দুই দেশের নাগরিকদের ফেরত দিল বিজিবি-বিএসএফ
Published: 2nd, May 2025 GMT
দিনাজপুরের বিরল সীমান্ত থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া দুই বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। একইসঙ্গে দুই ভারতীয়কে ফেরত দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিরল উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ধর্মজৈন বিওপি ক্যাম্পের মল্লিকপুর কারুলিয়াপাড়া সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের এক পতাকা বৈঠকে এ হস্তান্তর প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। তবে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি বিজিবির কর্মকর্তারা।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে মল্লিকপুর কারুলিয়াপাড়া সীমান্ত এলাকা থেকে স্থানীয় ইসরাইল ইসলামের ছেলে এনামুল ইসলাম (৫০) ও বনগাঁও এলাকার এনামুল ইসলামের ছেলে মাসুমকে (১৫) ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। ওই সময় দুই ভারতীয়কে আটক করে গ্রামবাসী। পরে তাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। তারা হলেন- ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার কাটাবাড়ি অনন্তপুর এলাকার সুরেন টুডুর ছেলে অভিনাত (২২) ও নুরদুছ সরেনের ছেলে ফিলিপ সরেন (৩৩)।
ধর্মপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর ইসলাম বলেন, দুই বাংলাদেশি কৃষককে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে ভারতের ৯১বিএসএফ কাটাবাড়ি ক্যাম্পে দুটি চিঠি দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় বিএসএফের পক্ষ থেকে সাড়া পাওয়ার পর ওই সীমান্তে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশের নাগরিকদের স্ব স্ব সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী
অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়। ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়।
আরো পড়ুন:
কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির
অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প
বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।
বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ