ভবনের সামনে খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করেন।

শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচির মধ্যেই সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে আগামী ২ মে থেকে সব আবাসিক হল খুলে দেওয়া ও ৪ মে থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা দেন। এরপর ছেলেদের ছয়টি হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন তাঁরা। গতকাল বুধবার দুপুরে উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ওই কর্মসূচির পর উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবির বিপক্ষে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

আরও পড়ুনকুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবির বিপক্ষে মানববন্ধন, সমাবেশ১৮ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনকুয়েটে উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল১৬ এপ্রিল ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপলেন ট্রাম্প

ব্যক্তিগত সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় অস্ট্রেলীয় এক সাংবাদিককে ভর্ৎসনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি মন্তব্য করেন, ওই সাংবাদিক ‘অস্ট্রেলিয়ার ক্ষতি করছেন’।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। 

আরো পড়ুন:

লন্ডন পৌঁছেছেন ট্রাম্প

নিউইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে ১৫ বিলিয়ন ডলারের মামলা করবেন ট্রাম্প

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাজ্যে রাষ্ট্রীয় সফরে রওনা হওয়ার আগে হোয়াইট হাউজ প্রাঙ্গণে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (এবিসি) আমেরিকা বিষয়ক সম্পাদক জন লায়ন্স ট্রাম্পের কাছে জানতে চান, এ বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে তিনি কতটা ধনী হয়েছেন।

প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমি জানি না। আমার সন্তানরা ব্যবসার দেখাশোনা করে।”

এরপর ট্রাম্প যোগ করেন, “আমার মনে হয়, আপনি এখন অস্ট্রেলিয়ার অনেক ক্ষতি করছেন। অথচ তারা আমার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়।” 

তিনি আরো জানান, শিগগিরই অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের সঙ্গে তার বৈঠক হবে। এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, “আমি তাকে আপনার ব্যাপারে বলব। আপনি খুব খারাপ সুরে কথা বলেছেন।”

এরপর যখন লায়ন্স আরেকটি প্রশ্ন করার চেষ্টা করেন, ট্রাম্প ঠোঁটে আঙুল রেখে তাকে চুপ থাকার ইঙ্গিত দেন এবং এবং অন্য সাংবাদিকের দিকে এগিয়ে যান।

এ ঘটনার কিছু পরেই হোয়াইট হাউজের একটি অফিসিয়াল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টে এই কথোপকথনের ভিডিও পোস্ট করা হয়। সেখানে ক্যাপশনে লেখা হয়, “ট্রাম্প একজন অভদ্র বিদেশি ভুয়া সংবাদ পরিবেশনকারীকে উচিত শিক্ষা দিলেন।”

এদিকে, ট্রাম্পের এমন প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিক জন লায়ন্স বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার দাবি ‘হাস্যকর’। তিনি বলেন, “আমি গবেষণার ভিত্তিতে ভদ্রভাবে প্রশ্ন করেছি। এগুলো একেবারেই স্বাভাবিক সাংবাদিকতার অংশ, উসকানিমূলক নয়।”

এবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্পের ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিয়ে তাদের অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠান ফোর কর্নার্স–এর অংশ হিসেবেই লায়ন্স এসব প্রশ্ন করেছিলেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার 
  • আমার স্বামীর উপরে কু-নজর পড়েছে: অঙ্কিতা
  • প্রস্তাবিত কাঠামোয় বিশ্ববিদ্যালয় চান না সাত কলেজের শিক্ষকেরা
  • সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপলেন ট্রাম্প
  • দুর্গাপূজায় অরাজকতা রোধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান মহিলা পরিষদের
  • বন কর্মকর্তার ১৭ বিয়ে: আদালতে মামলা, তদন্তে পিবিআই
  • শিবচরে তরুণকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
  • সুনামগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান পরিবর্তনের দাবিতে ৫টি পরিবেশবাদী সংগঠনের মানববন্ধন
  • ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনী রোডম্যাপের দাবিতে মানববন্ধন
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাঁর মাকে হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন