মিস ওয়ার্ল্ড থেকে কেন বেরিয়ে গেলেন ইংল্যান্ডের মিলা?
Published: 30th, May 2025 GMT
বিশ্বসুন্দরীর খেতাব জয়ের জন্য ১২০ দেশের সুন্দরীরা ভারতের হায়দরাবাদে জড়ো হয়েছেন। কারণ সেখানে বসেছে বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতা মিস ওয়ার্ল্ডের ৭২তম আসর। গুরুতর অভিযোগ এনে এ আসর থেকে বেরিয়ে গেছেন যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি মিলা ম্যাগি। ফলে বিষয়টি সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
মিস ওয়ার্ল্ডের মতো আসরে কী এমন ঘটেছে, যার জন্য প্রতিযোগিতা থেকেই নিজেকে প্রত্যাহার করলেন ২৪ বছরের মিলা? এ নিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য সানকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। তার এ আলাপচারিতায় উঠে এসেছে অপ্রত্যাশিত কিছু বিষয়।
হায়দরাবাদে বিলাসবহুল ডিনারে ধনী পুরুষদের (স্পন্সর) আপ্যায়নের জন্য তাদের (প্রতিযোগিদের) ব্যবহার করা হতো। এ তথ্য উল্লেখ করে মিলা ম্যাগি বলেন, “ছয়জন অতিথি (পুরুষ)। তাদের প্রত্যেক টেবিলে দুজন করে মেয়ে ছিল। আশা করা হয়েছিল, আমরা পুরো সন্ধ্যা তাদের সঙ্গে বসে কাটাব। তাদের ধন্যবাদ জানাব। আমার কাছে এটি অবিশ্বাস্য একটি ব্যাপার মনে হয়েছে।”
আরো পড়ুন:
মধুবালার প্রেমে পড়েছিলেন পাকিস্তানের যে প্রেসিডেন্ট
ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ
মিলা ম্যাগি পরিষ্কারভাবে বলেন, “মনে আছে, আমি ভেবেছিলাম— ‘এটা খুবই ভুল।’ আমি এখানে মানুষকে বিনোদন দিতে আসিনি।”
তার টেবিলের পুরুষ অতিথিরা তাকে অস্বস্তিতে ফেলেন। তা জানিয়ে মিলা ম্যাগি বলেন, “একপর্যায়ে যে বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম, তা শুনতে টেবিলে থাকা পুরুষেরা আগ্রহী ছিলেন না। বরং অদ্ভুত রকমের ছোট ছোট কথাবার্তা বলছিলেন, যা আমাকে অস্বস্তি দেয়।”
খানিকটা ব্যাখ্যা করে মিলা ম্যাগি বলেন, “পরিস্থিতি এমন করেছিলেন যে, নিজেকে পতিতা মনে হচ্ছিল। ১০ লাখ বছরেও নিজেকে এমন পরিস্থিতিতে খুঁজে পাব এমনটা আশা করি না। এসব লোকদের খুশি করার জন্য, বানরের মতো পারফর্ম করতে সেখানে ছিলাম। আমি এটা মেনে নিতে পারিনি।”
মিলা এসব অভিযোগ করার পর মিস ওয়ার্ল্ডের চেয়ারম্যান ও সিইও জুলিয়া মোরলে সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, “মিলা তার বসকে বলেছেন, ‘তার মা শারীরিকভাবে অসুস্থ।’ সহানুভূতি দেখিয়ে তারা তাকে ইংল্যান্ডে ফেরার ব্যবস্থা করেছেন।”
জুলিয়ার এই বক্তব্যের জবাবে মিলা ম্যাগি বলেন, “আমার মা স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগছেন এটা ঠিক। কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে আসার কারণ যা বলার ছিল তা আমি বলেছি।”
“আমাদের সঙ্গে যে ভয়াবহ আচরণ করা হয়েছে, তারপর আমি কেবল বাড়ি ফেরার প্রয়োজন বোধ করেছি। আমি এমন একটি প্রতিযোগিতায় থাকতে পারি না, যা আমার কাছে নৈতিকভাবে সঠিক বলে মনে হয় না।” বলেন মিলা।
মিলা ম্যাগি পেশায় একজন লাইফগার্ড। ২০২৪ সালে ‘মিস ইংল্যান্ড’ নির্বাচিত হন। তারপর বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় দেশটির প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন মিলা
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন দর র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম
উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।
এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকা/রায়হান/রফিক