পরিচালকদের সঙ্গে সভা স্থগিত করলেন বিসিবি সভাপতি
Published: 29th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের সভা হওয়ার কথা ছিল শনিবার। এর মধ্যেই সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে বিসিবিতে সভাপতি ফারুক আহমেদের অবস্থান নড়বড়ে। তাকে পদত্যাগ করতে বলেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা।
এসব নিয়ে চর্চার মধ্যে খবর এসেছে, শনিবারের পূর্বনির্ধারিত বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে সভা স্থগিত করেছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। বিসিবির এক পরিচালক জানিয়েছেন, সভা স্থগিত হলেও এদিন বিসিবিতে আসবেন সভাপতি এবং তার অবস্থান নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে কথাও বলতে পারেন তিনি।
ক্রীড়া উপদেষ্টার পক্ষ থেকে বিসিবি সভাপতি ফারুককে পদত্যাগ করতে বলা হলে তিনি কিছুটা সময় চান। পরে কিছু সংবাদ মাধ্যমকে ফারুক জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না। কারণ তিনি বিসিবি পরিচালকদের ভোটে নির্বাচিত সভাপতি।
সরকারের চাওয়ায় ক্রীড়া পরিষদের কোটায় সরাসরি বিসিবি পরিচালক হন ফারুক। পরে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পান। তবে সরকার চাইলেই তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে পারবে না। জোরপূর্বক অব্যাহতি দিলে তা সরকারি হস্তক্ষেপ হিসেবে গণ্য হবে। এতে আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট।
জানা গেছে, বিসিবির পরবর্তী সভাপতি হিসেবে সাবেক ক্রিকেটার ও আইসিসির সঙ্গে কাজ করা আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে পছন্দ সরকারের। বিষয়টি নিশ্চিত করে বুলবুল সমকালকে জানান, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি কাজও করতে আগ্রহী। তবে নির্বাচক পর্যন্ত দায়িত্ব নিতে চান আমিনুল। নিজে নির্বাচনে অংশ নেবেন বলেও জানিয়েছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ র ক আহম দ য গ কর সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে দুই ট্রেনের সময় বদলে যাচ্ছে
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলা সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে নতুন করে নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নতুন সময়সূচি আগামী ১০ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস (৮২১ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি এখন সকাল সোয়া ৬টায় চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায়। নতুন সূচি অনুযায়ী, পরীক্ষামূলকভাবে এ ট্রেন চলাচল করবে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে।
আর কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী প্রবাল এক্সপ্রেস (৮২২ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি কক্সবাজার স্টেশন ছাড়বে সকাল ১০টায়। এখন এ ট্রেন ছাড়ে ১০টা ২০ মিনিটে। গত মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলরত সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেসের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের উপপ্রধান পরিচালন কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান।
রেলওয়ের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকীকের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের চাহিদা ও সময়ানুবর্তিতা রক্ষায় সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনার জন্য কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রামমুখী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে এখন দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলাচল করে আরও দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন।
কক্সবাজার রেললাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর। প্রথমে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে আন্তনগর বিরতিহীন ট্রেন দেওয়া হয়। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে চলাচল শুরু করে পর্যটক এক্সপ্রেস। এটাও দেওয়া হয় ঢাকা থেকে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন না দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
গত বছরের ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই ট্রেন। এরপর ইঞ্জিন ও কোচের সংকটের কথা বলে গত বছরের ৩০ মে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে সেই অবস্থান থেকে সরে আসে রেলওয়ে। গত বছরের ১২ জুন থেকে আবার চালু হয় ট্রেন। আর নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হয় চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।
সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রী ওঠানামার জন্য ষোলশহর, জানালী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা ও রামু স্টেশনে থামবে।
আর প্রবাল এক্সপ্রেস যাত্রাপথে থামবে ষোলশহর, গোমদণ্ডী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলহাজারা, ইসলামাবাদ ও রামু স্টেশনে।