‘নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০২৫’ এর বাছাইপর্ব শেষ হয়েছে। সেখান থেকে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ দল জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে। আর এই বাছাইপর্ব শেষ হওয়ার পর এবার সেরা পারফরমারদের নিয়ে ‘টিম অব দ্য টুর্নামেন্ট’ ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এই একাদশে জায়গা পেয়েছেন পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও স্কটল্যান্ডের ক্রিকেটাররা।

সেরা একাদশের নেতৃত্বে রয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক ফাতিমা সানা। এই তালিকায় বাংলাদেশ থেকে মোট তিনজন খেলোয়াড় জায়গা পেয়েছেন। অন্যদিকে পাকিস্তান থেকে সর্বোচ্চ পাঁচজন খেলোয়াড় জায়গা পেয়েছেন। বাকি তিনজন জায়গা পেয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও স্কটল্যান্ড থেকে।

তালিকায় জায়গা পাওয়া খেলোয়াড় ও পারফরম্যান্সের সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যান:
১.

হেইলি ম্যাথিউস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ): ২৪০ রান (সর্বোচ্চ ১১৪*), ১৩ উইকেট, সেরা বোলিং ৪/২৪, ৪টি ক্যাচ।
২. মুনীবা আলী (পাকিস্তান):  ২২৩ রান (সর্বোচ্চ ৭১), ২টি ক্যাচ।  
৩. শারমিন আক্তার (বাংলাদেশ): ২৬৬ রান (সর্বোচ্চ ৯৪*), ১টি ক্যাচ।  
৪. ক্যাথরিন ব্রাইস (স্কটল্যান্ড): ২৯৩ রান (সর্বোচ্চ ১৩১*), ৬ উইকেট, সেরা বোলিং ৩/৪৯।
৫. নিগার সুলতানা (বাংলাদেশ) – উইকেটরক্ষক: ২৪১ রান (সর্বোচ্চ ১০১), ২টি ক্যাচ, ৩টি স্ট্যাম্পিং।
৬. ফাতিমা সানা (পাকিস্তান) – অধিনায়ক: ১০৩ রান (সর্বোচ্চ ৬২), ১২ উইকেট, সেরা বোলিং ৪/২৩।
৭. চিনেল হেনরি (ওয়েস্ট ইন্ডিজ): ১৭১ রান (সর্বোচ্চ ৫১*), ১ উইকেট, ৪টি ক্যাচ।
৮. আলিয়া অ্যালেন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ): ৬৩ রান (সর্বোচ্চ ২২), ১২ উইকেট, সেরা বোলিং ৪/৩৯, ২টি ক্যাচ ।
৯. ক্যাথেরিন ফ্রেসার (স্কটল্যান্ড): ৭৭ রান (সর্বোচ্চ ৩৩), ১০ উইকেট, সেরা বোলিং ৩/২৮।  
১০. নাশরা সান্ধু (পাকিস্তান): ১০ উইকেট, সেরা বোলিং ৩/১৯, ১টি ক্যাচ।  
১১. সাদিয়া ইকবাল (পাকিস্তান): ৯ উইকেট, সেরা বোলিং ৩/২৮।

আরো পড়ুন:

গা-ছাড়া ক্রিকেটে ডুবল আশার সূর্য

নারী বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যাবে না পাকিস্তান

রিজার্ভ খেলোয়াড়:
রাবেয়া খান (বাংলাদেশ):
৬ উইকেট, সেরা বোলিং ৩/৩৯, ১টি ক্যাচ।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইস স স কটল য ন ড উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

তাইজুলকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত বোলার’ বললেন তামিম

চট্টগ্রাম টেস্টে আজ প্রথম দিনে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে ৬০ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেনতাইজুল ইসলাম। টেস্টে এ নিয়ে ১৬তমবার ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন  বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার। প্রথম দিনের খেলা শেষে তাইজুলের প্রশংসা করে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন তামিম ইকবাল।

আরও পড়ুনতাইজুলের মনে হয় না তারা খেলা বোঝে১ ঘণ্টা আগে

বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের পেজে তাইজুলের একটি ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত (আন্ডাররেটেড) বোলার। এখন খেলা অন্য বোলারদের পরিসংখ্যান দেখুন, তাহলে আমার কথাটা বুঝতে পারবেন। আরেকবার ৫ উইকেট নিয়ে দারুণ খেলেছ তাইজুল।’

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে টেস্ট ও ডিসেম্বরে ওয়ানডে অভিষেক তাইজুলের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ২০১৯ সালে। ওয়ানডে (২০) ও টি-টোয়েন্টির (২) চেয়ে টেস্ট ম্যাচই (৫২) বেশি খেলেন তাইজুল। চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলতি টেস্টে প্রথম দিনের পারফরম্যান্সসহ মোট ৫৩ টেস্টে এ পর্যন্ত ২২৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। তাঁর টেস্ট সংস্করণের পারফরম্যান্সটা যাচাই করে দেখা যায়।

এখনো যাঁরা খেলছেন তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নাথান লায়নের। অস্ট্রেলিয়ার অফ স্পিনারের টেস্ট অভিষেক ২০১১ সালে। তাইজুলের টেস্ট অভিষেকের সময় থেকে লায়নের পারফরম্যান্স—   ১০৩ টেস্টে ২৯.৪৮ গড়ে ৪৪১ উইকেট। মোট ২৪ বার ৫ উইকেট নিলেও তাইজুলের অভিষেকের পর থেকে ১৯ বার ৫ উইকেট নেন লায়ন। তবে অস্ট্রেলিয়া দল বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলায় লায়ন এ সময়ে তাইজুলের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন। বোলিং গড় এবং স্ট্রাইকরেটে লায়ন ও তাইজুলের মাঝে ব্যবধান বেশি না। তাইজুলের বোলিং গড় ৩১.৫৬, স্ট্রাইক রেট ৬১.৯, যেখানে লায়নের স্ট্রাইকরেট ৬১.৬ ও গড় ৩০.১৯।

আরও পড়ুনতাইজুলের ভেলকি, শেষ সেশনে গেল ৭ উইকেট২ ঘণ্টা আগে

ভারতের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন গত বছর ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়েন। টেস্টে তার অভিষেক ২০১১ সালে। তাইজুলের টেস্ট অভিষেক থেকে এই সংস্করণে ৮৫ ম্যাচে ২২.৮৪ গড়ে ৪৩০ উইকেট নেন অশ্বিন। এ সময়ে ২৮ বার পেয়েছেন ৫ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার মতো ভারতও বেশি বেশি টেস্ট খেলায় স্বাভাবিকভাবেই এ সময়ে তাইজুলের তুলনায় বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন অশ্বিন।

ভারতের আরেক স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। তাইজুলের অভিষেকের দুই বছর আগে টেস্টে অভিষেক জাদেজার। তাইজুলের অভিষেকের সময় থেকে এ পর্যন্ত ৬৮ টেস্টে ২৭৮ উইকেট নিয়েছেন জাদেজা। তবে তাঁর চেয়ে এ সময়ে বেশি সংখ্যকবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। জাদেজা এ সময়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন ১৩ বার, তাইজুল নিয়েছেন ১৬ বার।

তাইজুল ৫ উইকেট নেওয়ার পর তাঁকে জড়িয়ে ধরেন অধিনায়ক নাজমুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আজিজুল হাকিমের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স, কলম্বোয়ও হেসেছে বাংলাদেশ
  • ‘বাজপাখি’ মার্তিনেজের বাজে ফর্ম, আর্জেন্টিনার জন্য কতটা দুশ্চিন্তার
  • সমালোচকরা খেলা বোঝে না!—আক্ষেপ তাইজুলের
  • তাইজুলকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত বোলার’ বললেন তামিম
  • বার্সেলোনা ও পিএসজি ছাড়া যে কীর্তি গড়ার সুযোগ নেই এবার আর কারও