পাকিস্তানের সঙ্গে ট্রাম্পের আঁতাত কেন বিপজ্জনক
Published: 16th, November 2025 GMT
প্রথম প্রেসিডেন্ট মেয়াদের একদম শুরুতে, অর্থাৎ ২০১৮ সালের প্রথম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানকে নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ঝেড়েছিলেন।
সেখানে তিনি বলেছিলেন, আগের ১৫ বছরে যুক্তরাষ্ট্র ‘বোকার মতো’ পাকিস্তানকে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে, আর বিনিময়ে পেয়েছে ‘মিথ্যা আর প্রতারণা’।
এর পরপরই তিনি ‘সন্ত্রাসীদের সহায়তা দেওয়ার’ অভিযোগে, বিশেষ করে নাইন ইলেভেন হামলার প্রায় এক দশক পরও ওসামা বিন লাদেনকে ‘লুকিয়ে রাখার কারণে’ পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দকৃত মার্কিন নিরাপত্তা সহায়তা স্থগিত করেন।
আজও পাকিস্তান বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে নিরাপদ আশ্রয়, সামরিক সহায়তা এবং গোয়েন্দা সহযোগিতা দিয়ে আসছে।
এ ছাড়া যে চীন সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাণিজ্য সমঝোতায় পৌঁছালেও এখনো যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়ে গেছে, সেই চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব রয়েছে।
আরও পড়ুনপাকিস্তান কি আরও স্বৈরশাসনের পথে হাঁটছে১১ নভেম্বর ২০২৫এ অবস্থায় পাকিস্তানকে ধমকানোর বদলে যুক্তরাষ্ট্র উল্টো ইসলামাবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান বদলকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলছেন, ইরানকে ঠেকানো এবং যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক স্বার্থে হুমকি হয়ে উঠতে পারে এমন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর লাগাম টেনে ধরার ক্ষেত্রে ইসলামাবাদ ওয়াশিংটনের ‘মূল্যবান অংশীদার’।
কিন্তু পাকিস্তান বারবার প্রমাণ করেছে, নিরাপত্তা ইস্যুতে তারা মোটেও নির্ভরযোগ্য অংশীদার নয়।
পাকিস্তানের সেই চরিত্র এখন হঠাৎ বদলে গেছে—এমন মনে করার কোনো কারণ নেই।
তারপরও পাকিস্তানকে ট্রাম্পের হঠাৎ বুকে টেনে নেওয়ার প্রকৃত কারণ সম্ভবত তাঁর ব্যক্তিগত আর্থিক স্বার্থ আর পররাষ্ট্রনীতিতে তাঁর ‘লেনদেনের ভিত্তিতে সম্পর্ক’ করার অভ্যাস। এই দুটোই এখানে এক হয়ে গেছে।
আরও পড়ুনভারত ও পাকিস্তান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন খেলা০৬ আগস্ট ২০২৫গত এপ্রিলে ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফাইন্যান্সিয়াল-এর সঙ্গে পাকিস্তান যে বিতর্কিত বিনিয়োগ চুক্তিটি করেছে, সেটির দিকে নজর দেওয়া যাক।
এই ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগ মালিকানা ট্রাম্প পরিবারের হাতে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী জ্যাক উইটকফ হলেন ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের ছেলে।
স্বাভাবিকভাবে এই চুক্তির প্রধান সুফলভোগী ট্রাম্প পরিবার এবং উইটকফ পরিবার।
এই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের নৈতিকতা–বিষয়ক নজরদারি সংস্থা এবং সাবেক মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্বেগে ফেলেছে। তাঁরা বলছেন, ট্রাম্পের ব্যবসায়িক স্বার্থ মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে গুলিয়ে যাচ্ছে।
ব্যক্তিগত ধনসম্পদ বাড়ানোই ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির মূল মোক্ষ বলে যে ধারণা ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে, এই চুক্তির কারণে সেই ধারণা আরও পোক্ত হয়েছে।
গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের ‘রোমাঞ্চ’ সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান জানায়, তারা একটি বাণিজ্য চুক্তিতে একমত হয়েছে।
আরও পড়ুনভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কোন দিকে০৮ অক্টোবর ২০২৫চুক্তির সবকিছু প্রকাশ না করা হলেও পাকিস্তান দারুণ খুশি, কারণ যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর শুল্ক কমাচ্ছে, আর মার্কিন বিনিয়োগ বাড়ার সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে।
পাকিস্তানের কর্মকর্তারা বলছেন, এই চুক্তি ‘জ্বালানি, খনিজ, আইটি, ক্রিপ্টোকারেন্সিসহ নানা খাতে নতুন ধরনের অর্থনৈতিক সহযোগিতার সূচনা করবে।’
এরপর থেকে পাকিস্তান এই ধারণা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে যে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ করতে পারে এবং এটি চীনের বিরল মাটির খনিজ নিয়ন্ত্রণের ওপর মার্কিননির্ভরতা কমাতে সহায়ক হবে।
গত সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের সামরিক-সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠান ফ্রন্টিয়ার ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন পাকিস্তানে জরুরি খনিজ উত্তোলন উন্নয়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি কোম্পানি ইউএস স্ট্র্যাটেজিক মেটালস-এর সঙ্গে ৫০ কোটি ডলারের একটি চুক্তি সই করে।
পাকিস্তানের কাছে এটি কোনো সাধারণ ব্যবসায়িক চুক্তি নয়। এটি বরং দেশটির একটি কূটনৈতিক সাফল্য।
আরও পড়ুনডুরান্ড লাইনের দুদিকে ভূরাজনৈতিক ট্র্যাজেডিতে পাকিস্তান১৬ অক্টোবর ২০২৫এই চুক্তির পরই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং শক্তিধর সামরিক নেতা ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন।
সে সময় তাঁরা ট্রাম্পকে পলিশ করা কাঠের তৈরি একটি বাক্স উপহার দেন। সে বাক্সের মধ্যে ছিল খনিজের নমুনা। এর পরপরই পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রে সমৃদ্ধ বিরল মাটির খনিজ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজের একটি নমুনা (টোকেন) চালান পাঠায়।
কিন্তু পাকিস্তান আদৌ যুক্তরাষ্ট্রকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিরল খনিজ সরবরাহ করতে পারবে কি না, তা খুবই অনিশ্চিত।
দেশটি বারবার দাবি করে আসছে, তাদের কাছে ৬-৮ ট্রিলিয়ন ডলারের খনিজ সম্পদ রয়েছে। এটি অযাচাইকৃত অনুমান।
আর এই কথিত মজুতের বেশির ভাগই আছে বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখাওয়া অঞ্চলে, যেখানে সক্রিয় বিদ্রোহ চলার কারণে বড় আকারে খনিজ উত্তোলন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
এক বিশ্লেষকের রসিক মন্তব্যই যেন বাস্তবতা তুলে ধরে: ‘পাকিস্তান সোনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যা দেয়, তা আসলে নুড়িপাথর।’
আরও পড়ুনআফগানিস্তান নিয়ে যে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান একমত১৪ নভেম্বর ২০২২ট্রাম্প এমন জাঁকজমকপূর্ণ প্রতিশ্রুতি খুব সহজেই বিশ্বাস করেন। আর তার সঙ্গে যদি ব্যক্তিগতভাবে তোষামোদ থাকে, তাহলে তো কথাই নেই।
পাকিস্তানের নেতারা ট্রাম্পকে নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের প্রশংসা করেছেন, এমনকি তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়নও দিয়েছেন।
ফলে পাকিস্তানের দিকে তাঁর ঝুঁকে পড়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। মনে হচ্ছে, পাকিস্তান ঠিক বুঝে ফেলেছে কীভাবে ট্রাম্পের মন জয় করা যায়।
এ সুযোগে পাকিস্তানের নেতারা একটি সাংবিধানিক সংশোধনী পাস করিয়েছে, যাতে সেনাপ্রধান (যাঁকে ট্রাম্প তাঁর ‘সবচেয়ে পছন্দের ফিল্ড মার্শাল’ বলেন) দেশের কার্যত শাসক হয়ে উঠেছেন।
ফলে নির্বাচিত সরকার এখন নামমাত্র একটা বেসামরিক মুখোশে পরিণত হয়েছে।
পাকিস্তানকে এভাবে ট্রাম্প প্রশাসনের আলিঙ্গন করা ভারতের কাছে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল।
কারণ, দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারত্ব গড়ে তুলেছে, যা কিনা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মিল এবং চীনকে প্রতিরোধ করার যৌথ আগ্রহের ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
কিন্তু এখন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে কাছে টেনে সক্রিয়ভাবে ভারতের কূটনৈতিক ও নিরাপত্তাগত স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে।
ভারত যুক্তরাষ্ট্রের এই দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, সংঘর্ষ চলাকালে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর কোনো কথাই হয়নি। কিন্তু ট্রাম্প নিজের কথায় অটল থেকেছেন। এর ফলে দেশের ভেতরে মোদির অবস্থান দুর্বল হয় এবং ভারতে এই ধারণা জোরালো হয় যে যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বাস করা যায় না।সমস্যা শুধু পাকিস্তানের সঙ্গে ট্রাম্পের চুক্তিনির্ভর রাজনীতিতেই সীমাবদ্ধ নয়। গত মে মাসে ভারত-পাকিস্তানের তিন দিনের সামরিক সংঘর্ষ যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে শেষ হওয়ার পর ট্রাম্প প্রকাশ্যে দাবি করেন, সংঘর্ষ থামানোর পেছনে তিনিই প্রধান ভূমিকা রেখেছেন।
ভারত যুক্তরাষ্ট্রের এই দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, সংঘর্ষ চলাকালে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর কোনো কথাই হয়নি। কিন্তু ট্রাম্প নিজের কথায় অটল থেকেছেন।
এর ফলে দেশের ভেতরে মোদির অবস্থান দুর্বল হয় এবং ভারতে এই ধারণা জোরালো হয় যে যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বাস করা যায় না।
মোদি ট্রাম্পের নোবেল পুরস্কারের প্রচেষ্টায় সমর্থন না দেওয়ায় এই দূরত্ব আরও বেড়ে যায়।
অচিরেই এই বিরোধ বাণিজ্যযুদ্ধে রূপ নেয় এবং ট্রাম্প ভারতীয় আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। পরে তা বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করেন।
ভারতের দৃষ্টিতে, এই শুল্ক আরোপ রাজনৈতিক প্রতিশোধ ছাড়া কিছু নয়। ভারত মনে করে, এটি পাকিস্তান ইস্যুতে তৈরি হওয়া কূটনৈতিক বিরোধেরই সম্প্রসারণ।
কারণ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান বা তুরস্ক তাদের বিপুল রুশ জ্বালানি কেনার জন্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়নি।
ভারতের কাছে এগুলো শুধু কূটনৈতিক ভুল-বোঝাবুঝি নয়, বরং তার চেয়ে অনেক বড় ব্যাপার।
এসব ঘটনা এমন একটি কৌশলগত সম্পর্ককে বিপদে ফেলছে, যা গড়ে তুলতে দুই দেশের বহু বছরের পরিশ্রম লেগেছে এবং যা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু পাকিস্তানের তোষামোদ, দেখনদারি উপহার আর ব্যক্তিগত লাভের লোভে পড়ে ট্রাম্প এখন পুরো অঞ্চলকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন; ঠিক যেমন শীতল যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতি অবহেলার নীতি নিয়ে বড় ধরনের ক্ষতি ডেকে এনেছিলেন।
ব্রহ্ম চেলানি নয়াদিল্লিভিত্তিক সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ-এর অধ্যাপক (অব.
স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট, অনুবাদ: সারফুদ্দিন আহমেদ
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র ক টন ত ক এই চ ক ত অবস থ ন স ঘর ষ র জন য আরও প র একট র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসের সকালে রাজধানীর বায়ুর মান কেমন, দেখে নিন
আজ রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসের সকালে রাজধানীর বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর। আর এর মধ্যে দুটি স্থানের বায়ুর মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর।’ আজ সকালে বিশ্বের ১২৭টি নগরীর মধ্যে ঢাকার অবস্থান পঞ্চম। আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার বায়ুর মান ১৭৭। বায়ুর এ মানকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলে গণ্য করা হয়। নগরীর যে দুই স্থানের বায়ু আজ খুব অস্বাস্থ্যকর সে দুই এলাকা হলো বেচারাম দেউড়ি ও কল্যাণপুর। দু্ই স্থানের বায়ুর মান যথাক্রমে ২০২ ও ২১০। বায়ুর মান ২০০’র বেশি হলেই তা খুব অস্বাস্থ্যকর বলে গণ্য হয়। এই দুই স্থানসহ নগরীর ৯টি স্থানে আজ দূষণ পরিস্থিতি খুব খারাপ। সেসব এলাকায় গেলে মাস্ক পরাসহ কিছু নিয়ম মানা জরুরি।
বায়ুদূষণের এ পরিস্থিতি তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের অবস্থা নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়, সতর্ক করে।
বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি, স্কোর ৫২২। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছে পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের কলকাতা ও কুয়েতের কুয়েত সিটি। তিন নগরীর স্কোর যথাক্রমে ২০৯, ২০৫ ও ১৭৭।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বায়ুর মান দিন দিন খারাপ হচ্ছে। কোনো কোনো দিন রাজধানীকে ছাপিয়ে যাচ্ছে এর বাইরের শহরগুলোর দূষণ।
রাজধানীর ৯ এলাকায় দূষণ বেশিবেচারাম দেউড়ি ও কল্যাণপুর বাদ দিয়ে নগরীর বেশি দুষিত আর সাত স্থান হলো আইসিডিডিআরবির ক্যাম্পাস (১৮৯), গোড়ান (১৮৬), দক্ষিণ পল্লবী (১৮৬), মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং (১৭৮), পীরেরবাগ রেললাইন (১৬৭), গুলশানের বে’জ এজ ওয়াটারে (১৬৫) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (১৬৫)।
দূষণ রোধে যা করবেনপুরো নগরীর বায়ুর মান আজ খারাপ। এই নগরীতে আজ বায়ুর যে মান, তাতে অবশ্যই যেকোনো ব্যক্তিকে বাড়ির বাইরে গেলে মাস্ক পরে যেতে হবে। খোলা স্থানে শরীরচর্চা বন্ধ রাখতে হবে। জানালা বন্ধ রাখতে হবে।