গত রাতে ইসরায়েলজুড়ে সাইরেন বেজে উঠলে পরিবারসহ বাসার বেসমেন্টে ছুটে যান ইফাত বেনহাইম। তিনি বলেন, ‘আমরা দরজা বন্ধ করে দিই, এবং হঠাৎই একটা বিশাল শব্দ শুনতে পাই। ভেবেছিলাম, পুরো বাড়িটাই হয়তো আমাদের উপর ভেঙে পড়বে। তারপর পুরো অন্ধকার।’

ইফাত জানান, এই ঘটনার পর বাইরে বেরিয়ে দেখতে পান আশেপাশের এলাকাজুড়ে ধ্বংসযজ্ঞ। অনেকগুলো বাড়ির ছাদ ধসে পড়েছে, রাস্তায় কাঁচ পড়ে আছে এবং কমপক্ষে ৩০টি গাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, ভাঙা জানালা এবং দেয়ালে বিশাল ছিদ্র।

তার দুই প্রতিবেশী নিহত হয়েছেন, নিয়মিত রাস্তায় দেখা হলে যাদেরকে সে হ্যালো বলতো। ‘এটি একটি ট্র্যাজেডি,’ তিনি বলেন।

গত রাতের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর একটি, তেল আবিবের ঠিক বাইরে অবস্থিত রিশন লেজিওন শহর।

এখন ২৯ বছর ধরে বসবাস করা বাড়িটি থেকে তাদের জিনিসপত্র সরিয়ে নিচ্ছেন ইফাত, তার স্বামী জিওন এবং কম বয়সী ছয়জন আত্মীয়। আর এটা ঠিক করার চেষ্টা করছেন যে, আজ রাতে তারা কোথায় থাকবেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে এই সমাবেশ শুরু হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৫ দফা দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।

জামায়াতের দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

একই দাবিতে আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা বা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ