সর্বদলীয় বৈঠকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে সরকারকে সমর্থন করবে বিরোধী দল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার লোকসভার বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী এ তথ্য জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। এদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক। এ ঘটনার জন্য বুধবার ভারত কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ নেয়। এসব পদক্ষেপের মধ্যে অন্যতম ছিল  সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করা।

রাহুল বলেছেন, “সব রাজনৈতিক দল একযোগে এর নিন্দা জানিয়েছে এবং বিরোধী দল সরকারকে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে।”

কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, “আমরা চাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জম্মু ও কাশ্মিরে শান্তি ফিরিয়ে আনা হোক।”

তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সুদীপ বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা কেন্দ্রের সাথে আছি। ঐক্যবদ্ধভাবে এর বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত।”

বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেয় মোদি সরকার। বৈঠকে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে কংগ্রেস এই সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার দাবি তুলেছিল। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে জানিয়েছিলেন, এই পহেলগাম কাণ্ড নিয়ে রাজনীতি করার পক্ষপাতী তারা নন। 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পদক ষ প সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু

বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”

চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”

চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”

১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”

১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ