দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে, তা না হলে এই ব্যাধি থেকে সমাজ মুক্তি পাবে না।

রোববার দুপুরে নীলফামারী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, পুরোনো দুর্নীতির পেছনে বেশি সময়ক্ষেপণ না করে, ভবিষ্যতে দুর্নীতি রোধের জন্য কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে দুদক। অতীত ও বর্তমান সময়ের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান শক্ত করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাতে দুর্নীতি না হয়, সে জন্য কাজ করছে দুদক। দুদকের কোথাও দুর্নীতি থাকলে, তাও ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতিকে মন থেকে ঘৃণা করতে হবে। তা না হলে এ সংকট কাটবে না। তিনি আগামী প্রজন্মকে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ারও আহ্বান জানান।

গণশুনানিতে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নীলফামারী জেনারেল হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ওপর অসন্তোষ প্রকাশ এবং দুদকের অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দেওয়া হয়। গণশুনানিতে সৈয়দপুর উপজেলার গোলাহাট এলাকায় বিভিন্ন সেবা গ্রহণকারী একাধিক অভিযোগ তুলে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান। 

অনুষ্ঠানে দুদক কমিশনার (তদন্ত) মুহাম্মদ আকবার আলী আজিজী, মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহসিনসহ দুদকের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক তালেবুর রহমান বক্তব্য দেন। এর পর নীলফামারী সদর উপজেলার সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবার মান নিয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩১টি দপ্তরের ৮১টি অভিযোগ উত্থাপিত হয় এবং সংশিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিজ নিজ অভিযোগের বিষয়ে জবাবদিহি করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গণশ ন ন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ