‘লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারিত মূল্যের চেয়েও বেশি পাওয়া যাবে’
Published: 10th, June 2025 GMT
বাণিজ্য উপদেষ্টা বশির উদ্দিন বলেছেন, কোরবানির চামড়ার দাম কম- বিষয়টি সঠিক নয়। সরকার লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে। লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি পাওয়া যাবে।
মঙ্গলবার বিকেলে বগুড়া শহরের জামিল মাদ্রাসায় কোরবানির পশুর চামড়ার অস্থায়ী সংরক্ষণাগার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা এবং জেলা পুলিশ সুপার জেদান আল মুসাসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘‘প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় চামড়ার বাজারের স্থিতি নিশ্চিতে দেশে প্রথমবার সাড়ে সাত লাখ মণ লবণ বিনামূল্যে মসজিদ মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। আপনারা বলছেন চামড়ার দাম কম, কিন্তু এটা সঠিক নয়। আপনি যদি লবণবিহীন বা আধা-পচা চামড়ার কথা বলেন, তাহলে সেটা তুলনাযোগ্য নয়। সরকার আধা-পচা চামড়ার জন্য কোনো দাম নির্ধারণ করেনি। সরকার লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে।’’
এ সময় এক সাংবাদিক জানতে চান, স্থানীয় অনেক চামড়া ব্যবসায়ীর পাওনা অর্থ ট্যানারি মালিকরা বছরের পর বছর আটকে রেখেছেন। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো উদ্যোগ নেবে কি না?
জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘‘এটি ব্যবসায়ীদের ও ট্যানারি মালিকদের লেনদেনের বিষয়। সরকার সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তবে যারা পাওনাদার আছেন, তারা মামলা করলে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে।’’
এনাম//
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
চামড়ার দাম নিয়ে শত প্রশ্ন এবং একটি ‘লবণরেখা’
কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে প্রতিবছর কেন একই রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়? সাধারণ কোরবানিদাতা ও মৌসুমি ছোট ব্যবসায়ীরা কেন বলেন, চামড়ার ন্যায্য দাম পাননি? কেন কিছু কিছু এলাকা থেকে চামড়া ফেলে দেওয়া বা মাটিতে পুঁতে ফেলার খবর আসে? কেন বিভিন্ন এলাকায় চামড়া পচে যায়, নষ্ট হয়?
এর বিপরীতে প্রতিবছর ব্যবসায়ীরা কেন বলেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে চামড়া কিনেছেন তারা। সরকার কেন বলে, এবার সবচেয়ে বেশি দামে চামড়া বিক্রি হয়েছে। যারা সঠিক দাম পাননি বলে অভিযোগ করেন, তাদের ব্যাপারে কেন বলা হয়, তারা সময়মতো আড়তে না এনে চামড়া নষ্ট করে ফেলেছেন। তাই বিক্রি হয়নি।
এ দুই বিপরীতমুখী বাস্তবতার মাঝে আছে একটি ‘লবণরেখা’। ভেঙে বললে, লবণমুক্ত চামড়া বনাম লবণযুক্ত চামড়া। শুরুর প্রশ্নগুলো ওঠে মূলত লবণ ছাড়া চামড়ার বিক্রয় পরিস্থিতি নিয়ে। আর বড় ব্যবসায়ী ও সরকারের বক্তব্যটি থাকে লবণ দেওয়া চামড়ার বাজার নিয়ে।
পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সব সরকারই প্রতিবছর চামড়ার যে দাম নির্ধারণ করেছে তা মূলত লবণ দেওয়া চামড়ার। চামড়া কিনে লবণ দেন মূলত স্থানীয় মাঝারি ব্যবসায়ীরা। তারা সেগুলো ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রি করেন। সারাদেশে এ ধরনের ব্যবসায়ী ও ট্যানারি মালিকের সংখ্যা ১ লাখের কাছাকাছি। এই তথ্য বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের। সরকারের চামড়া ব্যবস্থাপনার মধ্যে মূলত তারাই পড়েন।
এর বাইরে সাধারণ কোরবানিদাতা থেকে পাড়া-মহল্লার তরুণ মৌসুমি ক্রেতা এবং মাদ্রাসা, মসজিদ ও এতিমখানার সংগ্রহ করা চামড়া এই ব্যবস্থাপনার বাইরে থেকে যায়। সংখ্যায় হিসাব করলে এটা কোটির কাছাকাছি। তারা লবণহীন চামড়া কেনাবেচা ও লেনদেন করেন। তাই অব্যবস্থাপনায় দাম পাওয়া বা না পাওয়া ভুক্তভোগীর সংখ্যাটা লবণযুক্ত চামড়ার ব্যবসায়ীদের তুলনায় বেশ বড়। ফলে না পাওয়ার আওয়াজটা অনেক বড় হয়।
এবারের বেচাকেনার চিত্র
ঢাকায় প্রতিটি গরু বা মহিষের কাঁচা চামড়া ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ঢাকার বাইরে গ্রামেগঞ্জে বেচাকেনা হয়েছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। ছাগলের চামড়ার ক্রেতা তেমন একটা খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
গত শনিবার ঈদের দিন বিকেলে গুলশান-২ মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন এতিমখানার লোকজন ভ্যানে করে চামড়া এনে জড়ো করেছেন। ২০টি চামড়া বিক্রির জন্য নিয়ে আসা কবির হোসেন বলেন, ‘একটি বড় গরুর চামড়া কিনে এনেছি ৮০০ টাকা দিয়ে। এখন দাম বলছেন ৭০০ টাকা। কীভাবে বিক্রি করব?’
ঢাকার বাইরের চিত্র আরও নেতিবাচক। লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের জামেয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা ১৮০ পিস চামড়া সংগ্রহ করেছে। তারা নিজের খরচে স্থানীয় আড়তদারের কাছে নিয়ে গিয়ে ছোট চামড়া বিক্রি করেছে ৪০০ টাকা আর বড় চামড়া ৪৫০ টাকা দরে। এই আড়তদাররা লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করে এ চামড়া বিক্রি করবেন বড় ব্যবসায়ী বা ট্যানারি মালিকদের কাছে। চট্টগ্রামে ১০ টনের মতো চামড়া ময়লার ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে সিটি করপোরেশন জানিয়েছে।
সরকার নির্ধারিত দাম কত
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গতবারের চেয়ে ৫ টাকা বাড়িয়ে ঢাকায় গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, ঢাকার বাইরে নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। এতে ঢাকায় লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার সর্বনিম্ন দাম ১ হাজার ৩৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। খাসির লবণযুক্ত চামড়া প্রতি বর্গফুট ২২ থেকে ২৭ টাকা এবং বকরির চামড়া ২০-২২ টাকা নির্ধারণ করে সরকার।
সাধারণত বড় আকারের গরুর চামড়া ৩১-৪০ বর্গফুট, মাঝারি আকারের চামড়া ২১-৩০ এবং ছোট আকারের গরুর চামড়া ১৬-২০ বর্গফুটের হয়।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, বিগত ১২ বছরের মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি দামে চামড়া বিক্রি হয়েছে। সরকার চামড়ার পুরোনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে চামড়া সংরক্ষণ না করে পচিয়ে ফেললে সে দায়িত্ব সরকারের না। গতকাল মঙ্গলবার জয়পুরহাটের আরাফাত নগর এলাকায় চামড়ার আড়ত ও চামড়ার সংরক্ষণাগার পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
মৌসুমি ব্যবসায়ী নেই, মাদ্রাসায় দান
বছর পাঁচেক আগেও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা পাড়ামহল্লায় ও বাড়িতে গিয়ে দরদাম করে চামড়া কিনতেন। কয়েক বছর টানা দাম না পাওয়ায় পাল্টে গেছে সেই চিত্র। লোকসানের ভয়ে এ ব্যবসা আগের মতো নেই।
মৌসুমি ব্যবসায়ীদের মতে, সরকার প্রতি বছর লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করে। কিন্তু লবণ ছাড়া অর্থাৎ রক্ত-মাংসযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করে না। ফলে প্রাথমিক ধাপের এ চামড়ার ন্যায্য দর পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে দিন দিন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা হারিয়ে যাচ্ছেন। সাধারণ মানুষ ক্রেতা না পেয়ে এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ থেকে মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানায় বিনামূল্যে চামড়া দান করে দেয়। অনেক এলাকায় এখন মাদ্রাসা ও এতিমখানাকে ফোন করে ডেকে এনে চামড়া দিতে হয়। এসব প্রতিষ্ঠানকে কম দামে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য করেন স্থানীয় আড়তদাররা।
বিশেষজ্ঞরা চামড়ার দাম বেঁধে দেওয়ার বিপক্ষে। তাদের মতে, উপযুক্ত দাম নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) সনদ অর্জন করার বিকল্প নেই। দাম নির্ধারণ না করে কোরবানির চামড়াকে ছেড়ে দিতে হবে মুক্ত বাজারের ওপর। তাহলে লবণ দেওয়ার আগে কিংবা পরে সব স্তরেই চামড়ার ন্যায্য দাম নিশ্চিত হবে।
কত পশু কোরবানি হয়েছে
প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর কোরবানি হয়েছে ৯১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৪টি পশু, যার মধ্যে গরু-মহিষ ৪৭ লাখ ৫ হাজার ১০৬টি। ছাগল ও ভেড়া ৪৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৮ এবং অন্যান্য ৯৬০টি।
চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা
ট্যানারি মালিক সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ৮৫ থেকে ৯০ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তারা। গত বছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ কোটি ১০ লাখ পিস। তারা জানান, সারা বছর যে পরিমাণ চামড়া সংগ্রহ করা হয়, তার ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ সংগ্রহ হয় কোরবানির ঈদে।
কী বলছেন ট্যানারি মালিকরা
সমতা লেদার কমপ্লেক্সের পরিচালক ও বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সমকালকে বলেন, সঠিক সময়ে যথাযথভাবে লবণ না দিলে চামড়া নষ্ট হয়ে যায়। তবে এ বছর ঢাকায় কোথাও চামড়া ফেলে দিতে হয়নি। কারণ এখানে চামড়া সংগ্রহকারীরা সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে চামড়া সংগ্রহ ও সরবরাহ করেছেন। ঢাকায় এবার ৮ থেকে ১০ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। ইতোমধ্যে ট্যানারি মালিকরা লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি চামড়া সংগ্রহ করেছেন।
লবণ ছাড়া চামড়ার দাম কম কেন– জানতে চাইলে মিজানুর রহমান বলেন, বিভিন্ন কারণে চামড়া নষ্ট হয়। সে জন্য দাম পাচ্ছে না অনেকে। তবে অন্য বছরের চেয়ে এবার দাম সন্তোষজনক। চামড়া কেনার ক্ষেত্রে ট্যানারি মালিকদের মধ্যে কোনো সিন্ডিকেট নেই।
মিজানুর রহমানের মতে, মাঝারি আকারের তথা ২০-২৫ বর্গফুটের একটি চামড়ায় ৫ থেকে ৬ কেজি মোটা দানার লবণ প্রয়োজন হয়। এ ধরনের লবণের কেজি ১০ থেকে ১৫ টাকা। আড়তদারদের হিসাবে, মাঝারি আকারের একটি চামড়ায় লবণ বাবদ খরচ হয় কমবেশি ৭০ টাকা। এর সঙ্গে শ্রমিক ও পরিবহন খরচ মিলিয়ে প্রতিটি চামড়ায় খরচ হয় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। এ হিসাবে আড়তদারের প্রতিটি চামড়ায় খরচ হতে পারে ১ হাজার টাকার মতো।
ওয়েট ব্লু চামড়ার রপ্তানি বাড়ানোর তাগিদ
বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, কোরবানির পর লবণ ছাড়া পশুর চামড়া ৮ থেকে ৯ ঘণ্টার বেশি রাখা যায় না। ফলে কোরবানির দিনই বিক্রি হয় লবণ ছাড়া চামড়া। এ পর্যায়ে দর নির্ধারিত থাকে না।
বাংলাদেশ থেকে সাধারণত ‘ক্রাস্ট’ ও ‘ফিনিশড লেদার’ অর্থাৎ সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াজাত চামড়া রপ্তানি হয়। ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানি হয় না বলা চলে। এবার ন্যায্য দর নিশ্চিত করতে সরকার কাঁচা চামড়া এবং ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানি তিন মাসের জন্য শিথিল করেছে। চামড়া থেকে পশম ছাড়িয়ে প্রক্রিয়াজাত করার পর যেটি পাওয়া যায়, তাকেই ওয়েট ব্লু চামড়া বলা হয়। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন কাঁচা চামড়ার ব্যবসায়ীরা।
ইলিয়াস হোসেন বলেন, এই সুযোগটি অব্যাহত রাখা দরকার। এ জন্য সরকারের উচিত প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। তাহলে ভবিষ্যতে চামড়ার চাহিদা বাড়বে, ভালো দামও পাওয়া যাবে।
দাম নিশ্চিত করবেন কীভাবে
ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলোজির অধ্যাপক সবুর আহমেদ বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দর নির্ধারণ করে দেওয়া ঠিক নয়। প্রায় এক দশক ধরে লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে। এর পর থেকে ক্রমান্বয়ে দামও কমছে। এলডব্লিউজি সনদ না থাকায় এই পতন আরও ত্বরান্বিত হচ্ছে।
চামড়ার হারিয়ে যাওয়া জৌলুস ফেরাতে অধ্যাপক সবুর আহমেদ কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন। যেমন, প্রথমত এলডব্লিউজি সনদ অর্জন করতে হবে। সে জন্য জরুরি ভিত্তিতে সাভারে অবস্থিত ট্যানারি শিল্পের বর্জ্য শোধনাগার বা ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ইটিপি) বাস্তবায়ন করতে হবে। চামড়ার দাম নির্ধারণ করা যাবে না। সহজে ঋণ দিতে হবে ট্যানারি মালিকদের নয়, কাঁচা চামড়া সংগ্রহকারীদের। এসব উদ্যোগ নিলে চামড়ার দাম বাড়বে।
সরকারের ভাবনা
জানতে চাইলে গত রাতে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান সমকালকে বলেন, ভবিষ্যতে চামড়ার দাম নির্ধারণ না করার পক্ষে সরকার। কারণ দাম বেঁধে দিলে তা নিয়ে সমস্যা হয়। এবার চামড়া সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন জায়গায় বিনামূল্যে লবণ দেওয়া হয়েছে। ফলে অনেকেই চামড়া তাৎক্ষণিক বিক্রি না করে সংরক্ষণ করেছেন। এতে তারা ভালো দাম পাবেন।
বাণিজ্য সচিব বলেন, সাভারে ট্যানারি পল্লির কাছে একটা শেড তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ক্রমান্বয়ে চট্টগ্রাম ও নাটোরে শেড করা হবে। তাতে চামড়া সংরক্ষণ করা সহজ হবে। দামও বাড়বে।