ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) সভাপতি জাভেদ আখতার বলেছেন, বাজেটে বেশ কিছু ইতিবাচক বিষয় রয়েছে। তবে এই বাজেট অনুগত করদাতাদের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা বাড়াতে পারে। অবশ্য পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ তহবিলে ৫ হাজার ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়ক হবে।
গতকাল সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে যেসব কোম্পানির ১০ শতাংশের কম শেয়ার তালিকাভুক্ত তাদের ওপর অতিরিক্ত সাড়ে ৭ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব উদ্বেগজনক। ব্যাংকিং মাধ্যমে লেনদেনে হ্রাসকৃত করহারের সুবিধা বাদ দেওয়ার প্রস্তাব আনুষ্ঠানিক অর্থনীতি গড়ে তোলার জাতীয় প্রচেষ্টার বিপরীত। করমুক্ত আয়সীমা বাড়ালেও সামগ্রিক পরিবর্তন বিবেচনায় মধ্য আয়ের কর দাতাদের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা পড়বে। অনলাইন বিক্রির ওপর ভ্যাট ৫ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা এ খাতের প্রতিষ্ঠানকে হুমকির মুখে ফেলবে। তিনি বলেন, কর রেয়াত ও ফেরতের সময়সীমা চার মাস থেকে ছয় মাসে বাড়ানোর ফলে চলতি মূলধন সংকটে থাকা ব্যবসায়ীদের জন্য উপকার হবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত দ র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলায় মাদ্রাসাশিক্ষকের আমৃত্যু কারাদণ্ড

চট্টগ্রাম নগরে ছয় শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলায় এক মাদ্রাসাশিক্ষককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাঁর নাম নাজিমুদ্দীন (৪১)। আজ বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–৭ চট্টগ্রামের বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় দেন।

ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি শফিউল মোরশেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আদালত আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি হাজির ছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। নাজিমুদ্দীন ফটিকছড়ির নাজিরহাটের গোলমুর রহমানের ছেলে।

আদালত সূত্র জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ২০২১ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে মাদ্রাসার ছয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন শিক্ষক নাজিমুদ্দীন। ধর্ষণের বিষয়টি না জানাতে শিক্ষার্থীদের ভয় দেখানো হয়। বিষয়টি বলে দেবে জানালে এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পরিবারের লোকজন এসে বিষয়টি জানতে পারেন। পরে অন্য শিক্ষার্থীরাও মুখ খোলে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর বড় ভাই বাদী হয়ে ২০২১ সালের ৪ মার্চ নগরের পাঁচলাইশ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

তদন্ত শেষে এই মামলায় পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়। ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ