ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের  (ডিবিএ) সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবার পুঁজিবাজারকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে, যার সুস্পষ্ট প্রতিফলন বাজেটের প্রস্তাবে পরিলক্ষিত হয়েছে। এজন্য আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে, যিনি এই বাজেটে পুঁজিবাজারবান্ধব চিন্তাধারা প্রতিফলিত করেছেন।”

মঙ্গলবার (৩ জুন) ডিবিএর পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি বাজেটের বিভিন্ন প্রস্তাবকে পুঁজিবাজার উন্নয়নমুখী হিসেবে উল্লেখ করেন এবং এ বাজেটের জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। আমাদের দাবির মধ্যে- ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটিজ লেনদেনের ওপর উৎসে করের হার ০.

০৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.০৩ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে, তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করের পার্থক্য বৃদ্ধি করে ২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৭.৫ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে, এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের জন্য কর্পোরেট করের হার ১০ শতাংশ কমিয়ে ২৭.৫০ শতাংশের প্রস্তাব করা হয়েছে।

সাইফুল ইসলাম বলেন, “বাজেটে পুঁজিবাজার সংক্রান্ত এই প্রস্তাবের বাস্তবায়ন বাজারের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বড় ভূমিকা রাখবে এবং এর ফলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী, ইস্যুয়ার কোম্পানি, স্টক ব্রোকার, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ পুঁজিবাজারের সাথে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজন ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হবে।”

আরো পড়ুন:

‘প্রস্তাবিত বাজেট পুঁজিবাজারবান্ধব’

ধ্বংসপ্রাপ্ত পুঁজিবাজারে গতি ফেরাতে কার্যক্রম চলমান: অর্থ উপদেষ্টা

তিনি আরো বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার পুঁজিবাজারকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। যার প্রতিফলন আমরা এবারের বাজেটে দেখতে পেয়েছি। পুঁজিবাজারবান্ধব এরকম বাজেটের জন্য আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পুঁজিবাজার উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে, পুঁজিবাজার নিয়ে তার সঠিক উপলব্ধি, স্বদিচ্ছা ও কার্যকর পদক্ষেপের জন্য। এছাড়া ধন্যবাদ জানাই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, মো. আবদুর রহমান খান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের (এফআইডি) সচিব, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান, গণমাধ্যমকর্মীসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের, যারা পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিতে আমাদেরকে সময় দিয়েছেন, আমাদের কথা শুনেছেন, সমর্থন ও সহযোগিতা করেছেন।”

ঢাকা/এনটি/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ব জ রক প রস ত ব উপদ ষ ট র জন য সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের তিন বোমার খবরে ভুতুড়ে নগর হয়ে গেল কোলন

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার বোমা নিয়ে জার্মানির কোলন শহরে আতঙ্কের কারণে ২০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শহরটির প্রায় অর্ধেক অংশ গতকাল বুধবার হঠাৎই স্থবির ও জনমানবশূন্য হয়ে পড়ে। অবশ্য আড়াই টন ওজনের তিনটি বোমা নিষ্ক্রিয় করার পর আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে লোকজন ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।

গতকাল বুধবার সকালে কোলন শহরের ডয়ট্জ এলাকায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের তিনটি অবিস্ফোরিত বোমা পড়ে থাকার সংবাদ পাওয়া যায়। এসব বোমা নিষ্ক্রিয় করতে প্রায় ২০ হাজার মানুষকে তাৎক্ষণিক নিজ নিজ বাসা ছেড়ে নিরাপদ স্থানে যেতে বলা হয়।

পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীরা অবিরাম মাইকে এই ঘোষণা দিতে থাকলে শহরবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ১০ লাখের বেশি মানুষের কোলন শহরের ইতিহাসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধপরবর্তী সময়ে এটিই সবচেয়ে বড় ধরনের সরিয়ে নেওয়ার ঘটনা।

গতকাল বিকেল থেকেই বোমা নিষ্ক্রিয় করতে বিশেষজ্ঞরা অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করেন। বোমা পাওয়া কোলন শহরের ডয়ট্জ এলাকার চারপাশে প্রায় এক হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে ‘স্পারজোন’ বা চলাচল নিষিদ্ধ এলাকা তৈরি করা হয়। ওই এলাকায় বসবাসকারী সব বাসিন্দাকে তাঁদের বাড়িঘর ছেড়ে বন্ধু, আত্মীয় বা শহর কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে বলা হয়।

এসব অঞ্চলের মধ্যে ছিল কোলনের পুরোনো শহরাংশ, কয়েকটি স্কুল, হাসপাতাল, বৃদ্ধাশ্রম, ডে-কেয়ার সেন্টার এবং প্রায় ৬০টি হোটেল। দুপুরের পর শহরের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ওই এলাকায় ঘুরে ঘুরে সবাইকে সরিয়ে নিতে সাহায্য করেন। এলাকা জনশূন্য হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট কাজ শুরু করে।

এ ধরনের বড় অভিযানের কারণে কোলনের রাইন নদীর ওপর গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সেতু ও দক্ষিণ দিকের ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে শহরের যোগাযোগব্যবস্থা অনেকটা থমকে যায়। এ ছাড়া জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা টেডি টেকলেব্রহানের নির্ধারিত শো–ও বাতিল করতে হয়।

শহর কর্তৃপক্ষ বলেছে, তিনটি বোমা একসঙ্গে পাওয়ার কারণেই মানুষের জীবন রক্ষার তাগিদে অনেক লোককে সরিয়ে নিতে হয়েছে।

৮০ বছর আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলেও জার্মানিতে মাটির নিচে এখনো বহু অবিস্ফোরিত বোমা রয়ে গেছে, বিশেষ করে বড় বড় শহরে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রবাহিনী লাখ লাখ বোমা ফেলেছিল। অনেক বোমা তাৎক্ষণিকভাবে বিস্ফোরিত হয়নি এবং বছরের পর বছর মাটির নিচে রয়ে গেছে। নির্মাণ কাজ বা অন্য কারণে সেগুলো আবিষ্কৃত হলে সঙ্গে সঙ্গে এলাকা খালি করে নিরাপদভাবে নিষ্ক্রিয় করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ