বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র। তিনি পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগরের সংসদ সদস্য। তাঁর স্বামী পিনাকী মিশ্রও সংসদ সদস্য ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের নয়, ওডিশা রাজ্যের পুরীর।

গত ৩০ মে শুক্রবার জার্মানির বার্লিন প্রাসাদের ছাদে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে চা রহাত এক হয়। বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পিনাকী-মহুয়া। দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। মহুয়া অবশ্য তাঁর বিয়ের কথা আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে জানিয়ে বিয়ের জন্য ছুটিও নিয়েছিলেন। এ মাসের শেষের দিকে মহুয়া দম্পতির দেশে ফেরার কথা। এখন তাঁরা মধুচন্দ্রিমায় ব্যস্ত।

পিনাকী প্রথম বিয়ে করেছিলেন ওডিশার সঙ্গীতা মিশ্রকে। তাঁদের এক পুত্র ও এক কন্যাসন্তান রয়েছে। আর মহুয়া মৈত্র প্রথম বিয়ে করেছিলেন ডেনমার্কের নাগরিক লার্স ব্রর্সনকে। পরে তাঁদের বিয়ে ভেঙে যায়। লার্স অবশ্য পরে বিয়ে করেন। তাঁদের সন্তানও রয়েছে।

মহুয়ার স্বামী পিনাকী মিশ্রের বয়স ৬৫, মহুয়া মৈত্রের ৫১ বছর।

এই মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে গত বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে অভিযোগ ওঠে, তিনি সংসদে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করেছিলেন। এই অভিযোগের পর তাঁর সংসদ সদস্যপদ খারিজ করা হয়। পরবর্তী সময়ে লোকসভা নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হন কৃষ্ণনগর আসনে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিএসবির বাশার প্রতারণার আরও ৯ মামলায় গ্রেপ্তার

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ‘বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক’-এর চেয়ারম্যান খায়রুল বাশারকে আরও নয়টি প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর অনুমতি দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বুধবার এই আদেশ দেন।

ঢাকার সিএমএম আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শামসুদ্দোহা সুমন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

১০ দিনের রিমান্ড শেষে খায়রুল বাশারকে আজ বুধবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়। প্রতারণার পৃথক নয়টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় ১৪ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে খায়রুল বাশারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত খায়রুল বাশার তাঁর স্ত্রী খন্দকার সেলিমা রওশন ও ছেলে আরশ ইবনে বাশারকে সঙ্গে নিয়ে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র গড়ে তোলেন। চক্রটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ, স্কলারশিপ ও ভিসা প্রক্রিয়াকরণের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। ভুয়া ভিসা প্রসেসিং, মনগড়া প্রতিনিধিত্ব ও চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করা হতো। কিন্তু অনুসন্ধানে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের অনেকের নামে বিদেশি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনই করা হয়নি। আবার অনেকে বিদেশে গিয়ে নানাভাবে প্রতারিত হয়েছেন।

সিআইডির তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৪৪৮ জন ভুক্তভোগী প্রতারিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন ভুক্তভোগী প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা করেছেন।

আরও পড়ুনউচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ, বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান বাশার গ্রেপ্তার১৪ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ