ঝালকাঠির সদর হাসপাতালে করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে কিছু রোগী আসলেও কিট সংকটের কারণে তাদের পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোগীদের প্রাথমিক উপদেশ দিয়ে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসায় অবস্থান করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

শনিবার (১৪ জুন) সকালে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, করোনা শনাক্তে প্রয়োজনীয় কিটের ঘাটতি রয়েছে। এ অবস্থায় রোগীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ, পার্সোনাল হাইজিন কেয়ার এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা দিয়ে তাদের বাসায় আইসোলেশনে থাকতে বলা হচ্ছে।

এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান, ইতোমধ্যে ৫ হাজার র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। তারা আশা করছেন, এই কিট শিগগিরই সরবরাহ করা হবে। তখন কোভিড রোগ শনাক্তের কার্যক্রম আরো কার্যকরভাবে পরিচালনা করা যাবে।

আরো পড়ুন:

বরিশাল বিভাগে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু

হাসপাতালে ঢুকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সংগঠকসহ ১০ জনকে পিটুনি

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের কনসালটেন্ট ডা.

আবুয়াল হাসান বলেন, তিন কক্ষ বিশিষ্ট ২০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট হাসপাতালে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশিক্ষিত নার্স ও ওয়ার্ড ইনচার্জসহ সংশ্লিষ্ট জনবল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে রোগী ভর্তি করিয়ে পুরোদমে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে।
 

ঢাকা/অলোক/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।

মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।

সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।

মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ

সম্পর্কিত নিবন্ধ