নুজহাত জাহানের পরনে লাল রঙের লেহেঙ্গা। চুলগুলো আলগা করে ছেড়ে দেওয়া। সিঁথিতে টিকলি। গলায় নেকলেস। তার দুই হাতে গোছা গোছা চুড়ি। বেইজ রঙের শাড়ি পরে বোনকে জড়িয়ে ধরে তাকে চুমু খাচ্ছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী নুসরাত জাহান।

তৃণমূলের প্রাক্তন সংসদ সদস্য নুসরাত জাহানের ফ্যান পেজ থেকে কয়েকটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। তাতে নুজহাত জাহানকে বধূ সাজে দেখা যায়। আর সেই পোস্ট নুসরাত জাহানকে ট্যাগ করা হলে তা নিজের ওয়ালে প্রদর্শনের অনুমতি দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। দুই বোনের আনন্দঘন মূহূর্ত এসব ছবিতে দেখা যায়।

হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কিছু দিন আগে বিয়ে করেছেন নুসরাত জাহানের ছোট বোন নুজহাত জাহান। এসব ছবি বিয়ের দিন তোলা। নুসরাত জাহান রুপালি জগতের মানুষ হলেও নুজহাত এই অঙ্গনের কেউ নন। তবে তাকে দেখে তার রূপের ভূয়সী প্রশংসা করছেন নেটিজেনরা। তাদের দাবি— নায়িকা না হলেও নুসরাত জাহানের চেয়ে কম সুন্দরী নন নুজহাত।

আরো পড়ুন:

রাজকে নিয়ে যা জানালেন শুভশ্রী

মা হতে ভয় পান দর্শনা?

নুজহাত পেশায় ফ্যাশন ডিজাইনার। কানাডার টরন্টো থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন। তারপর সেখানেই কাজ করছেন। নুসরাতের বোন বিয়ে করেছেন তার দীর্ঘদিনের প্রেমিক করণ কাপুরকে। বেঙ্গালুরুতে এই বিয়ের আয়োজন করা হয়। গত মাসে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন নুসরাতের স্বামী অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত।

নুসরাত জাহান ইসলাম ধর্মের অনুসারী। নিখিল জৈনের সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার আগেই যশের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন নুসরাত। ২০২১ সালে পুত্রসন্তানের মা হন তিনি। এরপর ভিন্ন ধর্মের ছেলেকে বিয়ে ও সন্তানের বাবার পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন উঠে, প্রচন্ড সমালোচনার মুখে পড়েন এই অভিনেত্রী।

গত ২১ মে গুঞ্জন উঠে, ভেঙে যাচ্ছে নুসরাত-যশের সংসার। তৎক্ষণাৎ এ গুঞ্জন মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন যশ। কিছু সময়ের জন্য এ আলোচনা বন্ধ হলেও তা স্থায়ী হয়নি। নানা ডালাপালা গজিয়েছে। তারপর খবর চাউর হয়, আলাদা বাড়িতে বসবাস করছেন যশ-নুসরাত। তবে নুজহাতের বিয়েতে দুজনের উপস্থিতি এই গুঞ্জনে খানিকটা জল ঢেলেছে।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

৪৪তম বিসিএসের ৪০০ রিপিট ক্যাডার বাদ দিচ্ছে সরকার, নতুন সিদ্ধান্ত আসছে

৪৪তম বিসিএসে পুনরাবৃত্তি হওয়া ৪০০ ক্যাডারকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। তারা ৪৩তম বিসিএসে বা আগের বিসিএসে যে ক্যাডারে আছেন ৪৪তম বিসিএসেও একই ক্যাডার পেয়েছিলেন। এই ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে সিদ্ধান্ত দ্রুতই হবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা।

প্রথম আলোকে ওই কর্মকর্তা আজ বৃহস্পতিবার বলেন, ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে পিএসসির কিছু সুপারিশ আমরা পেয়েছি। এগুলো বাদ দিতে সরকার কাজ করছে। বাদ দিলে কি করা হবে তা নিয়েও কাজ করছে সরকার। এখন পিএসসিকে এ বিষয় নিয়ে একটি মতামত দিতে বলা হয়েছে। পেলেই তা পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে প্রজ্জাপন দেওয়া হবে। এটি যাতে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি।

আরও পড়ুন৪৯তম বিসিএস: অনলাইন আবেদন ও ফি জমাদানে পিএসসির নতুন নির্দেশনা৩০ জুলাই ২০২৫

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল ৩০ জুন প্রকাশিত হয়। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৬৯০ জনকে নিয়োগের জন্য সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সাময়িকভাবে মনোনীত করেছে।

প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১ হাজার ৬৯০ জনের মধ্যে প্রায় ৪০০ জন প্রার্থী একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন (রিপিট ক্যাডার)। এই ৪০০ জনের তালিকা পেয়েছে পিএসসি। এই রিপিট ক্যাডার বন্ধে বিধি সংশোধন করা হচ্ছে। এ–সংক্রান্ত চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় পিএসসি।

পিএসসি জনপ্রশাসনের চিঠিতে বলছে, এই রিপিট ক্যাডারের ফলে নতুন ও অপেক্ষমাণ মেধাবীরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি প্রশাসনিক কাঠামো ও জনসম্পদের সদ্ব্যবহারে বাধা সৃষ্টি করছে। এখন এটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়া বন্ধ করার জন্য বিদ্যমান বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪–এর বিধি-১৭ এর শেষে নিম্নোক্ত শর্ত যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে পিএসসি।

আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫শর্তে কী আছে—

পিএসসির চিঠিতে শর্ত হিসেবে বলা আছে, ‘তবে শর্ত থাকে যে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিবার প্রাক্কালে, কিংবা কোনো বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রস্তুতকালে, সংশ্লিষ্ট প্রার্থী কর্তৃক প্রদত্ত লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে কিংবা কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত কোনো পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যদি কমিশনের নিকট প্রতীয়মান হয় যে এই বিধির আওতাধীন মনোনয়নযোগ্য কিংবা মনোনীত কোনো প্রার্থী একই ক্যাডার পদ, সমপদ কিংবা প্রার্থীর আগ্রহ নেই এমন কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে পুনরায় মনোনীত হইবার কারণে মনোনীত সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে যোগদান করিতে অনিচ্ছুক, এইরূপ ক্ষেত্রে কমিশন অনাগ্রহ প্রকাশকারী প্রার্থীকে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিতে পারিবে; আরও শর্ত থাকে যে প্রথম শর্তাংশে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিবার কারণে উদ্ধৃত শূন্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রেরণ করিবার জন্য উত্তীর্ণ প্রার্থিগণের মধ্য হইতে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচনপূর্বক কমিশন সম্পূরক ফলাফল প্রকাশ এবং সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিতে পারিবে;আরও অধিকতর শর্ত থাকে যে দ্বিতীয় শর্তাংশে উল্লিখিত সম্পূরক ফলাফল দ্বারা বা উহার পরিণতিতে প্রথম ঘোষিত ফলাফলে সার্ভিস বা ক্যাডার পদের জন্য মনোনীত কোনো প্রার্থীর প্রতিকূলে কোনো পরিবর্তন ঘটানো কিংবা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাইবে না।’

আরও পড়ুনবস্ত্র অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, চাকরির সুযোগ ১৯০ জনের২৯ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ