Risingbd:
2025-09-18@08:25:12 GMT

বিসিবির নতুন সভাপতি বুলবুল

Published: 30th, May 2025 GMT

বিসিবির নতুন সভাপতি বুলবুল

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। ষোলোতম প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি আরেক সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।

শুক্রবার (৩০ মে) বিকেলে পরিচালনা পর্ষদের সভায় বুলবুল প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। বিকেল সাড়ে ৪টায় এই সভা শুরু হয়। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) চাকরি ছেড়ে বিসিবিতে এসেছেন বুলবুল। রাইজিংবিডিকে বিসিবি অফিসিয়াল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রতিনিধি হয়ে বুলবুল বিসিবিতে আসেন। প্রথম কাউন্সিলয় তারপর তাকে এনএসসি পরিচালক হিসেবে বিসিবিতে মনোনীত করে।

আরো পড়ুন:

স্লোগানে স্লোগানে বিসিবিতে স্বাগত বুলবুল

ফারুক আহমেদকে সরাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ

এর আগে ফারুক আহমেদের মনোনয়ন বাতিল করলো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। তাতে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বিসিবি সভাপতি পদের দায়িত্ব হারান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ``বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এর গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ: ১৩.

২ (খ) ৪) মোতাবেক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ-এর ১৯/০৮/২০২৪ তারিখের, ৩৪.০৩.০০০০.০০৪.০৩.০২৯-৩০৭৮ সংখ্যক স্মারক মূল্যে ইতঃপূর্বে মনোনীত পরিচালক জনাব ফারুক আহমেদ এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ০৮ জন পরিচালক (বর্তমানে সংখ্যাগরিষ্ঠ) অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করায় এবং বিপিএল সংক্রান্তে গঠিত সত্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার প্রয়োজনে জনাব ফারুক আহমেদ এর অনুকূলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ইতঃপূর্বের মনোনয়ন বাতিল করা হলো।’’

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিসিবির জন্য ফারুক আহমেদ ও নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে প্রথমে কাউন্সিলর ও পরে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়। পরবর্তীতে পরিচালকদের ভোটে ফারুক বিসিবির সভাপতি নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ৯ মাস পর তার সেই মনোনয়ন বাতিল করে দিল এনএসসি।

বিসিবির গঠনতন্ত্র অনযায়ী, নির্বাচিত পরিচালকদের পাশাপাশি পরিচালনা পর্ষদে সরাসরি দুজন জায়গা পান এনএসসির মনোনয়নে। এনএসসি এই মনোনয়ন বাতিল করায় ফারুক আহমেদের আর বিসিবিতে থাকা হচ্ছে না।

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ র ক আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাক্তন স্ত্রী দেবশ্রীর সঙ্গে প্রেমের সিনেমা করতে চান প্রসেনজিৎ

ভারতীয় বাংলা সিনেমার তারকা জুটি প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি ও দেবশ্রী রায়। পর্দায় এ জুটির রোমান্স দেখে মুগ্ধ হয়েছেন অসংখ্য ভক্ত। রুপালি পর্দার রোমান্স ব্যক্তিগত জীবনেও গড়ায়। ভালোবেসে দেবশ্রী রায়কে বিয়ে করেন প্রসেনজিৎ। কিন্তু কয়েক বছর পরই এ বিয়ে ভেঙে যায়। তারপর দুজনের পথ আলাদা হয়ে যায়। 

সংসার ভাঙার পাশাপাশি দর্শক হারান রুপালি পর্দার জনপ্রিয় এই জুটিকে। এরপর আর কোনো সিনেমায় একসঙ্গে দেখা যায়নি তাদের। অবশেষে দূরত্ব কমিয়ে দেবশ্রীর সঙ্গে সিনেমা করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করলেন প্রসেনজিৎ।  

আরো পড়ুন:

নিজেকে তৈরি করে খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয় করব: স্বস্তিকা

ছেলের বন্ধুরা ‘দিদি’ বলে ডাকে: শ্রাবন্তী

কিছুদিন আগে ‘আমি যখন হেমা মালিনী’ সিনেমার প্রচারে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেছিলেন—“দেব-শুভশ্রী জুটির পর আমি চাই আবার প্রসেনজিৎ-দেবশ্রী জুটি ফিরুক, এই জুটিটা ফেরার অত্যন্ত প্রয়োজন।” ‘দেবী চৌধুরানী’ সিনেমার প্রচারে চিরঞ্জিতের এই বক্তব্য প্রসেনজিৎকে জানানো হয়। 

এ বিষয়ে প্রসেনজিৎ বলেন, “আমি তো চাই দীপকদা একটা স্ক্রিপ্ট লিখুক আমাদের জন্য, আমার বহুদিনের ইচ্ছা ছিল এবং আমি অনেকবার দীপকদাকে বলেছি যে, আমি তোমার পরিচালনায় একটা কাজ করতে চাই। দীপকদা, আমাদের জন্য যদি পরিচালনা করেন তাহলে অবশ্যই আমি সিনেমা করতে চাই। আর আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে দেবশ্রীর সঙ্গে আবারো একটা পরিণত প্রেমের সিনেমা করতে চাই।” 

তাহলে কী পুরোনো তিক্ততা ভুলে গেছেন প্রসেনজিৎ? জবাবে এই নায়ক বলেন, “আমার কারো সঙ্গে কোনো তিক্ততা নেই। যে আমার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলবে, আমি সব সময় তাদের জন্য আছি। আর কোনো তিক্ততা নিয়ে বাঁচতে চাই না, যে কটা দিন আছি সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক নিয়েই থাকতে চাই।” 

এক সময় দেবশ্রীকে নিয়ে কথা বলতে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ বোধ করতেন না প্রসেনজিৎ। তবে অভিমান ভুলে কাজের ক্ষেত্রে আবার এক হওয়ার কথা বললেন তিনি। বর্তমানকে ভালোবেসে যেমন এগিয়ে যান, ঠিক তেমনই কি অতীতকেও আঁকড়ে বাঁচেন?  

এ প্রশ্নের জবাবে প্রসেনজিৎ বলেন, “নিজের অতীতকে কখনো উপেক্ষা করা যায় না। মাঝেমাঝেই আমি আমার অতীতে ফিরে যাই; সেই সময়গুলোর জন্যই আজকের আমি। অতীত আমাকে অনেক ভালোবাসা, রাগ-দুঃখ-ক্ষোভ দিয়েছে। আমার ক্ষেত্রে যেটা অল্প কিন্তু তবু আছে সেটা হলো—ঘৃণা। সেটাও পেয়েছি, তবে অতীত যেমনই হোক না কেন, তাকে কখনো ফেলে দেওয়া যায় না। আমরা সবাই মাঝে মাঝে অতীতে ফিরে যাই।” 

সময়ের সঙ্গে অনেক কিছু বদলে গেছে। বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতেও দ্বিধাবোধ করেন না প্রসেনজিৎ।তার ভাষায়—“এই বদলগুলোকে মেনে না নিলে আমাকে পিছিয়ে পড়তে হবে। আমি প্রচুর বদল দেখেছি, তবে যেই সময় যেটা এসেছে, তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছি, এটাই তো করা উচিত। না হলে বর্তমান প্রজন্ম থেকে দূরে সরে যেতে হবে।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ