আগামী ১ মে থেকে সারা দেশে ডিম ও মুরগি উৎপাদনকারী খামার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। দেশের পোলট্রি শিল্প সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে বলে তাদের অভিযোগ।

বিপিএ বলেছে, গত দুই মাসে ডিম ও মুরগি উৎপাদনকারী প্রান্তিক খামারিরা প্রায় ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছেন। সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচি চলবে।

আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিপিএর সভাপতি মো.

সুমন হাওলাদার এসব কথা উল্লেখ করেছেন। বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর নীরবতায় কিছু করপোরেট কোম্পানি পুরো পোলট্রিশিল্প দখলের ষড়যন্ত্রে নেমেছে।

পবিত্র রমজান ও ঈদের বাজারেও প্রান্তিক খামারিরা লোকসান দিয়েছেন বলে দাবি করেছে বিপিএ। উদাহরণ টেনে তারা বলেছে, ঈদের আগে প্রতিটি এক দিনের বাচ্চা ২৮-৩০ টাকায় উৎপাদন করে করপোরেট কোম্পানিগুলো তা ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি করেছে। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় লোকসানে পড়েন প্রান্তিক খামারিরা।

করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো খাদ্য, বাচ্চা ও ওষুধের পাশাপাশি ডিম ও মুরগির বাজারও নিয়ন্ত্রণ করছে বলেও অভিযোগ সংগঠনটির। করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিদিন খামার বন্ধ হচ্ছে। তারা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে প্রান্তিক খামারিদের কন্ট্রাক্ট ফার্মিং বা চুক্তিভিত্তিক উৎপাদনের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, যা মানা হবে না।

বিবৃতিতে বিপিএ ১০ দফা দাবিও জানিয়েছে। সেগুলো হলো পোলট্রি পণ্যের জন্য জাতীয় মূল্য নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা ও নির্ধারণ কমিটি গঠন করা, কন্ট্রাক্ট ফার্মিং নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন করা, পোলট্রি বাজার রেগুলেটরি অথরিটি গঠন করা, ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য পুনর্বাসন প্যাকেজ দেওয়া, খামারিদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র দেওয়া, করপোরেট কোম্পানিগুলোকে কেবল কাঁচামাল উৎপাদনে সীমাবদ্ধ রাখা, কন্ট্রাক্ট ফার্মিং ও কোম্পানির খামার নিষিদ্ধ করা, কেজিভিত্তিক ডিম ও মুরগি বিক্রির নীতিমালা প্রণয়ন করা, ডিম ও মুরগির রপ্তানির সুযোগ বাড়ানো এবং পূর্ণাঙ্গ পোলট্রি উন্নয়ন বোর্ড গঠন করা।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড ম ও ম রগ করপ র ট

এছাড়াও পড়ুন:

এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠা হলো না রোনালদোর

এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ এলিট শিরোপার স্বপ্নভঙ্গ হলো ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর আল-নাসরের। বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাতে সেমিফাইনালে জাপানের কাওয়াসাকি ফ্রন্টেলের কাছে ৩-২ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হলো সৌদি ক্লাবটিকে।

আর প্রথমবারের মতো শেষ চারে জায়গা করে নেওয়া কাওয়াসাকি ইতিহাস গড়ল প্রথম সাক্ষাতে শক্তিশালী আল-নাসরকে হারিয়ে।

সৌদির আল ইনমা ব্যাংক স্টেডিয়ামে আয়োজিত সেমিফাইনালে শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলেছে জাপানি দলটি। ম্যাচের ১০ মিনিটেই কাওয়াসাকিকে এগিয়ে দেন তাকসুয়া ইতো। তবে ১৮ মিনিট পর আল-নাসরকে সমতায় ফেরান সেনেগালিজ ফরোয়ার্ড সাদিও মানে, পোস্ট কাঁপানো ডান পায়ের দারুণ শটে।

আরো পড়ুন:

মায়ামির স্বপ্নভঙ্গ, ইতিহাস গড়লো ভ্যানকুভার এফসি

রেফারিকে বরফ ছুঁড়ে ছয় ম্যাচ নিষিদ্ধ রুডিগার

তবে বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে, (৪১ মিনিটে) আবারও এগিয়ে যায় কাওয়াসাকি। এবার গোল করেন ইউটো ওজেকি। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে ব্যবধান ৩-১ করে ফেলেন আকিহিরো ইয়েনাগা। পরে বদলি খেলোয়াড় আইমান ইয়াহিয়া একটি গোল ফিরিয়ে দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না রোনালদোর দলের জন্য।

যোগ করা সময়ে একাই চারবার গোলের চেষ্টা করেছিলেন রোনালদো। তবে সফল হতে পারেননি একবারও। ফলে হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো তাকে।

এ জয়ের ফলে কাওয়াসাকি ফ্রন্টেলে উঠে গেল ফাইনালে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হবে আল-নাসরেরই ঘরোয়া লিগ প্রতিদ্বন্দ্বী আল-আহলি।

তিনবার সেমিফাইনালে পৌঁছেও এখনও এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠতে পারেনি আল-নাসর। যদিও এবার রোনালদোরা চেষ্টা কম করেননি। ম্যাচে তারা মোট ২১টি শট নেয়, যার মধ্যে ৬টি ছিল লক্ষ্যে।

রোনালদো একাই ৮টি শট নিয়েছিলেন। যার মধ্যে মাত্র ২টি ছিল লক্ষ্যে। এই আসরে যদিও তার গোলসংখ্যা দাঁড়ালো ৮-এ। একটি আসরে আল-নাসরের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড এটি। যা ২০২০ সালে আবদাররাজাক হামদাল্লাহর করা সাত গোলকে ছাড়িয়ে গেছে।

ক্লাব পর্যায়ে মহাদেশীয় প্রতিযোগিতায় রোনালদোর এটি সেরা মৌসুম নয়। সর্বশেষ ২০১৭-১৮ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে তিনি করেছিলেন ১৫ গোল।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ