কানাডার ‘ফার্স্ট লেডি’ ডায়ানার বিষয়ে কতটা জানেন
Published: 30th, April 2025 GMT
জাতীয় নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির দলের পক্ষেই সায় দিলেন কানাডার জনগণ। আগে কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মার্ক। এরপর বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান মার্ক গোল্ডম্যান স্যাকসের নির্বাহী হিসেবে কাজ করেন। কানাডার অর্থনীতিকে দুর্যোগের সময়েও টিকিয়ে রাখার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত মার্ক।
মার্ক কার্নির দল জেতার পর থেকে বিশ্বব্যাপী প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীকে নিয়েও নতুন করে আগ্রহ বেড়েছে। মার্ক কার্নির স্ত্রী ডায়ানা ফক্স কার্নি। মার্ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই ডায়ানা ফক্স কার্নিকে ‘স্পাউস অব দ্য প্রাইম মিনিস্টার অব কানাডা’ ডাকা হয়ে থাকে। মার্ক কার্নি ও ডায়ানা ফক্স কার্নি ১৯৯৪ সালে বিয়ে করেন। মার্ক–ডায়ানা দম্পতির চার মেয়ে। তাদের নাম ক্লিও, টেস, অ্যামেলিয়া ও সাশা। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরে মার্ক পরিবারের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমাদের সমর্থন ছাড়া আমি এখানে দাঁড়াতে পারতাম না। তোমরা ছাড়া আমার কোনো লক্ষ্য নেই। সামনে যে দিন আসছে, তা থেকে উত্তরণের জন্য আমার যে শক্তি প্রয়োজন, (তোমাদের ছাড়া) তা–ও আমার নেই।’
ডায়ানা ফক্স ও মার্কের প্রথম দেখা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়েই তাঁদের পরিচয়। ডায়ানা অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির আইস হকি ক্লাবের সদস্য ছিলেন। সেই দলে মার্কও ছিলেন। মার্ক কার্নি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইস হকি ক্লাবের পুরুষ দলের গোলকিপার ছিলেন। তাই বলা যায়, আইস হকি মাঠেই তাঁদের ভালোবাসার পরিধি বিস্তৃত হয়। যতদূর জানা যায়, ডায়না একজন দক্ষ শুটারও।
ডায়ানা ফক্স কার্নি এজন অর্থনীতিবিদ ও লেখক.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।
মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।
মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ