খাসিয়ামারায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি
Published: 3rd, June 2025 GMT
সুনামগঞ্জের খাসিয়ামারা নদীর তীর কেটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দারা এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় লিয়াকতগঞ্জ বাংলাবাজারে এ মানববন্ধনে গ্রাম বাচাঁও, ড্রেজার হঠাও; সড়ক বাঁচাও, ড্রেজার হটাও স্লোগান ওঠে খাসিয়ামারা নদীরক্ষায়। নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সমর্থন জানিয়ে অংশগ্রহণ করেন।
স্থানীয়রা জানান, খাসিয়ামারা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে লক্ষ্মীপুর বাজার, জিরারগাঁও, বক্তারপুর, লক্ষ্মীপুর, ভাঙ্গাপাড়া, মাঠগাঁও, ইদ্রিসপুর, নোয়াপাড়া, মিরপুরসহ আটটি গ্রাম ও দারুল কোরআন, জিরারগাঁও হাফিজিয়া, আল হিকমা ও ভাঙ্গাপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা হুমকির মুখে পড়েছে।
এ সময় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে খাসিয়ামারা নদীসংলগ্ন বালুমহালের ইজারা দেওয়া হয়। ইজারা দেওয়ার পর থেকে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদীর তীর কেটে বালু উত্তোলন করছে ইজারাদারের লোকজন।
ইউএনও অরুপ রতন সিংহ বলেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন নিয়মবহির্ভূত। বালুমহাল ইজারা নীতিমালার বাইরে গিয়ে বালু উত্তোলনের কোনো সুযোগ নেই। এলাকার স্বার্থ রক্ষার্থে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
না’গঞ্জকে মেট্রোরেল প্রকল্প-২ এ সংযুক্ত করার দাবিতে নিসচার মানববন্ধন
রাজধানী ঢাকার সাথে মেট্রোরেল প্রকল্প-২ এ নারায়ণগঞ্জকে যুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে নিরাপদ সড়ক চাই নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
সকালে নিরাপদ সড়ক চাই নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জায়েদুল ইসলাম মিয়ার হাতে স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
মানববন্ধনে নিরাপদ সড়ক চাই নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড: হাবিবুর রহমান, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হাসানউদৌলা, কার্যকরী সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম, সদস্য আল আমিন, কাউসার আলম, ফারুক মৃধা, রফিকুল ইসলাম, ইব্রাহিম, রাজু আহাম্মদ, হুমায়ুন, কাকলী প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তব্যরা বলেন, নারায়ণগঞ্জে আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা অনেক গুণ বেশি। এখান থেকে প্রতিদিন ২ লাখেরও বেশি মানুষ ঢাকা যাতায়াত করে এবং ৫০ হাজার মানুষ কর্মের তাগিদে প্রতিদিন নারায়ণগঞ্জে আসেন।
"যে সক্রিয় লাইন আছে, সে লাইনে মাত্র ৪ লাখ যাত্রী যাতায়াতের জন্য মতিঝিল থেকে উত্তরা এমআরটি-৬ হতে পারে। তবে, ৩ লাখ মানুষের জন্য নারায়ণগঞ্জে এমআরটি-২ হতে পারবে না কেন?
কোন অজুহাতেই এমআরটি-২ প্রকল্প থেকে নারায়ণগঞ্জকে বাদ দেওয়া যাবে না।’ প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন বক্তারা।