জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রদানকারীরা গাজা অব্যাহত বিমান হামলা, অপুষ্টি, বাস্তুচ্যুতি এবং জনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে বিপর্যস্ত পরিস্থিতিকে বিপর্যয়কর এবং ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে বর্ণনা করেছেন।

শনিবার (৩১ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (৩০ মে) জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় অফিস (ওসিএইচএ) এক বিবৃতিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৯ মে) জাতিসংঘ ও এর মানবিক অংশীদারদের কাছ থেকে ত্রাণবাহী পাঁচটি ট্রাক গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে, যা গত চার দিনের মধ্যে প্রথম প্রবেশ। একই চেকপয়েন্ট, কেরেম শালোম/কারেম আবু সালেম ক্রসিং থেকে আরো ৬০টি ট্রাককে ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু এলাকায় তীব্র সংঘর্ষের কারণে ত্রাণের ট্রাকগুলোকে লোডিং জোনে ফিরে যেতে হয়েছিল।

আরো পড়ুন:

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুধার্ত এলাকা এখন ‘গাজা’

হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন প্রস্তাবে রাজি ইসরায়েল

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের প্রধান মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, ক্রসিংয়ের আশেপাশের এলাকাটি এমন একটি এলাকা যেখানে প্রচুর সশস্ত্র দল কাজ করছে, বিশেষ করে নো ম্যানস ল্যান্ডে, যা ক্রসিং থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।  তিনি বলেন,  “পাঁচটি ট্রাক চিকিৎসা সরঞ্জাম বহন করছিল, যা দেইর আল-বালাহের ফিল্ড হাসপাতালের জন্য ছিল এবং আজ (শুক্রবার) বেশিরভাগ সরবরাহ লুট করা হয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।”

ওসিএইচএ জানিয়েছে, গাজায় প্রায় ৮০ দিন ধরে খাবার, ওষুধ, পানি, জ্বালানিসহ সব ধরনের সরবরাহে ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞার পর ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটিতে মানবিক চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন গাজা উপত্যকায় সবচেয়ে সীমিত পরিমাণে সাহায্য প্রবেশ করছে, যা ২১ লাখ মানুষকে সহায়তার জন্য যথেষ্ট নয়।

ওসিএইচএ’র মুখপাত্র জেন্স লারকে বলেছেন, “গাজা পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুধার্ত স্থান। এই ভূখণ্ডটি একমাত্র সংজ্ঞায়িত এলাকা- একটি দেশ বা একটি দেশের মধ্যে সংজ্ঞায়িত অঞ্চল- যেখানে পুরো জনসংখ্যা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে। জনসংখ্যার একশ শতাংশ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে।”

ওসিএইচএ বলছে, জাতিসংঘ ও তার অংশীদাররা স্থল চ্যালেঞ্জ এবং গাজায় সহায়তার পরিমাণ ও ধরনের উপর ইসরায়েলের কঠোর বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও, অসহায় মানুষদেরকে জন্য কাজ করছে।

যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত ও ইসরায়েল সমর্থিত ‘গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন’ গত সপ্তাহে গাজায় তাদের ত্রাণ কার্যক্রম চালু করেছে। তবে জাতিসংঘের কাছে তাদের কার্যক্রমের বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। 

ওসিএইচএ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হাসপাতাল ও এর আশেপাশে বারবার হামলা চালিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ গাজায় আংশিকভাবে চালু থাকা সর্বশেষ হাসপাতাল ‘আল আওদা’ খালি করতে বাধ্য করেছে। দেইর আল-বালাহতে আল বুরেইজ ও আন নুসেইরাত ক্যাম্প এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে।

জাতিসংঘের সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, এই সপ্তাহের শুরুতে একটি হামলায় একজন সাংবাদিকের পরিবারের নয়জন সদস্য নিহত এবং আরো ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

ওসিএইচএ’র তথ্যানুসারে, গাজায় খাবার ও পুষ্টিকেন্দ্র পরিচালনাকারী আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা আইএইচএইচ বুধবার (২৮ মে) জানিয়েছে, গত দুই দিনে তাদের পাঁচজন কর্মী নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন।

ওসিএইচএ জোর দিয়ে বলেছে, গাজায় সাহায্যকর্মীসহ বেসামরিক নাগরিকদের সর্বদা সুরক্ষিত রাখতে হবে।

মানবিক সহায়তাকারীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি হামলায় গাজা জুড়ে বাস্তুচ্যুতি অব্যাহত রয়েছে, গত দুই সপ্তাহে প্রায় ২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বৃহস্পতিবার, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ গাজার মোট ভূখণ্ডের প্রায় ৩০ শতাংশ- উত্তর গাজা, গাজা শহরের পূর্ব অংশ এবং দেইর আল-বালাহকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি পুনর্নবীকরণকৃত বাস্তুচ্যুতির আদেশ জারি করেছে।

মানবিক পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হওয়ায় গাজায় জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ভেঙে পড়ছে। ওসিএইচএ জানিয়েছে, একদল সশস্ত্র ব্যক্তি দেইর আল-বালাহের একটি ফিল্ড হাসপাতালের গুদামে হামলা চালিয়ে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের চিকিৎসা সরঞ্জাম, খাবার, ওষুধ ও পুষ্টিকর পরিপূরক লুট করেছে।

ওসিএইচএ বলছে, “যারা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ও লুট করেছে তাদের জবাবদিহি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানবিক চাহিদা পূরণ এবং লুটপাট কমাতে, গাজায় আরো সাহায্য ও প্রয়োজনীয় বাণিজ্যিক পণ্য পৌঁছে দেওয়া এবং পুরো উপত্যকায় তাদের নিরাপদ বিতরণ সহজতর করা অপরিহার্য। এর অর্থ হলো, একাধিক ক্রসিং ও রুটের মাধ্যমে আরো বেশি জরুরি সাহায্যে সরবরাহ করা। আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর ওপর থেকে নিষোধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা।"

ওসিএইচএ জানিয়েছে, দখলদার শক্তি হিসেবে ইসরায়েলের গাজায় জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা পুনরুদ্ধারের প্রাথমিক দায়িত্ব রয়েছে, যা অবশ্যই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। অফিসটি পরামর্শ দিয়েছে, গাজার বেসামরিক পুলিশকে আইন প্রয়োগকারী মানদণ্ডের অধীনে কাজ করার অনুমতি দেওয়া উচিত।

পশ্চিম তীরের পরিস্থিতি সম্পর্কে ওসিএইচএ জানিয়েছে, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা ক্রমবর্ধমান। বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় গড়ে প্রতি মাসে ৪৪ জন ফিলিস্তিনি আহত হচ্ছেন। যা গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

ওসিএইচএ বলছে, উত্তর পশ্চিম তীরের সালফিট গভর্নরেট জুড়ে ইসরায়েল আরোপিত চলাচলের নিষেধাজ্ঞা প্রায় ৯০ হাজার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও জীবিকা নির্বাহের সুযোগ ব্যাহত করছে। ইসরায়েলি বাহিনী সালফিটে নয় দিনের অভিযানের পর এলাকাটি অবরুদ্ধ করে রেখেছে। 

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল পর স থ ত ইসর য় ল ব য হত সহ য ত ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

৭৭ মেট্রিক টন চাল তুলে নিয়েছেন ডিলার, উপকারভোগীরা জানেন ‘বরাদ্দ হয়নি’

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় গত জুলাই মাসে ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশের (টিসিবি) উপকারভোগীদের জন্য ৭৭ দশমিক ৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছিল। প্রক্রিয়া অনুযায়ী উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এ চাল খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (ওএমএস) একজন ডিলার (পরিবেশক) তুলেও নেন। তবে ওই মাসে টিসিবির অন্য পণ্য পেলেও চাল পাননি বলে অভিযোগ করেছেন উপকারভোগীরা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মহম্মদপুরের ৮ ইউনিয়নে টিসিবির উপকারভোগী কার্ডধারী আছেন ১৫ হাজার ৫৬৭ জন। এসব উপকারভোগী নিজেদের কার্ড দেখিয়ে প্রতি মাসে একবার ইউনিয়নের টিসিবির নিয়োগ করা ডিলারের কাছ থেকে বাজারের চেয়ে কম মূল্যে তেল, চিনি, ডাল ও চাল কিনতে পারেন। গত জুলাইয়ে ডিলারদের কাছ থেকে তেল, চিনি ও ডালের একটি প্যাকেজ কিনতে পেরেছেন তাঁরা। ওই মাসে চালের বরাদ্দ আসেনি বলে জানানো হয় কার্ডধারীদের।

মহম্মদপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে পাওয়া নথিতে দেখা গেছে, গত ৩০ জুলাই উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মজনুর রহমান স্বাক্ষরিত দুইটি বিলি আদেশে (ডিও) উপজেলার হোসেনিয়া কান্তা ঋতু নামে একজন ওএমএস ডিলারের অনুকূলে ৭৭ দশমিক ৮৩৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই দিনই মহম্মদপুর ও বিনোদপুর খাদ্যগুদাম থেকে এ চাল তুলেও নেওয়া হয়।

সেখানে ৩০ টাকা কেজিতে চাল পাওয়া যায়। বাজার থেকে ওই চাল কিনতে কেজিতে প্রায় ৫০ টাকা লাগে। জুলাই মাসে চাল না পাওয়ায় কিছুটা কষ্টই হইছে।শরিফা, টিসিবির কার্ডধারী, রাজাপুর ইউনিয়ন

টিসিবি ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন টিসিবি উপকারভোগীদের চাল ছাড়া অন্য পণ্য সরাসরি তাঁদের নিয়োগ করা ডিলারদের কাছে সরবরাহ করে। চালের বরাদ্দ দেওয়া হয় খাদ্য বিভাগ থেকে। এ অনুযায়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে প্রথমে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগ করা ওএমএস বা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলারদের অনুকূলে ২৬ টাকা কেজি দরে চাল বরাদ্দ দেয়। সেই চাল ওই ডিলারদের কাছ থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে নেন টিসিবির ডিলাররা। এরপর তাঁরা ৩০ টাকা কেজি দরে ওই চাল উপকারভোগীদের কাছে বিক্রি করেন।

উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের পারুল নামে টিসিবির এক উপকারভোগী ১ সেপ্টেম্বর জানান, আগস্ট মাসে চাল, ডাল, তেল ও চিনির প্যাকেজ পেলেও জুলাই মাসে তাঁদের চাল ছাড়া অন্য তিন ধরনের পণ্যের প্যাকেজ দেওয়া হয়েছিল। জুলাই মাসে তাঁদের জানানো হয় চাল বরাদ্দ হয়নি।

বিষয়টি জানতে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে টিসিবির নিয়োগ করা ৮ জন ডিলারের সঙ্গে কথা বলেছেন এই প্রতিবেদক। তাঁদের মধ্যে মহম্মদপুর সদর, নহাটা, পলাশবাড়ীয়া, বালিদিয়া, রাজাপুর ও বাবুখালী ইউনিয়নের ডিলার জানিয়েছেন, জুলাই মাসে তাঁদেরকে চাল দেওয়া হয়নি। নহাটা ও রাজাপুর ইউনিয়নের ডিলার মিলন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মিলন ঘোষ ৪ সেপ্টেম্বর বলেন, ‘জুলাই মাসে আমাদের বলা হইছিল চাল বরাদ্দ নেই। এ কারণে চাল ছাড়া অন্য পণ্যগুলো বিক্রি করেছি। তবে অ্যাপে দেখাইছিল চাল। কিন্তু আমরা পাইনি।’

হোসনিয়া কান্তা উপজেলার বিনোদপুর এলাকার ওএমএস ডিলার। গত ২৫ জুলাই লটারির মাধ্যমে তিনিসহ তিনজন উপজেলায় ওএমএস ডিলার হিসেবে নিয়োগ পান

অবশ্য বিনোদপুর ও দীঘা ইউনিয়নের দুই ডিলার দাবি করেছেন তাঁরা অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে চালও কার্ডধারীদের কাছে বিক্রি করেছেন। তবে দুই ইউনিয়নের অন্তত ১০ জন উপকারভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তাঁরা কেউই চাল পাননি। এর মধ্যে বিনোদপুর বাজারের একজন ফল ব্যাবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘জুলাই মাসে ডিলার জানাইছিল চাল ফুরায় গেছে।’

হোসনিয়া কান্তা উপজেলার বিনোদপুর এলাকার ওএমএস ডিলার। গত ২৫ জুলাই লটারির মাধ্যমে তিনিসহ তিনজন উপজেলায় ওএমএস ডিলার হিসেবে নিয়োগ পান বলে খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে জানতে হোসেনিয়া কান্তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে সরবরাহ করা তাঁর মুঠোফোনে সোমবার যোগাযোগ করা হলে একজন ধরে জানান, ওই নম্বর হোসেনিয়া কান্তা ঋতু নামে কেউ ব্যবহার করেন না।

জানতে চাইলে টিসিবির ঝিনাইদহ ক্যাম্প অফিসের উপপরিচালক আকরাম হোসেন সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘টিসিবির চাল খাদ্য বিভাগ থেকে সরবরাহ করা হয়। আর বিতরণ কার্যক্রম তদারকির জন্য প্রতিটি উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি কমিটি রয়েছে। যেখানে প্রতি ইউনিয়নে একজন ট্যাগ অফিসার আছেন, যিনি এগুলো তদারকি করেন।’

জেলার কয়েকজন চাল ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২৬ টাকা কেজি দরে কেনা এসব চাল বাজারে প্রায় ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। উপকারভোগীদের কাছে তা ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার কথা। এ হিসাবে উপকারভোগীদের ফাঁকি দিয়ে এ চাল বাজারে বিক্রি করতে পারলে কেজিতে ২২ থেকে ২৪ টাকা লাভ হয়।

চাল না পাওয়ার বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন মহম্মদপুরের ইউএনও শাহীনুর আক্তার। সোমবার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘চাল দেওয়া হয়নি এখন পর্যন্ত এমন অভিযোগ কেউ দেয়নি। খাদ্য অফিস থেকে আমি যত দূর জানতে পেরেছি তাতে সবকিছু দেওয়া হয়ে গেছে। বরাদ্দ থাকলে তা আটকে রাখার সুযোগ নেই। তারপরও কোনো অভিযোগ থাকলে খতিয়ে দেখব।’  

হঠাৎ এক মাসে চাল না পাওয়ায় বিপাকে পড়েন উপকারভোগীরা। রাজাপুর ইউনিয়নের শরিফা নামের টিসিবি কার্ডধারী এক নারী বলেন, ‘সেখানে ৩০ টাকা কেজিতে চাল পাওয়া যায়। বাজার থেকে ওই চাল কিনতে কেজিতে প্রায় ৫০ টাকা লাগে। জুলাই মাসে চাল না পাওয়ায় কিছুটা কষ্টই হইছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রথম চালানে ৩৭ হাজার ৪৬০ কেজি ইলিশ গেল ভারতে
  • তুরস্কের সঙ্গে উত্তেজনা: সাইপ্রাসকে ‘এস–৩০০’–এর চেয়েও ভয়ংকর ‘বারাক এমএক্স’ দিল ইসরায়েল
  • গুদামে খাওয়ার অনুপযোগী চাল নিয়ে রাজশাহী খাদ্য বিভাগে তোলপাড়, ৮ তদন্ত কমিটি
  • ‘কেনতো পারমু না, হেইতে ইলশার সুরতটা দেইখ্যা যাই’
  • ৭৭ মেট্রিক টন চাল তুলে নিয়েছেন ডিলার, উপকারভোগীরা জানেন ‘বরাদ্দ হয়নি’
  • বাংলাদেশ ব্যাংক এক দিনে ২৬ ব্যাংক থেকে ৩৫ কোটি ডলার কিনল কেন
  • নিলামে ৩৫৩ মিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
  • যুক্তরাজ্য থেকে আসছে মাদক এমডিএমএ, গ্রেপ্তার ৫
  • চাপে পড়ে নয়, অনুরোধে ভারতে ইলিশ পাঠানোর অনুমোদন: ফরিদা আখতার
  • ভোটের সরঞ্জাম আসছে ইসিতে