আলভারেজের গোলে চিলিতে জয় আর্জেন্টিনার
Published: 6th, June 2025 GMT
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইকুয়েডরের বিপক্ষে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল যখন গোলশূন্য ড্রয়ে পয়েন্ট খোয়ায়, তখন চিলির মাটিতে চ্যাম্পিয়নের মতোই দাপট দেখালো আর্জেন্টিনা। চিলির বিপক্ষে ম্যাচের শুরুতেই লিড নেয় লিওনেল স্কালোনির দল, আর সেই ব্যবধানেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।
চিলির সান্তিয়াগোয় বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে হওয়া ম্যাচে আর্জেন্টিনার হয়ে একমাত্র গোলটি করেন হুলিয়ান আলভারেজ। ম্যাচের ১৬ মিনিটে থিয়াগো আলমাদার পাস থেকে দুর্দান্ত এক কাউন্টার অ্যাটাকে গোলটি করেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের এই ফরোয়ার্ড। চিলির গোলরক্ষক ব্রায়ান কোর্তেসকে চিপ করে পরাস্ত করেন তিনি।
তবে ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত চিলিই। চতুর্থ মিনিটে তাদের অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড অ্যালেক্সিস সানচেজের নেওয়া জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। অন্যদিকে ষষ্ঠ মিনিটে সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হন রদ্রিগো ডি পল। তার শট বার উড়িয়ে যায়।
বিরতির ঠিক আগে আবারও গোলের সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। তবে ৪৩ মিনিটে নিকো পাজের নেওয়া মাটি কামড়ানো শট ঠাণ্ডা মাথায় ধরে ফেলেন কোর্তেস। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই কিছু সুযোগ তৈরি করলেও গোলমুখে ছিলেন অনিয়ন্ত্রিত।
এই জয়ে ১৫ ম্যাচ শেষে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে বাছাইপর্বের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের শীর্ষেই আছে তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। এর মধ্যেই তারা নিশ্চিত করে ফেলেছে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে জায়গা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন আর জ ন ট ন
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?