পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের হাতে আটক দুই বাংলাদেশিকে ৮ ঘণ্টা পর ফেরত
Published: 3rd, May 2025 GMT
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার গাঠিয়ারভিটা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে আটক দুই বাংলাদেশিকে ৮ ঘণ্টা পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরের অভিবাসন চেকপোস্ট দিয়ে ওই দুই বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আটক দুজন হলেন বগুড়ার মহাস্থানের সাজেদুল ইসলাম (২০) এবং তাঁর ১৬ বছর বয়সী ভাগনে। ভাগনের বাড়ি পাটগ্রাম উপজেলায়।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে মামা–ভাগনে ভারতীয় সীমান্তসংলগ্ন একটি চা–বাগানের ছবি তুলতে গিয়ে শূন্যরেখা পেরিয়ে ভারতের ২০ থেকে ২৫ গজ ভেতরে চলে যান। এ সময় ভারতের কোচবিহারের ৯৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের গোমতী ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাঁদের আটক করে হেফাজতে নেন। খবর পেয়ে পাটগ্রামের ধবলসুতি বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার মোক্তার হোসেন বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক ডাকেন। পরে গতকাল রাত দুইটার দিকে দুই বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করা হয়।
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিল্লুর রহমান এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঝিনাইদহে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত হওয়ার খবর
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কুসুমপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক আহত হওয়ার খবর জানিয়েছে তার পরিবার। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার কুশুমপুর বিওপির আওতাধীন পিপুলবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে তারা।
গুলিবিদ্ধ রিয়াজ পিপুলবাড়িয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে হালকা বৃষ্টিতে মাঠে পানি জমে যায়। পানি নিষ্কাশনের জন্য রিয়াজ তাদের ধানের জমিতে যান। জমিটি ভারত সীমান্তের কাছাকাছি। সেসময় ওপার থেকে বিএসএফ সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। একপর্যায়ে একটি ছররা গুলি তার শরীরে বিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঝিনাইদহ বিজিবি ৫৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, রিয়াজ নামের এক ব্যক্তি আহতের কথা শুনে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে কাউকে পাইনি। তবে ঘটনার বিষয়ে আমরা নিশ্চিত না। কেউ আমাদের কাছে অভিযোগও করেনি।