আওয়ামী লীগের বিচার এবং নির্বাচনের ঘোষিত সময়ের মধ্যে মৌলিক সংস্কারে একমত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণসংহতি আন্দোলন। বৈঠকে এসব বিষয়ে একমত হয়েছেন দুই দলের শীর্ষ নেতারা।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে বৈঠকে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম, আশরাফ উদ্দীন মাহাদী, অনিক রায়, যুগ্ম সদস্যসচিব মোল্লা ফারুক এহসান শুভ্রসহ অন্য নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য তাসলিমা আখতার, হাসান মারুফ রুমি ও মনির উদ্দিন পাপ্পু প্রমুখ অংশ নেন।

বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জোনায়েদ সাকি বলেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের দায়টাকে আমরা বিচারের আওতায় দেখতে চাই। আমরা চাই, সংস্কারে একটা ন্যূনতম ঐকমত্য দ্রুত তৈরি হোক। সেই সংস্কার কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, সে বিষয়েও যাতে আমরা একটা ঐকমত্যে আসতে পারি। নির্বাচনের ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে সংস্কার কাজটাকে যাতে আমরা উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে নিতে পারি, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সাকি আরও বলেন, আমরা মনে করি, আওয়ামী লীগের যারা গত ১৫ বছরের গুম-খুন, হামলা-মামলা ও লুটপাটে যুক্ত এবং সর্বশেষ জুলাই-আগস্টে হত্যাকাণ্ডে যারা দায়ী, তাদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদসীমা, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠন, নারী আসন, স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণসহ বিভিন্ন মৌলিক সংস্কার বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে আমাদের অনেক এজেন্ডায় ঐকমত্য আছে, কিছু বিষয়ে মতপার্থক্যও রয়েছে। রাষ্ট্র পুনর্গঠন, সংবিধান সংস্কার ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আলোচনা আমরা গুরুত্বের সঙ্গে এগিয়ে নেব।

জোনায়েদ আরও সাকি বলেন, একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ও গণতান্ত্রিক যাত্রা শুরু করতে হবে, যা শহীদের স্বপ্ন ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে। তিনি বলেন, সংস্কারের মাধ্যমে ক্ষমতার ভারসাম্য ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত রোববার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গেও বৈঠক করেছে গণসংহতি আন্দোলন। রাজনৈতিক সংকট সমাধানে বহুপাক্ষিক আলোচনার ধারা অব্যাহত রাখতে দলটি সক্রিয় রয়েছে।

বৈঠকে দুই দল আগামী দিনগুলোতে নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও শক্তির সঙ্গে সমঝোতা তৈরির চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তারা। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনস প র জন ত ক ঐকমত য এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক হয়েছে। গতকাল সোমবার রাজধানীতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক হয়। খবর বাসসের।

বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান আলোচনার অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের প্রধান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সভাপতিত্বে বৈঠকে সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যেসব আলোচনা হয়েছে, সে ব্যাপারে কমিশনপ্রধানকে অবহিত করেন। কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, বিচারপতি এমদাদুল হক এবং সফর রাজ হোসেনও তাতে অংশ নেন। সেই আলোকে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, শিল্প ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান শুভ্র এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অনির্বাচিত সরকারের করিডোর দেওয়ার এখতিয়ার নেই: বিএনপি
  • অনির্বাচিত সরকারের করিডোর দেওয়ার এখতিয়ার নেই
  • ‘মানবিক করিডর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে: চরমোনাই পীর
  • সংস্কার ও নির্বাচন একই সঙ্গে চলতে পারে: বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
  • এই প্রথম সকলে মিলে রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুযোগ তৈরি হয়েছে: আলী রীয়াজ
  • ঐকমত্য কমিশন দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে পারলে দ্রুত রাজনৈতিক বোঝাপড়া সম্ভব: সাইফুল হক
  • প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক
  • রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য তৈরিতে আলোচনার সিদ্ধান্ত গণসংহতির
  • জনগণ গণতন্ত্রের জন‍্য রক্ত দিয়েছে, কোনো মহামানবের প্রতিষ্ঠার জন্য নয়: আমীর খসরু