অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নেতা–কর্মীদের রাজপথ আঁকড়ে থাকার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

শুক্রবার হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান। বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ‘শাপলা চত্বর ও জুলাই গণহত্যার দায়ে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের নেতা ও দোসরদের বিচার না করে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’

বিবৃতিতে হেফাজতের শীর্ষ দুই নেতা আরও বলেন, সহস্রাধিক শহীদের প্রাণের বিনিময়ে ইতিহাসের অন্যতম সফল রক্তাক্ত গণ-অভ্যুত্থানের বৈধতার ভিত্তিতে এ অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু নজিরবিহীন জনসমর্থন থাকার পরও জুলাই বিপ্লবের প্রথম দাবি শাপলা চত্বর ও জুলাইয়ের গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে গড়িমসি করছে সরকার। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা দলের নেতা-কর্মী ও ছাত্র-জনতাকে রাজপথ আঁকড়ে থাকতে বলেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শাপলা চত্বর ও জুলাই গণহত্যার দ্রুত বিচারসহ জুলাই বিপ্লবের দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে ভবিষ্যতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে পারে। তাদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা বোধ নেই। জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও দাবির সঙ্গে এক হয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দলকেও সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

আরও পড়ুনদ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে সারা দেশ থেকে ঢাকা মার্চ: নাহিদ৪ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুন‘শাহবাগ ব্লকেড’ কর্মসূচি চলবে, গণজমায়েত শনিবার২ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

ইসলামবিদ্বেষ এখন ক্ষমতার রাজনীতির নতুন মুদ্রা

আমরা যে পৃথিবীতে বাস করছি, সেটাকে সবচেয়ে সৎ ভাবে বর্ণনা করা যায় এভাবে—ইসলামবিদ্বেষ এখন বৈশ্বিক ক্ষমতার নতুন মুদ্রা। রাজনীতিবিদদের বক্তৃতায়, কূটনীতিকদের চুক্তিতে, সংবাদপত্রের পাতায় এবং নিরাপত্তা বা সন্ত্রাসবিরোধী ভাষ্যে এই মুদ্রা বেশ ভালোভাবেই চলে। এই মুদ্রা গণহত্যার দায়মুক্তি দেয়, স্বৈরশাসককে দেয় বৈধতা, আর নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের নতুন বাজার গড়ে তোলে। গাজার গণহত্যা দেখিয়েছে, মুসলমানের রক্ত শুধু সস্তা নয়; বরং বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর অর্থনীতির জন্য বিনিয়োগযোগ্য পুঁজি।

গাজার দিকে তাকান। দুই বছর ধরে বিশ্ব দেখছে, অবরুদ্ধ একটি জাতিকে কীভাবে ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে। তাদের ঘরবাড়ি ধুলায় মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে পরিবারগুলোর কবর রচিত হচ্ছে, হাসপাতালে বোমা হামলা হচ্ছে, শিশুরা ক্ষুধায় যন্ত্রণায় তিলে তিলে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে।

ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যুদ্ধবিরতি চুক্তি মানে ইসরায়েলের দায় মুক্তি নয়: স্পেন
  • ইসলামবিদ্বেষ এখন ক্ষমতার রাজনীতির নতুন মুদ্রা