২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু ইতিবাচক দিক থাকলেও কয়েকটি বিষয়ে উদ্বেগ আছে বলে জানিয়েছে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই)। যে কারণে ব্যবসায়িক সম্প্রসারণে প্রতিকূলতা সৃষ্টি হতে পারে এবং সৎ করদাতাদের ওপর বাড়তি চাপ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

গতকাল বাজেট পর্যালোচনা–পরবর্তী পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব আশঙ্কার কথা জানায় এফআইসিসিআই।

এফআইসিসিআই জানায়, প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু বিতর্কিত বিষয় আছে। কিছু পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানির জন্য অতিরিক্ত ৭ দশমিক ৫ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব উদ্বেগজনক। বর্ধিত হারে এই কর বৈষম্যমূলক হবে। এ ছাড়া ব্যাংকিং মাধ্যমে লেনদেন নিশ্চিত করার জন্য কর হ্রাসের যে সুবিধা ছিল, তা–ও বাদ দেওয়া হয়েছে।

বাণিজ্য সংগঠনটি মনে করছে, করের হার সাড়ে ২৭ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব আনুষ্ঠানিক অর্থনীতি গড়ে তোলার জাতীয় প্রচেষ্টার বিপরীত পদক্ষেপ এবং ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার মতো অর্থনীতির তুলনায় বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে দেবে। তাদের মতে, আরেকটি হতাশাজনক দিক হলো বেতনভোগী করদাতাদের চাপ বৃদ্ধি। প্রাথমিক স্তরে করমুক্ত আয়ের সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে, কিন্তু সামগ্রিক পরিবর্তনের বিবেচনায় প্রবর্তিত পরিবর্তন মধ্যম আয়ের করদাতাদের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা সৃষ্টি করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনলাইন বিক্রয়ের ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে; এটি দেশের অনলাইন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগগুলোকে হুমকির মুখে ফেলবে এবং ব্যবসা সম্প্রসারণে বাধা সৃষ্টি করবে।

এ ছাড়া বাজেটের ইতিবাচক দিক হিসেবে এফআইসিসিআই জানায়, নির্দিষ্ট খাতের ওপর চাপ কমানো এবং আরও নির্ভরযোগ্য কর ব্যবস্থা তৈরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া। নির্মাণ কোম্পানি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যে উৎস কর হ্রাস করা বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ। এ ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ শিল্পগুলো স্বস্তি পাবে। এ ছাড়া যৌথ উদ্যোগ থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশে উৎস কর আরোপ না করা আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ কোম্পানিগুলোর জন্য সুসংবাদ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রস ত ব র জন য ব যবস র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ গঠনে কার্যকর পদক্ষেপসহ ৫ সুপারিশ

‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’ দ্রুত জারি করে ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ গঠনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণসহ ৫ দফা সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। একই সঙ্গে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব প্রদানের আহ্বান জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব সুপারিশ তুলে ধরেন সংগঠনটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ মনির হোসেন।

আরো পড়ুন:

ফেব্রুয়ারিতেই মহোৎসবে জাতীয় নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

বেড়ায় রবিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল, সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা

অ্যাসোসিয়েশনের সুপারিশগুলো হলো
১. নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী দ্রুততম সময়ে ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’ জারি করে ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ গঠন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নির্বাচন পরিচালনা।
২. প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম অনুমোদন, নতুন পদসৃজন, আপগ্রেডেশন এবং প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সরবরাহ নিশ্চিতকরণ।
৩. জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩ বাতিল করে জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের কাছে হস্তান্তর।
৪. আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর নির্বাচন ভবনে সব কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচন কর্মকর্তা সম্মেলন-২০২৫’ আয়োজন।
৫. নির্বাচন কর্মকর্তা সম্মেলন-২০২৫ আয়োজনে প্রস্তুতিমূলক বিভিন্ন কমিটি গঠন।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশন আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছাত্রদলের আবেদনের পর মনোনয়নপত্র নেওয়ার সময় বাড়ল
  • গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন হাসিবুল, জানালেন ফেসবুক পোস্টে
  • ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ গঠনে কার্যকর পদক্ষেপসহ ৫ সুপারিশ
  • নানা আয়োজনে পিপিডিএসের পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন
  • ‘ডিসকর্ড’ অ্যাপে আন্দোলনের সূচনা, অন্তর্বর্তী সরকারের নেতাদেরও বাছাই করছেন সেই তরুণেরা