বিয়ে করলেন নুসরাতের বোন, নুজহাতের রূপে মুগ্ধ নেটিজেনরা
Published: 13th, June 2025 GMT
নুজহাত জাহানের পরনে লাল রঙের লেহেঙ্গা। চুলগুলো আলগা করে ছেড়ে দেওয়া। সিঁথিতে টিকলি। গলায় নেকলেস। তার দুই হাতে গোছা গোছা চুড়ি। বেইজ রঙের শাড়ি পরে বোনকে জড়িয়ে ধরে তাকে চুমু খাচ্ছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী নুসরাত জাহান।
তৃণমূলের প্রাক্তন সংসদ সদস্য নুসরাত জাহানের ফ্যান পেজ থেকে কয়েকটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। তাতে নুজহাত জাহানকে বধূ সাজে দেখা যায়। আর সেই পোস্ট নুসরাত জাহানকে ট্যাগ করা হলে তা নিজের ওয়ালে প্রদর্শনের অনুমতি দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। দুই বোনের আনন্দঘন মূহূর্ত এসব ছবিতে দেখা যায়।
হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কিছু দিন আগে বিয়ে করেছেন নুসরাত জাহানের ছোট বোন নুজহাত জাহান। এসব ছবি বিয়ের দিন তোলা। নুসরাত জাহান রুপালি জগতের মানুষ হলেও নুজহাত এই অঙ্গনের কেউ নন। তবে তাকে দেখে তার রূপের ভূয়সী প্রশংসা করছেন নেটিজেনরা। তাদের দাবি— নায়িকা না হলেও নুসরাত জাহানের চেয়ে কম সুন্দরী নন নুজহাত।
আরো পড়ুন:
রাজকে নিয়ে যা জানালেন শুভশ্রী
মা হতে ভয় পান দর্শনা?
নুজহাত পেশায় ফ্যাশন ডিজাইনার। কানাডার টরন্টো থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন। তারপর সেখানেই কাজ করছেন। নুসরাতের বোন বিয়ে করেছেন তার দীর্ঘদিনের প্রেমিক করণ কাপুরকে। বেঙ্গালুরুতে এই বিয়ের আয়োজন করা হয়। গত মাসে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন নুসরাতের স্বামী অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত।
নুসরাত জাহান ইসলাম ধর্মের অনুসারী। নিখিল জৈনের সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার আগেই যশের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন নুসরাত। ২০২১ সালে পুত্রসন্তানের মা হন তিনি। এরপর ভিন্ন ধর্মের ছেলেকে বিয়ে ও সন্তানের বাবার পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন উঠে, প্রচন্ড সমালোচনার মুখে পড়েন এই অভিনেত্রী।
গত ২১ মে গুঞ্জন উঠে, ভেঙে যাচ্ছে নুসরাত-যশের সংসার। তৎক্ষণাৎ এ গুঞ্জন মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন যশ। কিছু সময়ের জন্য এ আলোচনা বন্ধ হলেও তা স্থায়ী হয়নি। নানা ডালাপালা গজিয়েছে। তারপর খবর চাউর হয়, আলাদা বাড়িতে বসবাস করছেন যশ-নুসরাত। তবে নুজহাতের বিয়েতে দুজনের উপস্থিতি এই গুঞ্জনে খানিকটা জল ঢেলেছে।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
কয়েকদিনের তীব্র তাপপ্রবাহের পর ময়মনসিংহে স্বস্তির বৃষ্টি
টানা কয়েকদিনের তীব্র তাপপ্রবাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজল ময়মনসিংহ। শনিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই বৃষ্টিতে জনজীবনে ফিরে এসেছে স্বস্তি, কমেছে অস্বস্তিকর উষ্ণতা। নগরের বিভিন্ন এলাকা ও বেশ কয়েকটি উপজেলায় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার সকাল আটটা থেকেই ময়মনসিংহের আকাশ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে এবং শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। সকাল ৯টার পর থেকে দমকা হাওয়ার সঙ্গে শুরু হয় মুষলধারে বর্ষণ। টানা কয়েকদিনের অসহনীয় গরমে শিশু ও বৃদ্ধসহ সকলেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এই বৃষ্টি যেন সবার মনে শীতল পরশ বুলিয়ে দিয়েছে।
নগরের সানকিপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহমান জানান, টানা কয়েকদিনের গরম শিশু বৃদ্ধ প্রত্যেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। আজকের বৃষ্টি একেবারে হৃদয় শীতল করেছে।
নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান সাজু বলেন, কয়েকদিন ঘর থেকে বের হওয়া যায়নি প্রকট রোদে। বৃষ্টি আসার পর সবকিছু ঠান্ডা হয়ে পড়েছে। মানুষের মধ্যে স্বস্তি লক্ষ্য করা গেছে। অনেকে বৃষ্টিতে ভিজে শীতল হাওয়া উপভোগ করছে।
অটোরিকশা চালক খালেকুজ্জামান বলেন, বৃষ্টিতে আমিও ভিজছি যাত্রীরাও ভিজছে, এটা আলাদা একটা আনন্দ। গরমের কারণে না কোন কিছু খাইয়ে না ঘুমিয়ে শান্তি ছিল না। বৃষ্টিই সকল শান্তির মূল।
তবে স্বস্তির পাশাপাশি বৃষ্টি কিছু ভোগান্তিও বয়ে এনেছে। নগরের বাঁশবাড়ি কলোনির বাসিন্দা আব্দুল মজিদ জানান, বৃষ্টিতে যেমন স্বস্তি ফিরেছে তেমন ভোগান্তিও বেড়েছে আমাদের। টানা মুষলধারের বৃষ্টিতে বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। রাস্তা তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি দ্রুত না কমলে ভোগান্তি আরও বাড়বে।
মুক্তাগাছা শহরের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয় এবং সকাল ১১টা বাজলেও বৃষ্টি পড়া বন্ধ হয়নি। তিনি মনে করেন, এটা মানুষের উপর আল্লাহর রহমত।
ময়মনসিংহ আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মো. মনিরুজ্জামান জানান, শনিবার সকাল ৯টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় বজ্রপাত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার ময়মনসিংহের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা বৃহস্পতিবার ছিল ৩৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিন মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।