প্রভাসের সঙ্গে দীপিকার পরিবর্তে তৃপ্তি দিমরি
Published: 25th, May 2025 GMT
প্রভাস অভিনীত ‘স্পিরিট’ সিনেমায় অভিনয় করার কথা ছিল দীপিকা পাড়ুকোনের। কিন্তু পারিশ্রমিকসহ নানা বিষয়ে মতানৈক্যের কারণে সরে দাঁড়ান তিনি। দীপিকার স্থানে কাকে নেওয়া হবে তা নিয়ে ছিল গুঞ্জন। এবার নির্মাতারা খুঁজে পেলেন নতুন মুখ। ‘অ্যানিম্যাল’ ও ‘কবির সিং’-এর পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি বাঙ্গার এই সিনেমায় মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে তৃপ্তি দিমরিকে।
শনিবার নিজের ইনস্টাগ্রামে ছবির একটি পোস্টার শেয়ার করে ‘স্পিরিট’-এ নিজের উপস্থিতির কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন তৃপ্তি। তিনি লেখেন, ‘এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না। এই যাত্রার অংশ হতে পেরে কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ সন্দীপ রেড্ডি বাঙ্গা, আমি গর্বিত।’
পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি বাঙ্গাও সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃপ্তিকে। তিনি লিখেছেন, ‘আমার ছবির প্রধান নারী চরিত্র এখন অফিসিয়ালি ঘোষিত।’
এই প্রথমবার একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে চলেছেন প্রভাস ও তৃপ্তি। তাদের জুটি নিয়ে ইতোমধ্যেই দর্শকমহলে আগ্রহ তুঙ্গে। পাশাপাশি, এটি তৃপ্তির দ্বিতীয় ছবি পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি বাঙ্গা, প্রযোজক ভূষণ কুমার এবং প্রণয় রেড্ডি বাঙ্গার সঙ্গে। এর আগে তারা একসঙ্গে কাজ করেছেন সুপারহিট ছবি ‘অ্যানিম্যাল’-এ, যেখানে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন রণবীর কাপুর।
কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে আসে খবর, দীপিকা পাড়ুকোন ‘স্পিরিট’ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। অভিনেত্রীর বেশ কিছু শর্ত—যেমন দিনে সর্বোচ্চ আট ঘণ্টা কাজ, মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক এবং ছবির লাভের একটি শতাংশ দাবি। আর এতেই পরিচালকের সঙ্গে মতবিরোধ তৈরি হয়।
বর্তমানে তৃপ্তির হাতে রয়েছে ‘ধাড়ক ২’ ও বিশাল ভরদ্বাজের একটি সিনেমা। দীপিকা এখন কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত ক্রাইম থ্রিলার ‘কিং’ সিনেমায়। এখানে তিনি আবারও একসঙ্গে কাজ করবেন শাহরুখ খান ও পরিচালক আনন্দের সঙ্গে। ছবিতে আরও অভিনয় করছেন সুহানা খান, অভয় ভার্মা, জয়দীপ আহলাওয়াত, অনিল কাপুর, জ্যাকি শ্রফ, রানী মুখার্জি ও অভিষেক বচ্চনের মতো তারকারা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর চ ল
এছাড়াও পড়ুন:
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।
ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।
আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগেঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।