‘সত্যিকারের ক্রিকেট আইকন’ বুলবুলকে আশরাফুলের খোলা চিঠি
Published: 31st, May 2025 GMT
একজন দেশের ক্রিকেটের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান। আরেকজন ক্রিকেট বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান। বলা হচ্ছে আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও মোহাম্মদ আশরাফুলের কথা।
আমিনুল বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। আশরাফুল সেঞ্চুরি করেছিলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৭ বছর ৬১ দিনে।
বুলবুল এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি। আশরাফুল কোচিংয়ে যুক্ত। সদ্য বিসিবি প্রেসিডেন্ট হওয়া বুলবুলের থেকে আশরাফুলের প্রত্যাশা অনেক উঁচুতে।
খোলা চিঠিতে সেই কথার ঝাঁপি খুলে দিয়েছেন তিনি,
“শুভকামনা ও শ্রদ্ধা প্রিয় বুলবুল ভাইকে।”
“বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমিনুল ইসলাম বুলবুল ভাই, আপনি নির্বাচিত হওয়া আমার জন্য এক অসীম আনন্দের ও গর্বের বিষয়। আপনিই আমাদের দেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান, একজন সত্যিকারের ক্রিকেট আইকন, যাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্রিকেট এক নতুন পথচলার সূচনা করেছিল।”
“আপনার হাত ধরে আমি কোচিংয়ে এসেছি, আপনাকে পেয়েছি দুঃসময়ে, আর প্রতিটি মুহূর্তে আপনার অনুপ্রেরণাই আমাকে সাহস জুগিয়েছেন । শুধু বাংলাদেশের মাটিতে নয়, জাপান-চায়নার মত আন্তর্জাতিক পরিসরে ক্রিকেট ছড়িয়ে দেওয়াতেও আপনার অবদান অনন্য।”
“আজ যখন আপনি দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পদে, তখন বিশ্বাস করি — এই ভঙ্গুর সময়ে আপনার অভিজ্ঞতা, দূরদর্শিতা ও ভালোবাসা থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেট আবারও ঘুরে দাঁড়াবে।”
“আমাদের একসাথে খেলার দিনগুলোতে যেই আবেগ, উচ্ছ্বাস আর স্বপ্ন দেখেছিলাম — এখন সময় সেই স্বপ্নগুলো বাস্তব করার। দেশের প্রতিটি তরুণ যেন আবার ক্রিকেটে নিজের ভবিষ্যৎ দেখতে পায়, সেটাই হোক আমাদের লক্ষ্য।”
“প্রিয় বুলবুল ভাই, আপনার নতুন যাত্রায় রইলো নিরন্তর ভালোবাসা, দোয়া ও অগাধ সম্মান। বাংলাদেশ ক্রিকেট আবারও জেগে উঠুক, আপনার নেতৃত্বে।”
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র প রথম ট স ট আশর ফ ল আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্প নিজেই ভর্তি হতে পারেননি বলে কি হার্ভার্ডের ওপর এত ক্ষোভ
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষুব্ধ হওয়ার কারণ নিয়ে নানা জল্পনা রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, ট্রাম্পের ছেলে ব্যারন হার্ভার্ডে সুযোগ পাননি বলে ট্রাম্প ক্ষোভ পুষে রেখেছেন। তবে বিস্ময়কর এক তথ্য সামনে এনেছেন ট্রাম্পের জীবনীকার মাইকেল ওলফ। তিনি বলেন, ট্রাম্প নিজেই হার্ভার্ড প্রত্যাখ্যাত। তিনি হার্ভার্ডে ভর্তি হতে পারেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন সংবাদ ও মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম দ্য ডেইলি বিস্টের এক পডকাস্ট অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের বিষয়ে নতুন এই তত্ত্ব হাজির করেন ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি’, ‘সিজ: ট্রাম্প আন্ডার ফায়ার’ এবং এ বছর বাজারে আসা ‘অল অর নাথিং: হাউ ট্রাম্প রিক্যাপচারড আমেরিকা’ বইয়ের লেখক মাইকেল ওলফ।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ট্রাম্পের ক্ষোভ নিয়ে সেখানে নতুন তত্ত্ব হাজির করেন মাইকেল ওলফ। গত বৃহস্পতিবার প্রচারিত দ্য ডেইলি বিস্ট পডকাস্টের উপস্থাপক ছিলেন জোয়ানা কোলস। পডকাস্টে হার্ভার্ডসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ক্ষোভ নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা।
ওলফ বলেন, ‘ট্রাম্প যা কিছু করেন, তার পেছনে অতিরিক্ত হিসাব-নিকাশ বা পরিকল্পনা থাকার দরকার নেই। তবে এ কথাও সত্য যে তিনি হার্ভার্ডে ভর্তি হতে পারেননি। তাই ট্রাম্পের এক পরিচিত বৈশিষ্ট্য হলো আইভি লিগের বিরুদ্ধে রাগ ধরে রাখা।’
আইভি লিগ হলো যুক্তরাষ্ট্রের আটটি প্রাচীন ও সুপরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গোষ্ঠী। এগুলো শিক্ষার উচ্চমান, শক্তিশালী একাডেমিক পরিবেশ, ইতিহাস ও সামাজিক মর্যাদার জন্য বিশ্ববিখ্যাত।
উল্লেখ্য হার্ভার্ডে সুযোগ না পেলেও ট্রাম্প পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন।
হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র ওলফের ওই দাবি নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি লেখক মাইকেল ওলফ এবং দ্য ডেইলি বিস্টের বিরুদ্ধে মিথ্যা খবর ছড়ানোর অভিযোগ করেন।
টেলর রজার্স নামের ওই মুখপাত্র বলেন, ওলফ ও জোয়ানা দুজনেই ক্লিকবেইটের জন্য মিথ্যা খবর ছড়াচ্ছেন। একজন সফল ব্যবসায়ী এবং ইতিহাসের সবচেয়ে পরিবর্তন ঘটানো প্রেসিডেন্ট হিসেবে সফল হতে ট্রাম্পের জন্য হার্ভার্ডের মতো অতি মূল্যায়িত এবং দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানে আবেদন করার কোনো দরকার ছিল না।
জনসাধারণের জন্য প্রকাশিত কোনো রেকর্ড বা প্রতিবেদন নেই, যা থেকে জানা যায় যে ট্রাম্প ১৯৬০-এর দশকে হার্ভার্ডে আবেদন করেছিলেন কি না। প্রকাশিত কোনো জীবনীতেও এমন দাবি করা হয়নি। ট্রাম্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রশ্ন উঠলে হার্ভার্ডের আইনজীবীরা তা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিশ্লেষণ করবেন বলে ধারণা করা যায়।
ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রামের (এসইভিপি) সনদ বাতিল করেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়টি নতুন বিদেশি ছাত্র ভর্তি করতে পারবে না। এতে প্রায় ৬ হাজার ৮০০ বর্তমান বিদেশি শিক্ষার্থীর ওপর প্রভাব পড়েছে।
ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হার্ভার্ড একটি মামলা করেছে এবং প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে আইন ও বাক্স্বাধীনতার অধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিসট্রিক্ট জাজ অ্যালিসন বোরোগস গতকাল শুক্রবার এক সংক্ষিপ্ত রায়ে ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
হার্ভার্ডে বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচি বন্ধ এবং আন্তর্জাতিক ছাত্রদের মতাদর্শগত দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন করতে ট্রাম্প প্রশাসনের চাপের মুখে নতি স্বীকার না করায় বিশ্ববিদ্যালয়টির ওপর ক্ষুব্ধ হন ট্রাম্প। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ করা ২২০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি ফেডারেল তহবিল স্থগিত করেন। এ ছাড়া করছাড় সুবিধাও বাতিল করা হয়। পরে বিদেশি ছাত্র ভর্তিতেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।