জুনের ১৭ তারিখ গলে শুরু হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার প্রথম টেস্ট। এই টেস্ট খেলে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি।

তবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির জন্য তিনি উন্মুক্ত থাকবেন, “যদি দেশের প্রয়োজন হয়, আমি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে নির্বাচনের জন্য এখনও প্রস্তুত থাকব।”

গত প্রায় এক বছর ধরে ম্যাথিউজকে শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি দলে দেখা যায়নি। তবে আসন্ন টেস্টটি হবে তার টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ। ২০০৯ সালে টেস্টে অভিষেকের পর থেকে প্রায় অবিচ্ছিন্নভাবে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে ছিলেন ম্যাথিউজ।

আরো পড়ুন:

খালেদের তোপের পরও সুবিধাজনক অবস্থানে নিউ জিল্যান্ড

গুজরাটকে হারিয়ে মর্যাদা রক্ষা লক্ষ্ণৌর

শ্রীলঙ্কার অবশ্য টেস্ট ক্রিকেটের সূচি কমে এসেছে। ৩৮ বছর বয়সী ম্যাথিউজ হয়তো পরবর্তী টেস্ট খেলতে পারতেন ২০২৬ সালের মে মাসে। কিন্তু না, তিনি এতো অপেক্ষা করবেন না। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ম্যাথিউজ বলেন, “গত ১৭ বছর শ্রীলঙ্কার হয়ে ক্রিকেট খেলা আমার জীবনের সর্বোচ্চ গর্ব ও সম্মান। আমি ক্রিকেটকে সব কিছু দিয়েছি। আর ক্রিকেট দিয়েছে সব কিছু আমাকে, যা আমি আজ। টেস্ট থেকে বিদায় নিলেও, দেশের প্রয়োজন হলে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে নির্বাচনের জন্য আমি প্রস্তুত থাকব।”

২০২৬ সালের শুরুতে শ্রীলঙ্কা ও ভারতের যৌথ আয়োজনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা রয়েছে। সেই বিশ্বকাপের দলে তার নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ম্যাথিউজ এ পর্যন্ত ৩৪টি টেস্টে শ্রীলঙ্কার অধিনায়কত্ব করেছেন। বিশেষ করে ২০১৪ সালে হেডিংলিতে ১৬০ রানের ইনিংস খেলে শ্রীলঙ্কাকে একটি স্মরণীয় জয় এনে দিয়েছিলেন।

টেস্টে ৪৪.

৬২ গড়ে ম্যাথিউজের মোট রান ৮ হাজার ১৬৭ রান, যা শ্রীলঙ্কার সর্বকালের তৃতীয় সর্বোচ্চ। তার সামনে আছেন কুমার সাঙ্গাকারা (১২,৪০০) ও মাহেলা জয়াবর্ধনে (১১,৮১৪)। টেস্টে তার ১৬টি সেঞ্চুরি রয়েছে। বল হাতে নিয়েছেন ৩৩টি উইকেট।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা

জাপানে পড়াশোনা করার আগ্রহ থাকতে পারে অনেকের। এ আগ্রহে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দারুণ এক সুযোগ নিয়ে এসেছে দেশটির হোনজো ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশনের হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ ২০২৬-এ আবেদন শুরু হয়েছে। এই মর্যাদাপূর্ণ জাপানি বৃত্তির মাধ্যমে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যাবে। এতে রয়েছে আংশিক অর্থায়নের বৃত্তির পাশাপাশি মাসিক ভাতা, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এই আন্তর্জাতিক বৃত্তি মূলত তাঁদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার লক্ষ্যেই প্রদান করা হয়। পাশাপাশি এটি জাপান এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করবে।

হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপের উদ্দেশ্য—

১৯৯৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে হোনজো ফাউন্ডেশনকে আন্তর্জাতিক বৃত্তি সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেন টাউন লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মাসানরি হোনজো। তিনি ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক মূলধন হিসেবে ২০ কোটি ইয়েন নগদ অর্থ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ শেয়ার দান করেন এ বৃত্তির জন্য। হোনজো ফাউন্ডেশন উন্নয়নশীল দেশের সেই সব শিক্ষার্থীকে সাহায্য করে, যাঁরা ভবিষ্যতে নিজেদের দেশকে উন্নয়নের পথে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন। পাশাপাশি জাপানি শিক্ষার্থীরাও বিদেশে পড়াশোনার জন্য এ বৃত্তি পেয়ে থাকেন, যা বৈশ্বিক সংযোগ ও আন্তর্জাতিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

আবেদনে যোগ্যতার শর্ত

হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে—

—জাপান ব্যতীত সব দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

—আবেদনকারীকে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া কোনো গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে বা ভর্তির পরিকল্পনা থাকতে হবে।

—বর্তমান শিক্ষার্থী, যাঁরা এখনো ভর্তি হননি বা কর্মরত, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন, যদি তাঁরা এপ্রিল ২০২৬-এ ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা করেন।

—যাঁরা ২০২৫ সালের শরৎকালীন সেমিস্টারে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁরাও এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

—প্রফেশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কুলে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা সাধারণত যোগ্য নন, তবে বৈধ গবেষণা পরিকল্পনা জমা দিতে পারলে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।

বয়সসীমা

—পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।

—মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ বছর।

—পড়াশোনা শেষ করার পর নিজ দেশের উন্নয়নে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে।

—আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতি আগ্রহী হতে হবে এবং ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও অ্যালামনাই নেটওয়ার্কে অংশগ্রহণ করতে হবে।

—দৈনন্দিন কথোপকথনের মতো জাপানি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে, কারণ, সাক্ষাৎকার কেবল জাপানি ভাষায় হবে।

বৃত্তির সুবিধা

হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপক আর্থিক ও একাডেমিক সহায়তা প্রদান করে:

১। পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ।

২। মাসিক ভাতা।

—১ বা ২ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার ইয়েন।

—৩ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ১০ হাজার ইয়েন।

—৪ বা ৫ বছরের কোর্সের জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন।

—জাপানে যাওয়ার জন্য ট্রাভেল গ্র্যান্ট দেওয়ার সুযোগ থাকতে পারে।

—আর্থিক দুশ্চিন্তা ছাড়াই পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ।

—জাপানের সংস্কৃতিময় জীবনযাত্রা উপভোগের পাশাপাশি পড়াশোনার সুযোগ।

—বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্লোবাল নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার সুযোগ।

হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তিতে শিক্ষার্থীরা পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ পাবেন এবং পাবেন মাসিক ভাতা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সেন্ট যোসেফের উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি, নিয়ম প্রকাশ
  • জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা