টেস্ট ছাড়ার ঘোষণা ম্যাথুসের, শেষ টেস্ট বাংলাদেশের বিপক্ষে
Published: 23rd, May 2025 GMT
টেস্ট ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। আগামী জুনে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্টে সিরিজে প্রথম টেস্ট শেষে সাদা জার্সিটি তুলে রাখবেন এই অলরাউন্ডার। তবে দল চাইলে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলার জন্য প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন ম্যাথুস।
প্রায় এক বছর ধরে ম্যাথুসকে শ্রীলঙ্কার সাদা বলের সংস্করণে দেখা যায়নি। আর সাদা বলের দলে সুযোগ না পেলে বাংলাদেশের বিপক্ষে গল টেস্ট দিয়েই শেষ হবে তাঁর ক্যারিয়ার। এটি হবে তাঁর ১১৯তম টেস্ট ম্যাচ। ২০০৯ সালে টেস্ট অভিষেকের পর দলে নিয়মিত ছিলেন ম্যাথুস। শ্রীলঙ্কার পরবর্তী টেস্ট সিরিজ হতে পারে ২০২৬ সালের মে মাসে। ম্যাথুস আগামী সপ্তাহে ৩৮ বছরে পা দেবেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া ঘোষণায় ম্যাথুস বলেছেন, ‘১৭ বছর ধরে শ্রীলঙ্কার হয়ে ক্রিকেট খেলা ছিল আমার সবচেয়ে বড় গর্ব ও সম্মানের বিষয়। আমি ক্রিকেটকে সবকিছু দিয়েছি, ক্রিকেটও আমাকে সব দিয়েছে। ক্রিকেটই আমাকে আজকের অবস্থানে এনেছে।’
ম্যাথুস আরও বলেন, ‘আমি টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানালেও নির্বাচকদের সঙ্গে আলোচনা অনুযায়ী, সাদা বলের সংস্করণে দেশের প্রয়োজন হলে আমি খেলতে প্রস্তুত।’ ২০২৬ সালের শুরুতে ভারত ও শ্রীলঙ্কা যৌথভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে।
আরও পড়ুনদক্ষিণ এশিয়ায় যা আগে হয়নি, হামজা–শমিতদের ম্যাচে তেমন চমক দেখাতে চায় বাফুফে১৭ মিনিট আগেম্যাথুস ৩৪টি টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম স্মরণীয় জয় ছিল ২০১৪ সালে হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ১৬০ রানের ইনিংস ম্যাচের ফল বদলে দেয়।
টেস্টে ম্যাথুসের রান ৮১৬৭। শ্রীলঙ্কার হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় তিনি তৃতীয়—সামনে আছেন কুমার সাঙ্গাকারা (১২,৪০০) ও মাহেলা জয়বর্ধনে (১১,৮১৪)। তাঁর সেঞ্চুরির সংখ্যা ১৬, গড় ৪৪.
ম্যাথুস সেরা ফর্মে ছিলেন ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে। এই সময়ে টেস্টে তিনি ২৩৭৮ রান করেন ৫৯.৪৫ গড়ে। তখন বেশির ভাগ সময় ৫ বা ৬ নম্বরে ব্যাট করেছেন। ২০২২ ও ২০২৩ সালও ম্যাথুসের দারুণ কেটেছে। এ দুই বছরে ২১৪১ রান করেন ৫১.১৫ গড়ে। এই সময়টাতে ব্যাটিং করেছেন চারে। তাঁর সর্বশেষ সেঞ্চুরি এসেছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
আরও পড়ুন১৩ হাজার টেস্ট রান: রুট যেখানে সবার আগে এবং সবার পরে৪৯ মিনিট আগেউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা
জাপানে পড়াশোনা করার আগ্রহ থাকতে পারে অনেকের। এ আগ্রহে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দারুণ এক সুযোগ নিয়ে এসেছে দেশটির হোনজো ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশনের হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ ২০২৬-এ আবেদন শুরু হয়েছে। এই মর্যাদাপূর্ণ জাপানি বৃত্তির মাধ্যমে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যাবে। এতে রয়েছে আংশিক অর্থায়নের বৃত্তির পাশাপাশি মাসিক ভাতা, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এই আন্তর্জাতিক বৃত্তি মূলত তাঁদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার লক্ষ্যেই প্রদান করা হয়। পাশাপাশি এটি জাপান এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করবে।
হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপের উদ্দেশ্য—১৯৯৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে হোনজো ফাউন্ডেশনকে আন্তর্জাতিক বৃত্তি সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেন টাউন লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মাসানরি হোনজো। তিনি ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক মূলধন হিসেবে ২০ কোটি ইয়েন নগদ অর্থ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ শেয়ার দান করেন এ বৃত্তির জন্য। হোনজো ফাউন্ডেশন উন্নয়নশীল দেশের সেই সব শিক্ষার্থীকে সাহায্য করে, যাঁরা ভবিষ্যতে নিজেদের দেশকে উন্নয়নের পথে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন। পাশাপাশি জাপানি শিক্ষার্থীরাও বিদেশে পড়াশোনার জন্য এ বৃত্তি পেয়ে থাকেন, যা বৈশ্বিক সংযোগ ও আন্তর্জাতিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
আবেদনে যোগ্যতার শর্ত
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে—
—জাপান ব্যতীত সব দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
—আবেদনকারীকে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া কোনো গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে বা ভর্তির পরিকল্পনা থাকতে হবে।
—বর্তমান শিক্ষার্থী, যাঁরা এখনো ভর্তি হননি বা কর্মরত, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন, যদি তাঁরা এপ্রিল ২০২৬-এ ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা করেন।
—যাঁরা ২০২৫ সালের শরৎকালীন সেমিস্টারে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁরাও এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
—প্রফেশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কুলে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা সাধারণত যোগ্য নন, তবে বৈধ গবেষণা পরিকল্পনা জমা দিতে পারলে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।
বয়সসীমা—পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।
—মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
—পড়াশোনা শেষ করার পর নিজ দেশের উন্নয়নে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে।
—আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতি আগ্রহী হতে হবে এবং ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও অ্যালামনাই নেটওয়ার্কে অংশগ্রহণ করতে হবে।
—দৈনন্দিন কথোপকথনের মতো জাপানি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে, কারণ, সাক্ষাৎকার কেবল জাপানি ভাষায় হবে।
বৃত্তির সুবিধা
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপক আর্থিক ও একাডেমিক সহায়তা প্রদান করে:
১। পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ।
২। মাসিক ভাতা।
—১ বা ২ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার ইয়েন।
—৩ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ১০ হাজার ইয়েন।
—৪ বা ৫ বছরের কোর্সের জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন।
—জাপানে যাওয়ার জন্য ট্রাভেল গ্র্যান্ট দেওয়ার সুযোগ থাকতে পারে।
—আর্থিক দুশ্চিন্তা ছাড়াই পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ।
—জাপানের সংস্কৃতিময় জীবনযাত্রা উপভোগের পাশাপাশি পড়াশোনার সুযোগ।
—বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্লোবাল নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার সুযোগ।
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তিতে শিক্ষার্থীরা পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ পাবেন এবং পাবেন মাসিক ভাতা।