আমার র্যাম্প এখন ঢাকা শহরের রাস্তাঘাট: পিয়া জান্নাতুল
Published: 21st, May 2025 GMT
আজ এ রাস্তা, তো কাল অন্য রাস্তা- প্রতিনিয়ত ঢাকা শহরের কোন না কোনো মোড়ে আন্দোলন লেগেই আছে। এতে করে ভয়ঙ্করভাবে বেড়েছে ট্রাফিক জ্যাম। বিষয়টি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলেন মডেল ও আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল।
তিনি পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, ‘ঢাকায় সবসময়ই ভয়ঙ্কর ট্রাফিক থাকে। একটা জায়গা থেকে আরেকটা জায়গায় যাওয়ার জন্য অনেকবার ভাবতে হয়, কারণ রাস্তায় এত জ্যাম যে সময়ের হিসেব রাখা যায় না। কিন্তু এখন তো পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ! নানা আন্দোলনের কারণে বেশিরভাগ রাস্তাই বন্ধ।’
তার কথায়, ‘আমার র্যাম্প এখন যেন পুরো ঢাকা শহরের রাস্তাঘাট! রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকাই যেন আমাদের কাজ হয়ে গেছে। গাড়িতে বসে থাকতে থাকতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যাচ্ছে। আগে তো বাসা থেকে গাড়ি নিয়ে বের হতাম। এখন একটা জায়গায় পৌঁছাতে গেলে প্রথমে গাড়িতে উঠি, তারপর হেঁটে চলি, এরপর রিকশায় উঠি, তারপর আবার কোথাও বাইক নেই, আর শেষমেশ আবার হাঁটি।’
শেষে তিনি লিখেছেন, ‘ঠিকমতো কোথাও পৌঁছানোই যাচ্ছে না, কাজ করবো কীভাবে? কাজের থেকে এখন বড় সংগ্রাম একটা জায়গায় পৌঁছানো! কাজের আগে এত স্ট্রাগল করে যখন পৌঁছাই, তখন কাজটা মন দিয়ে করাটাই কঠিন হয়ে পড়ে।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।
মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।
মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ