মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা উপেক্ষিত
Published: 27th, April 2025 GMT
মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজেনারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা উপেক্ষিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পাঠানো লিখিত নির্দেশ মানছেন না মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল নুসরত রেবেকা। সরকারি প্রজ্ঞাপনে আদেশ থাকা সত্ত্বেও সহকারী প্রধান শিক্ষক লায়লা আক্তারের সরকারি বেতন-ভাতা প্রদান করছে না।
ফলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিন শতাধিক শিক্ষক, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।
জানাগেছে, গত ২৩ এপ্রিল বুধবার তিন শতাধিক শিক্ষক, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা মহোদয়ের সাথে দেখা করে মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের বিভিন্ন অনিয়ম ও বেআইনি কর্মকান্ড তুলে ধরেন।
এসময়ে জেলা প্রশাসক মহোদয় সকল শিক্ষক, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের কথা মনোযোগ সহকারে শুনেন এবং বলেন কি কি অনিয়ম ও বেআইনি কর্মকান্ড হচ্ছে আপনারা লিখিতভাবে আমাকে দেন। আমি সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
তিনি আরও বলেন, কারো বেতন ভাতা বন্ধ করা আমার কাজ নয়, যেহেতু সরকারি প্রজ্ঞাপন রয়েছে বেতন ভাতা প্রদানের জন্য এবং তদন্ত কমিটি সুপারিশ করেছে তাহলে অবশ্যই লায়লা আক্তারসহ সকলের বেতন ভাতা প্রদান করা হবে।
এবিষয়ে শিক্ষক, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ বলেন, মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক লায়লা আক্তার বিদ্যালয়ে না থাকায় বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খল ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তার অনুপস্থিতিতে বিদ্যালয়ে পাঠদানে ব্যাপক বেগার্ড করছে। এমনকি শিক্ষকরাও দলাদলি এবং বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
তারা আরও বলেন, যেহেতু সরকারি প্রজ্ঞাপন রয়েছে বেতন ভাতা চালু ও স্বপদে বহাল করার এবং জেলা প্রশাসক মহোদয় দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে তদন্ত করিয়েছেন । তদন্ত কমিটি সম্পূর্ন নির্দোষ ও বেতন ভাতা প্রদানের সুপারিশ করেছেন।
জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কার্যালয় হতে জেলা প্রশাসক মহোদয় বেতন ভাতা প্রদানের লিখিত নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু অদ্যবধি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুসরত রেবেকা এখন পর্যন্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক লায়লা আক্তারের বেতন-ভাতা প্রদান করছেন না। তাই লায়লা আক্তারকে অবিলম্বে স্বপদে বহাল ও বেতন ভাতা চালু করতে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অনুরোধ করেন।
তবে এবিষয়ে জানতে মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল নুসরত রেবেকা বলেন, সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপন বলা হয়েছে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন ভাতা দেওয়ার জন্য।
সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কোন কিছু লেখা নাই। আর জেলা প্রশাসকের প্রজ্ঞাপনে তো আমি তার বেতন দিতে পারি না। সরকারিভাবে সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিষয় প্রজ্ঞাপন আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তিনি তো পদত্যাগ করেছে। আর আমার তো বেতন দেয়ার কোন এখতিয়ার নাই। আমাদের সভাপতিসহ কমিটি লোকজন আছে তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে তারপরে তার বেতন বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
অফিস আওয়ারে স্কুলে আসবেন আপনার সাথে কথা বলবো। ফোনে আপনার সাথে বেশি কথা বলব না।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ক ল কল জ ন র য়ণগঞ জ এল ক ব স সহক র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।