খেলোয়াড় থেকে কোচ, কর্মকর্তা থেকে কর্মী—স্পেনের দলের যাঁর কাছে যাবেন, তিনিই নাকি এখন লুইস আরাগোনেসের সেই কথাটি মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ‘শুধু জেতো, জেতো, তারপর আবার জেতো।’

প্রয়াত আরাগোনেসের কোচিংয়েই ২০০৮ সালে ইউরো জিতেছিল স্পেন। এরপর ভিসেন্তে দেল বস্কের কোচিংয়ে ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বজয়, তারপর ২০১২ সালে ইউরোর শিরোপা ধরে রাখা। ইউরো, বিশ্বকাপ, ইউরো—টানা তিন বড় ট্রফি জিতে ইতিহাসই গড়েছিল স্পেন।

২০২৬ সালে লুইস দে লা ফুয়েন্তের হাত ধরে স্প্যানিশরা নিজেদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জিতবে কি না, তা সময়ই দেবে। তবে ফুয়েন্তের সামনে তার আগেই অন্যরকম ‘ট্রেবল’ জয়ের হাতছানি!

স্পেন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তের সামনে অনন্য কীর্তি গড়ার হাতছানি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কলম্বিয়ায় প্রচারে নেমে সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী গুলিবিদ্ধ

কলম্বিয়ার সিনেটর মিগুয়েল উরিবে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশটির রাজধানী বোগোতায় স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার তিনি নির্বাচনী প্রচারে নেমে হামলার শিকার হন। আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী তিনি।

মিগুয়েল উরিবের বয়স ৩৯ বছর। তাঁর স্ত্রী মারিয়া ক্লদিয়া তারাজোনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, ২০২৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার সভায় যোগ দিয়ে আহত হয়ে তাঁর স্বামী এখন জীবন নিয়ে লড়ছেন।

কলম্বিয়ার রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেটিক সেন্টার পার্টি এক বিবৃতিতে এ ঘটনাকে ‘অগ্রহণযোগ্য সহিংস ঘটনা’ বলে সমালোচনা করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিনেটর মিগুয়েল উরিবে বোগোতার একটি পার্কে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন। তখন তাঁকে পেছন থেকে গুলি করা হয়।

বিবৃতিতে মিগুয়েল উরিবের শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তাঁর দল। শুধু বলা হয়েছে, হামলা ‘গুরুতর’ ছিল। বিবিসির প্রতিবেদনের তথ্য, মিগুয়েল মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে কলম্বিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর। বলা হয়েছে, সিনেটর মিগুয়েলের শরীরে দুটি গুলি লেগেছে। এ সময় আরও দুজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ১৫ বছরের এক কিশোরকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ।

দেশটির সরকার বলছে, এই হামলার বিষয়ে তথ্য জানালে ৭ লাখ ৩০ হাজার ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে।

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো এক এক্স পোস্টে আহত সিনেটর মিগুয়েল উরিবের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন। গতকাল রাতে এক ভাষণে তিনি বলেন, এ হামলার পেছনে নির্দেশদাতা যে–ই হোন না কেন, তদন্ত করে তাঁকে খুঁজে বের করা হবে।

সিনেটর মিগুয়েলের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া, চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

সম্পর্কিত নিবন্ধ