১৩ বছর ছিলেন টটেনহামে এবং ইংল্যান্ডের হয়ে খেলছেন ১০ বছর ধরে। এর মধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার হিসেবেও। কারও কারও কাছে হ্যারি কেইন এবং গোল করাও হয়ে উঠেছে সমার্থক।

কিন্তু এত কিছুর পরও কেইনের ক্যারিয়ার যেন হাহাকারের গল্প। সবকিছু করেও যে নামের পাশে ছিল না কোনো শিরোপা। সেই শিরোপা–খরা কাটাতে কেইন যান বায়ার্ন মিউনিখে, দুই মৌসুম আগে।

যা কিছুই হোক, মৌসুম শেষে কোনো না কোনো ট্রফি বায়ার্নের হাতে থাকেই। কিন্তু কেইন যাওয়ার পর বায়ার্নের প্রথম বছরটা কাটল অদ্ভুত এক শিরোপা–খরায়। ‘ডালভাত’ হয়ে যাওয়া বুন্দেসলিগা শিরোপাসহ সব শিরোপাই হাতছাড়া করল মিউনিখের ক্লাবটি। বায়ার্নের শিরোপা জিততে না পারার দায়ও এরপর এসে পড়ল কেইনের কাঁধে। বলা হলো, ‘অভাগা যেদিকে যায়, সাগর শুকিয়ে যায়।’

অভাগা কেইনের কারণেই বায়ার্ন হারিয়েছে শিরোপা—এমন অপবাদের বোঝা কাঁধে নিয়েই চলতি মৌসুমটা শুরু করেছিলেন কেইন। আর মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই গতকাল রাতে নিশ্চিত হলো কেইনের প্রথম শিরোপা। ১৫ বছর, ৬ ফাইনাল, ৬৯৪ ম্যাচ এবং ৪৪৭ গোলের পর অবশেষে কেইন জিতলেন একটা ট্রফি!

আরও পড়ুনঅবশেষে ‘চ্যাম্পিয়ন’ হ্যারি কেইন১০ ঘণ্টা আগে

এবারও অবশ্য শিরোপাটা সহজে পাননি কেইন। বায়ার্নের ট্রফি নিশ্চিত হতে পারত গত সপ্তাহেই। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী লেভারকুসেন না হারায় নিশ্চিত হয়নি শিরোপা জয়। এরপর গত শনিবার রাতেও স্ট্যান্ডে বসে শিরোপা জয়ের অপেক্ষায় ছিলেন কেইন।

কিন্তু ২–০ গোলে পিছিয়ে পড়া বায়ার্ন সেদিন ঘুরে দাঁড়িয়েও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি। শেষ মিনিটে গোল খেয়ে ম্যাচ ড্র করেছে ৩–৩ গোলে। ফলে আবারও পেছাল কেইনের উদ্‌যাপন। গতকাল রাতেও মনে হচ্ছিল আবার হয়তো পেছাবে শিরোপা জয়। ২–০ গোলে পিছিয়ে পড়া লেভারকুসেন একপর্যায়ে ২–২ গোলে সমতা ফেরায়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য জয়সূচক গোলটি আর পায়নি তারা। আর লেভারকুসেনের গোল না পাওয়ায় নিশ্চিত হয় কেইনের ক্যারিয়ারের প্রথম ট্রফি।

সতীর্থদের সঙ্গে কেইনের উদ্‌যাপন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক ইন র ক

এছাড়াও পড়ুন:

চার সংস্থা থেকে আসছে ৩৬৪ কোটি ডলার ঋণ

আন্তর্জাতিক চার বহুজাতিক আর্থিক সংস্থা থেকে ৩৬৪ কোটি ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা। গতকাল বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণ অনুমোদন হয়েছে। আগামী সোমবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং শিগগিরই এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইইবি) ঋণ পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। এসব ঋণের অর্থ এলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ার পাশাপাশি ডলার বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে তা সহায়ক হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের দুই কিস্তির ১৩০ কোটি ডলার চলতি মাসে পাওয়া যাবে। আগামী ২৩ জুন সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই ঋণ অনুমোদন হওয়ার কথা। বিভিন্ন টানাপোড়েনের পর গত মাসে ডলারের দর বাজারভিত্তিক করেছে বাংলাদেশ। এরপর সংস্থাটির সঙ্গে বাংলাদেশ সমঝোতায় পৌঁছেছে। আইএমএফের সঙ্গে সমঝোতার কারণে অন্য সংস্থাগুলোও সহজে ঋণ ছাড় করছে।

গতকাল বিশ্বব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী কমিটির সভায় ৬৪ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দূষণ রোধে বায়ুর মান বৃদ্ধি ও গ্যাস সরবরাহ উন্নয়নে ৬৪ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংকের পর্ষদ। দুটি প্রকল্পের মধ্যে জ্বালানি খাত নিরাপত্তা জোরদারে ৩৫ কোটি এবং বায়ুমান উন্নয়ন প্রকল্পে ২৯ কোটি ডলার দেওয়া হবে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, বাংলাদেশের জন্য জ্বালানি নিরাপত্তা ও বায়ুর মান উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও উন্নয়নমূলক অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচিত হয়। গ্যাস সরবরাহের সংকট এবং শহর এলাকায় বায়ুদূষণের মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের লক্ষ্যে এ দুই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে গতকাল এডিবি আলাদা দুটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে ৯০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা অনুমোদনের তথ্য জানিয়েছে। গতকাল ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় অবস্থিত এডিবির সদরদপ্তরে পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পর্ষদ বাংলাদেশের জন্য ব্যাংক খাত সংস্কারে ৫০ কোটি ডলার এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ৪০ কোটি ডলার অনুমোদন করেছে। চলতি মাসের মধ্যেই এই অর্থ বাংলাদেশের রিজার্ভে যোগ হবে বলে সংস্থাটির ঢাকা অফিসের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
সংস্থাটির বিশেষজ্ঞ সঞ্জীব কৌশিককে উদ্ধৃত করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের প্রধান সমস্যার মধ্যে আছে সম্পদের দুর্বল গুণমান, তারল্য সংকট এবং দুর্বল আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ। এডিবির অর্থায়নের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সক্ষমতা গড়ে তোলার পাশাপাশি ব্যাংক খাতের মূলধন কাঠামো শক্তিশালী করা হবে। এ ছাড়া ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য সহজে অর্থায়নের সুযোগ বাড়ানো হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, বিশ্বব্যাংক থেকে মোট ১০০ ডলার দেওয়ার কথা। ৬৪ কোটি ডলার অনুমোদনের পর বাকি ৩৬ কোটি ডলারও শিগগিরই হয়তো পাওয়া যাবে। আর আইএমএফের দুই কিস্তির ১৩০ কোটি ডলার আগামী সোমবারের পর্ষদ সভায় হয়তো অনুমোদন হয়ে যাবে। এর বাইরে এআইআইবি থেকে ৪৪ কোটি ডলার ঋণ ছাড়ের কথা রয়েছে। আগামী সপ্তাহে যা হয়তো পাওয়া যাবে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী করতে যা সহায়ক হবে।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর পেরিয়েছিল ২০২১ সালের আগস্টে। এরপর থেকে প্রতি মাসে কমতে কমতে গত জুলাই শেষে ২০ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কারণে এখন আবার রিজার্ভ বাড়ছে। টানা ২০ মাস পর গত এপ্রিল শেষে রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিল। অবশ্য এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) মার্চ-এপ্রিল সময়ের জন্য ১৮৮ কোটি ডলার পরিশোধের পর তা ২০ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়। এরপর আবার বেড়ে বর্তমানে ২০ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। চলতি মাসে বড় অঙ্কের ঋণ যোগ হওয়ার পর রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি দাঁড়াতে পারে বলে তাদের ধারণা।
আইএমএফের শর্ত মেনে গত মে মাসের মাঝামাঝি ডলারের দর বাজারভিত্তি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। রিজার্ভের মোটামুটি শক্তিশালী অবস্থানের কারণে ডলারের দরে তেমন হেরফের হয়নি। বর্তমানে ব্যাংকগুলো ১২২ থেকে ১২৩ টাকা দরে ডলার বেচাকেনা করছে। দীর্ঘদিন ধরে যা ১২২ টাকার মধ্যে ছিল। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চার সংস্থা থেকে আসছে ৩৬৪ কোটি ডলার ঋণ
  • মডেল শীতলকে হত্যার বর্ণনা দিলেন প্রেমিক সুনীল
  • মডেলকে হত্যার বর্ণনা দিলেন প্রেমিক
  • শান্ত-মুশফিকে দ্বিতীয় সেশন বাংলাদেশের
  • শান্ত-মুশফিকের হাফ সেঞ্চুরি, জুটির একশ
  • মডেলের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার, হত্যার বর্ণনা দিলেন প্রেমিক
  • শান্ত-মুশফিকের ব্যাটে ১০০ পেরিয়ে বাংলাদেশ
  • স্পেন থেকে ঘোড়ায় চড়ে মক্কায় গিয়ে হজ আদায়
  • হোটেলে তল্লাশি চালানো সেই সাংবাদিক গ্রেপ্তার
  • সাংবাদিক পরিচয়ে হোটেলে তল্লাশি চালানো যুবক গ্রেপ্তার