Samakal:
2025-11-03@05:56:34 GMT

ঈদ ছুটিতে গরুর সঙ্গে সেলফি

Published: 30th, May 2025 GMT

ঈদ ছুটিতে গরুর সঙ্গে সেলফি

ঈদের ছুটির আগেই শুরু ঈদের পরিকল্পনা। অথচ সবার পরিকল্পনায় কেবল সেলফি। ভাবলাম, আসলেই তো, এখন কেবল ঈদ নয়; সব সময়ই সবাই সেলফি নিয়ে মেতে থাকে। আমার সেলফি ভালো লাগে না। তবু এই সেলফি নিয়ে ঘটলো এক কাণ্ড। সেই ঘটনা বলছি– গ্রামে দাদুবাড়িতে আমাদের গরু কেনা হয়েছে। আমরাও এলাম গ্রামের বাড়িতে। অনেক মজা করছি চাচাতো-ফুফাতো ভাইবোনরা। একদিন আমি চাচ্চুর সঙ্গে আমাদের গরুর পরিচর্যা করছিলাম। এমন সময় আমার এক চাচাতো বোন এসে হাজির। ও খুশিতে গদগদ হয়ে বললো, ‘চলো, একটা সেলফি তুলি।’
আমি মনে মনে ভাবলাম, তা মন্দ হয় না। কিন্তু ও আমায় অবাক করে দিয়ে ফের বললো, ‘এবারের কোরবানিতে আমাদের গরুটার সঙ্গে একটা সেলফিও তোলা হয়নি। সবাই গরুর ছবি তুলে পোস্ট করছে। আমি করবো না, তা কি হয়?’
আমার আত্মসম্মানে বাধলো! বললাম, ‘তুই আমার সঙ্গে সেলফি তুলবি তার মানে কি আমি গরু!’
ও বললো, ‘আরে না, না! তুই  আর আমি একসঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় গরুর সঙ্গে সেলফি তুলবো।’
আমার আগ্রহটাই মাটি হলে গেলো। শেষ পর্যন্ত গরুর সঙ্গেও.

..?
যা হোক গরুর সঙ্গে ওর কয়েকটা ছবি তুলে দিতে রাজি হলাম। ও হঠাৎ ভীত কণ্ঠে বললো, ‘ভয় লাগছে! আগের বার ঈদের গরুটা আমায় লেজ দিয়ে বাড়ি দিয়েছিল।’ আমি হেসে বললাম, ‘তুই তখন বোধ হয় বিউটি প্লাস দিয়ে ছবিটি তুলিসনি, তাই গরুটা মাইন্ড করছিল।’
তারপর ওকে বিউটি প্লাস দিয়ে দারুণ দারুণ কিছু ছবি তুলে দিলাম। একটা ছবি দেখিয়ে বললাম, ‘দ্যাখ দ্যাখ! গরুটাকে তো তোর চেয়েও ভালো লাগছে!’ ও শুনে খুব ক্ষেপে গেলো। তখনি মায়ের ডাক। চোখ খুলে দেখি সকাল হয়ে গেছে। একটু পরেই আমরা গ্রামের বাড়ির পথ ধরবো!
তারপর গরু কিনতে হবে। গরুকে খাওয়াতে হবে। সবার সঙ্গে হৈ-হল্লা করতে হবে। কতো কতো কাজ!
n বয়স : ৩+৩+৩ বছর; পঞ্চম শ্রেণি, আইডিয়াল একাডেমি, রাজশাহী

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।

মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।

সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।

মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ

সম্পর্কিত নিবন্ধ