বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ।

রবিবার (১ জুন) হাইকোর্টে দায়ের করা ওই রিটে শুধু তার অপসারণ নয়, নতুন সভাপতি হিসেবে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্তও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

রিটকারীর আইনজীবী মো.

রুহুল কুদ্দুস সাংবাদিকদের বলেন, “ফারুক আহমেদ রিটটি দায়ের করেছেন। রিটের ওপর সোমবার (২ জুন) শুনানি হতে পারে।”

আরো পড়ুন:

আন্তর্জাতিক কোচ হতে চান মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক, জানালেন বিসিবি সভাপতি

‘ট্রিপল সেঞ্চুরির’ লক্ষ্য নির্ধারণ
তৃণমূলে ছড়িয়ে পড়বে ক্রিকেট, আসছে আঞ্চলিক সংস্থাও

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিপিএল-সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এবং নয় পরিচালকের মধ্যে ৮ জনের অনাস্থার ভিত্তিতে ফারুক আহমেদের পরিচালক পদ বাতিল করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। এর ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিসিবি সভাপতির পদও হারান তিনি।

পরদিন শুক্রবার বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের সভায় সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে নতুন সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরিচালকদের সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত হয়।

দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে ১৭তম বিসিবি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন আমিনুল। ফারুক আহমেদের পর তিনি হলেন দ্বিতীয় সাবেক ক্রিকেটার, যিনি দেশের সর্বোচ্চ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার সভাপতির দায়িত্বে এলেন।

গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিসিবির সাবেক পরিচালক জালাল ইউনুস ও আহমেদ সাজ্জাদুল আলমের জায়গায় ফারুক আহমেদ ও নাজমূল আবেদীনকে বিসিবির পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেয় এনএসসি। পরে বোর্ড সভায় পরিচালকদের ভোটে ফারুক আহমেদ সভাপতি নির্বাচিত হন।

ঢাকা/রিয়াদ/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ র ক আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

বিসিবি পরিচালক হলেন রুবাবা দৌলা

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পরিষদের পরিচালক হয়েছেন করপোরেট ব্যক্তিত্ব ও নারী ক্রীড়া সংগঠক রুবাবা দৌলা। তাঁকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) কাউন্সিলর মনোনীত করে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বিসিবিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। রুবাবা দৌলার অন্তর্ভুক্তিতে ২৫ সদস্যের বিসিবি পরিচালনা পর্ষদ পূর্ণতা পেয়েছে।

দেশীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থায় এনএসসি মনোনীত কাউন্সিলর থাকেন দুজন। গত ৬ অক্টোবর বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের পর এনএসসি যে দুজনকে মনোনয়ন দেয়, তাদের একজন ইসফাক আহসানকে নিয়ে সেদিনই বিতর্ক দেখা দেয়। আজ এনএসসির চিঠিতে ইসফাক আহসান ‘পদত্যাগ করেছেন’ বলে উল্লেখ করা হয়।

ব্যবসায়ী ইসফাকের আওয়ামী লীগের পদে থাকা এবং ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে প্রার্থিতার বিষয়টি আলোচনায় এলে এনএসসি তাঁর জায়গায় রুবাবাকে মনোনয়নের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে তিনি যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, সেখানে কিছু আনুষ্ঠানিকতা থাকায় রুবাবা তাৎক্ষণিকভাবে দায়িত্ব নেননি।

রুবাবা বর্তমানে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ওরাকলের বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টরের দায়িত্বে আছেন। এর আগে তিনি টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন ও এয়ারটেলের শীর্ষ পর্যায়ে কাজ করেছেন।

রুবাবা দৌলা দীর্ঘদিন ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত। ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং একই সময়ে বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিকসের বোর্ড সদস্য হিসেবেও যুক্ত ছিলেন।

গ্রামীণফোনে ১৯৯৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা ও প্রধান বিপণন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি ছিলেন দেশের ক্রীড়াঙ্গনে পরিচিত মুখ। সেই সময় গ্রামীণফোন ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান স্পনসর (২০০৩-২০১১), আর ২০০৭ সালে বিসিবির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি স্থাপনেও ভূমিকা ছিল রুবাবার।

আজ বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের একটি সভা রয়েছে। রুবাবা দৌলা সভায় যোগ দিতে পারেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে তিনি ছাড়া মনোনীত অন্য কাউন্সিল ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিসিবি পরিচালক হলেন রুবাবা দৌলা