বিএনপির জন্ম হয়েছে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য: সালাম
Published: 20th, April 2025 GMT
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেছেন, “বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য রাজনীতি করে। বিএনপি জন্ম হয়েছে, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য। দেশে যত সংস্কার হয়েছে, সব বিএনপি করেছে।”
রবিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নাটোরের একটি রেস্তোরাঁয় নাটোর জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুস সালাম বলেন, “বিএনপি জনগণের সমর্থন নিয়ে ভোটের মাধ্যমে সরকারে আসবে। কেউ যদি নির্বাচন পেছাতে চান, তাহলে আমরা ভাবব, ফ্যাসিবাদকে ফেরাতে ষড়যন্ত্র চলছে। গণতন্ত্র ফিরে আসার পথ সহজ করতে হবে। সেজন্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।”
আরো পড়ুন:
শরীয়তপুর
বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি, ১৪৪ ধারা জারি
১৯ বছর পর বোদা উপজেলা বিএনপির সম্মেলন
তিনি আরো বলেন, “দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছি। গত বছরের ৫ আগস্টের পর আমরা আশায় আছি, দেশে একটি গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ইতোমধ্যে আট মাস পার হলেও আমরা সেই রোডম্যাপ দেখছি না। এ সরকার কতদিন সময় নিতে চায়, সে ধরনের কোনো রোডম্যাপ সরকারের কাছ থেকে পাইনি।”
নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদের সঞ্চালনায় এবং আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন- জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ, জিল্লুর রহমান বাবুল চৌধুরি, সাইফুল ইসলাম আফতাব, মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, দাউদার মাহমুদ।
ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ গণতন ত র ব এনপ র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদের বাস্তবায়নে দেরি হলে জনগণ আবারও রাস্তায় নামবে: জামায়াত নেতা রফিকুল
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এখন দেশের ১৮ কোটি মানুষের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘এই সনদ নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে জারি করা হোক এবং প্রয়োজনে গণভোটের আয়োজন করা হোক। তবে এই গণভোট অবশ্যই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই হতে হবে, নির্বাচনের পরে নয়।’
আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে তৃতীয় ধাপে তৃতীয় দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন রফিকুল ইসলাম খান। এ সময় উপস্থিত ছিলে জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
জুলাই সনদের বাস্তবায়নে দেরি হলে জনগণ স্বাভাবিকভাবেই আবারও রাস্তায় নেমে আসবে বলে মন্তব্য করেন রফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ১৯৯০ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর সে সময়কার দলগুলোর ঐকমত্য থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতায় থাকা দলগুলো সেটি (তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা) যথাসময়ে বাস্তবায়ন করেনি। পরে আন্দোলনের মাধ্যমেই তা সংবিধানে যুক্ত হয়।
জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হয়েছিল বিচারপতি খায়রুল হকের রায়ের মাধ্যমে। আদালতের ওপর প্রভাব বিস্তার করে এ রায় দেওয়ানো হয়েছিল। তাই বিচার বিভাগকে আবার বিতর্কের মুখে না ফেলে সংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পক্ষে জামায়াত।
জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ঐকমত্য কমিশন একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে চারটি বিকল্প নিয়ে কাজ করেছে, যার মধ্যে কমিশন সংবিধানিক আদেশের প্রস্তাবটি সমর্থন করেছে। এই আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের ২২টি আর্টিকেল বাস্তবায়িত হতে পারে। এটি আইনিভাবে সবচেয়ে শক্তিশালী ভিত্তি।
এক প্রশ্নের জবাবে হামিদুর রহমান বলেন, সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন করার এখতিয়ার সংসদের নেই, এবং এ ধরনের পরিবর্তন করতে হলে অবশ্যই গণভোটের প্রয়োজন হয়।
জামায়াতে ইসলামী জনগণের অভিপ্রায়কে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে জামায়াতের এ সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, জনগণের ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষাই হচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ আইন।
জুলাই সনদের যে আদর্শ ও চেতনা, তা বাস্তবায়ন হওয়া উচিত এবং যারা এই আদর্শের পথে হাঁটবে না, জনগণ তাদের ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে বলে মনে করেন হামিদুর রহমান আযাদ। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ এটি প্রমাণ করে যে এ দেশের তরুণসমাজ ও জনগণ নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা চায় এবং জুলাই বিপ্লবের যোদ্ধাদের পক্ষেই রয়েছে।