গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে কুমার নদে ডুবে মিম আক্তার (১৩) নামে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। এসময় সামিয়া আক্তার (১০) নামে অপর এক কিশোরীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (১১ জুন) মুকসুদপুর উপজেলার লাখাইরচর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। তারা সম্পর্কে খালাতো বোন।
মারা যাওয়া মিম ঢাকার সাভারের গড়িয়াপুর গ্রামের জাকির শেখের মেয়ে। সে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। জীবিত উদ্ধার হওয়া সামিয়া ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের আব্দুল লতিফের মেয়ে। সে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী।
আরো পড়ুন:
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করোনা প্রতিরোধে নতুন নির্দেশনা জারি
খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ
মারা যাওয়া মিমের খালু আজগর আলী ফকির বলেন, “আমার মেয়ের বিয়েতে যোগ দিতে পরিবারের সঙ্গে মিম ও সামিয়া লাখাইরচর গ্রামে আসে। আজ সকালে তারা দুইজন বাড়ির পাশের কুমার নদে গোসল করতে যায়। এসময় মিম পানিতে তলিয়ে যায়। মিমকে বাঁচাতে গিয়ে সামিয়াও পানিতে ডুবে যায়।”
তিনি বলেন, “দুইজনকে উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক মিমকে মৃত ঘোষণা করেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য সামিয়াকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
মুকসুদপুর থানার ওসি মো.
ঢাকা/বাদল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দিনাজপুর সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ
দিনাজপুরের বিরল সীমান্ত দিয়ে ৯ শিশুসহ ১৩ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
মঙ্গলবার (১০ জুন) ভোরে বিরল উপজেলার এনায়েতপুর সীমান্ত দিয়ে এই ১৩ জনকে ঠেলে দেয় বিএসএফ।
এসময় সীমান্তের এনায়েতপুর বিওপি ক্যাম্পের বিজিবির টহল দল তাদের অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আটক করে।
দিনাজপুর ৪২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল আব্দুল্লাহ আল মঈন হাসান জানান, আজ (মঙ্গলবার) ভোররাতে বিরল উপজেলার এনায়েতপুর সীমান্ত দিয়ে ৯ শিশু, ২ পুরুষ ও ২ নারীকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএফ। এসময় এনায়েতপুর বিওপি ক্যাম্পের বিজিবির টহল দল তাদের আটক করে। আটককৃতরা প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর আগে দালালদের মাধ্যমে তারা ভারতে গমন করে। ৮ থেকে ১০ দিন আগে ঐ দেশের পুলিশ তাদের আটক করে এবং আজ বিএসএফ বাংলাদেশে ঠেলে দেয়।
তিনি আরও জানান, আটককৃতদের আত্মীয় স্বজনদের মাধ্যমে তাদের ভোটার আইডি কার্ড ও জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করে, যাছাই বাছাই শেষে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে থানায় হস্তান্তর করা হবে।
ঢাকা/মোসলেম/টিপু