মুন্সীগঞ্জে গুমে জড়িতদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন
Published: 31st, May 2025 GMT
গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক সপ্তাহ উপলক্ষে গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিসহ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ৫ দফা দাবিতে মুন্সীগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার।
শনিবার (৩১ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুন্সীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। এতে সংগঠনের জেলা শাখার নেতাসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার অর্ধশতাধিক মানুষ অংশ নেয়।
পাঁচ ৫ দফা দাবি হলো, গুমের শিকার যে সকল ব্যক্তি ফেরত আসেননি, তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা জনগণকে জানানো। তাদের স্ত্রী-সন্তানরা যাতে গুম হওয়া ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব পরিচালনা এবং স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বেচা এবং ভোগ করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা। গুমের পর কিছু ব্যক্তিকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং পরে তাদের পাওয়া গেছে, তাই ভারতে আরো গুমের শিকার ব্যক্তি আছেন কি-না, সেই বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক পর্যায়ের যোগাযোগ স্থাপন করা। যে সকল ব্যক্তি গুমের পর ফেরত এসেছেন, তাদের অনেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে, এমনকি কাউকে কাউকে মিথ্যা সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বা নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করে নিম্ন আদালতকে ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে; এই সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা এবং কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া। গুমের সঙ্গে জড়িত সকল ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচার করার দাবি জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
জবি ডিবেটিং সোসাইটির সম্পাদকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
পাবিপ্রবিতে স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শহীদ-ই-হাসান তুহিন, সহ-সভাপতি রশিদ আহমদ, সহ-সভাপতি গোলজার হোসেন, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমান, সাংবাদিক ও অধিকার কর্মী শেখ মোহাম্মদ রতন, অধিকার মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সমন্বয়ক আরাফাতুজ্জামান বাবু, এনটিভির জেলা প্রতিনিধি মঈনউদ্দীন সুমন প্রমুখ।
ঢাকা/রতন/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে টানা কর্মসূচির ঘোষণা অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ এসআইদের
চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে টানা কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন ৪০তম ব্যাচের অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ (ক্যাডেট) উপপরিদর্শকেরা। এখন প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে এ কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তানে পুলিশ সদর দপ্তরের সামনের সড়কের এক পাশে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা। অব্যাহতি পাওয়া ৪০তম ব্যাচের শিক্ষানবিশ (ক্যাডেট) উপপরিদর্শকদের পক্ষ থেকে এসআই রকিবুল হাসান এই ঘোষণা দেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করেন। সেগুলোতে লেখা ছিল—‘এক বছরের পরিশ্রম, বৃথা কেন জানতে চাই’, ‘দাবি মোদের একটাই, চাকরি পুনর্বহাল চাই’, ‘রাষ্ট্রের বোঝা নয়, সেবক হতে চাই’, ‘বেতন ছাড়া ৩৬৫ দিন, আমার চাকরি ফিরিয়ে দিন’, ‘লাল সবুজের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’।
অব্যাহতি পাওয়া এসআই রকিবুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অব্যাহতির পর আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে সবার কাছে আমাদের দাবি জানিয়েছি। সর্বশেষ গত ১৯ মে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছি। কিন্তু উনি ব্যস্ততার কারণে ওই দিন দেখা করতে পারেননি।’
আরও পড়ুনপুলিশ সদর দপ্তরের সামনে অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ এসআইদের মানববন্ধন১৯ মে ২০২৫রকিবুল আরও বলেন, ‘পুলিশের মহাপরিদর্শক এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের সঙ্গে দেখা করার কথা বললেও দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। তাই আমরা আবার এসেছি। এখন থেকে চাকরি ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে আমাদের টানা কর্মসূচি চলবে।’
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া এসআইদের ভাষ্য, প্রশিক্ষণরত অবস্থায় অন্যায়ভাবে গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের মধ্যে চার ধাপে ৩২১ জনকে চাকিরচ্যুত করা হয়েছে। তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনের ন্যূনতম সুযোগ দেওয়া হয়নি। অব্যাহতির পর ছয় মাস ধরে সরকারের কাছে দাবি জানালেও কেউ তাঁদের কথা শুনছেন না। বাধ্য হয়ে তাঁরা আইজিপির কাছে এসেছেন। কিন্তু তিনিও দেখা করছেন না। তাই এখন প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানববন্ধন করবেন তাঁরা।
রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ চলাকালে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে চার ধাপে ৪০তম ব্যাচের ৩২১ জন ক্যাডেট এসআইকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। নাশতা না খেয়ে হট্টগোল, প্রশিক্ষকের আদেশ না শোনা, অমনোযোগিতার মতো কারণ দেখিয়ে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। অব্যাহতি পাওয়ার পর থেকে তাঁরা চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।