দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর পণ্যে আড়াই হাজার শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র
Published: 22nd, April 2025 GMT
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো থেকে আমদানিকৃত সৌর প্যানেলের ওপর ২ হাজার ৫২১ শতাংশ কর আরোপের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
এক বছর আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে সৌর প্যানেলের যন্ত্রাংশ উৎপাদনকারীরা যুক্তরাষ্ট্রে তাদের বাণিজ্য সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছিল। ওই সময় বিষয়টির ওপর তদন্ত শুরু হয়েছিল।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনায় কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামের কোম্পানিগুলোকে টার্গেট করা হয়েছে। এই কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা চীনের কাছ থেকে ভর্তুকি সুবিধা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে স্বস্তায় পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে ডাম্পিং করছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাইরে মার্কিন সরকারি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ট্রেম কমিশন জুনে নতুন শুল্কের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে।
কোম্পানি ও তাদের পণ্য উৎপাদনকারী দেশের ওপর ভিত্তি করে ভারসাম্য ও অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক ভিন্ন হতে পারে। মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অসহযোগিতার কারণে কম্বোডিয়ার সৌর যন্ত্রাংশ রপ্তানিকারকদের ওপর ৩ হাজার ৫২১ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। মালয়েশিয়ায় চীনা উৎপাদনকারী জিনকো সোলারের ওপর ৪১ শতাংশেরও বেশি শুল্ক আরোপ করা হবে, যা অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় সর্বনিম্ন। আরেকটি চীন ভিত্তিক কোম্পানি ট্রিনা সোলারের ওপর ৩৭৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এই কোম্পানিটি থাইল্যান্ডে তাদের পণ্য উৎপাদন করে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।
মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।
মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ