এনসিপি-গণসংহতি আন্দোলনের বৈঠক: নির্বাচনের ঘোষিত সময়ে সংস্কারে ঐক্য
Published: 30th, April 2025 GMT
আওয়ামী লীগের বিচার এবং নির্বাচনের ঘোষিত সময়ের মধ্যে মৌলিক সংস্কারে একমত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণসংহতি আন্দোলন। বৈঠকে এসব বিষয়ে একমত হয়েছেন দুই দলের শীর্ষ নেতারা।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে বৈঠকে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম, আশরাফ উদ্দীন মাহাদী, অনিক রায়, যুগ্ম সদস্যসচিব মোল্লা ফারুক এহসান শুভ্রসহ অন্য নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য তাসলিমা আখতার, হাসান মারুফ রুমি ও মনির উদ্দিন পাপ্পু প্রমুখ অংশ নেন।
বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জোনায়েদ সাকি বলেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের দায়টাকে আমরা বিচারের আওতায় দেখতে চাই। আমরা চাই, সংস্কারে একটা ন্যূনতম ঐকমত্য দ্রুত তৈরি হোক। সেই সংস্কার কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, সে বিষয়েও যাতে আমরা একটা ঐকমত্যে আসতে পারি। নির্বাচনের ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে সংস্কার কাজটাকে যাতে আমরা উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে নিতে পারি, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সাকি আরও বলেন, আমরা মনে করি, আওয়ামী লীগের যারা গত ১৫ বছরের গুম-খুন, হামলা-মামলা ও লুটপাটে যুক্ত এবং সর্বশেষ জুলাই-আগস্টে হত্যাকাণ্ডে যারা দায়ী, তাদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদসীমা, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠন, নারী আসন, স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণসহ বিভিন্ন মৌলিক সংস্কার বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে আমাদের অনেক এজেন্ডায় ঐকমত্য আছে, কিছু বিষয়ে মতপার্থক্যও রয়েছে। রাষ্ট্র পুনর্গঠন, সংবিধান সংস্কার ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আলোচনা আমরা গুরুত্বের সঙ্গে এগিয়ে নেব।
জোনায়েদ আরও সাকি বলেন, একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ও গণতান্ত্রিক যাত্রা শুরু করতে হবে, যা শহীদের স্বপ্ন ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে। তিনি বলেন, সংস্কারের মাধ্যমে ক্ষমতার ভারসাম্য ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত রোববার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গেও বৈঠক করেছে গণসংহতি আন্দোলন। রাজনৈতিক সংকট সমাধানে বহুপাক্ষিক আলোচনার ধারা অব্যাহত রাখতে দলটি সক্রিয় রয়েছে।
বৈঠকে দুই দল আগামী দিনগুলোতে নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও শক্তির সঙ্গে সমঝোতা তৈরির চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তারা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এনস প র জন ত ক ঐকমত য এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত বন্দর গড়তে চাই : সাখাওয়াত
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খাঁন বলেন, আমরা রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণে, সমাজ থেকে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস দূর করার জন্য।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৪টায় সোনাকান্দা হেভেন কমিউনিটি সেন্টারে বন্দর ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি একটি উদার গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দর্শন ছিল—জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। জনগণকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্র বা দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। যারা অপকর্মে লিপ্ত, তাদের সরিয়ে দিতে এবং জনগণের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিতে আমরা রাজনীতি করি।
জনগণের মনে কষ্ট পায় এমন কিছু করা যাবে না। আমাদেরকে সব সময় জনগণের সুখে-দুখে পাশে থাকতে হবে। এটা আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশ।
তিনি আরও বলেন, বিএনপিতে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের কোন স্থান নেই। কেউ যদি বিএনপির নাম বিক্রি করে এসকল অপকর্মের সাথে জড়িত থাকে তাদেরকে বিএনপি থেকে বিতাড়িত করা হবে।
আমরা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত একটি সুন্দর বন্দর গড়তে চাই। সারাদেশে ছোট বড় অনেক ব্রীজ হয়েছে বন্দরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি সেতু সেলিনা হায়াৎ আইভী দীর্ঘ ১৫ বছরেও করে দিতে পারে নাই। ইনশাল্লাহ আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সেই সেতু নির্মাণ করা হবে।
নবায়ন ও সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম সম্পর্কে সাখাওয়াত হোসেন খাঁন বলেন, বিএনপির সদস্য হতে পারবেন তারা, যারা আদর্শবান ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কৃষক, শ্রমিক ও ছাত্র। কিন্তু চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী কিংবা যারা আওয়ামী লীগ বা জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, তাদের সদস্যপদ নবায়ন করা হবে না।
বন্দর ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন প্রধানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড.আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেনশাহ আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা।
এছাড়াও অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আমির হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহম্মদ, ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসারুল হক রাহাত, বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোশারফ হোসেন মশুসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।