আগেও পরিকল্পনা ছাড়া সংস্কৃতি খাতের বাজেট বরাদ্দ হয়েছে, এবারও তাই: আনু মুহাম্মদ
Published: 2nd, June 2025 GMT
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সংস্কৃতি খাতে ৮২৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮৭ কোটি এবং উন্নয়ন ব্যয় ৩৩৭ কোটি টাকা। সোমবার বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত বাজেট বক্তৃতায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
তবে এবারের বাজেটে চলতি বছরের তুলনায় বরাদ্দ কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবি এক শতাংশ বরাদ্দের বিষয়টি এবারও পূরণ হয়নি।
চলতি অর্থবছরে সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ ছিল ৭৭৯ কোটি টাকা, যা সংশোধিত হয়ে দাঁড়ায় ৭৪২ কোটিতে। সেই হিসেবে এবারের বরাদ্দ ৮২ কোটি টাকা বেশি। তবে বাজেট প্রস্তাবে দেখা গেছে, এই বরাদ্দও মোট বাজেটের তুলনায় অত্যন্ত সামান্য।
প্রস্তাবিত বাজেটের মোট আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বিনোদন, সংস্কৃতি ও ধর্ম খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে মাত্র শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ। এই খাতের আওতায় রয়েছে চারটি মন্ত্রণালয়-তথ্য ও সম্প্রচার, সংস্কৃতি, ধর্ম এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এই চার মন্ত্রণালয়ের জন্য মোট বরাদ্দ ৬ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা, যা জাতীয় বাজেটের এক শতাংশেরও কম।
এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, অতীতেও যেমন পরিকল্পনা ছাড়া সংস্কৃতি খাতের বাজেট বরাদ্দ হয়েছে, এবারও তাই ঘটেছে। সংস্কৃতির সার্বিক উন্নয়ন ঘটানোর মতো কিছু নেই এই বাজেটে।
তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে সংস্কৃতি খাতের বরাদ্দ মোট বাজেটের এক শতাংশ দাবি করে আসছি। কারণ, সাংস্কৃতিক জাগরণ না ঘটলে মানবিক সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব নয়। সেই বিবেচনায় এবার ৮২ কোটি বাড়ানো হলেও আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
৮২৪ কোটি টাকার বরাদ্দ দিয়ে সারা দেশে সংস্কৃতিচর্চা ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই স্বল্প টাকায় প্রতিটি জেলা ও উপজেলা কিংবা গ্রাম পর্যায়ে পাঠাগার গড়া, বিভিন্ন আঙ্গিকের শিল্প পরিবেশনার জন্য সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ, তরুণ প্রজন্মকে নাচ-গান আবৃত্তি শেখানো জন্য সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা সম্ভব নয়। তাছাড়া কিছু পরিমাণ টাকা বৃদ্ধি করা হলেও সংস্কৃতিকে গতিশীল করার মতো কোনো পরিকল্পনা নেই সংস্কৃতি খাতের জন্য বরাদ্দকৃত বাজেটে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব জ ট ২০২৫ ২৬ প রস ত ব বর দ দ
এছাড়াও পড়ুন:
৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
আরো পড়ুন:
সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা
পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা
গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি।
এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/এনটি/বকুল