গত রাতে ইসরায়েলজুড়ে সাইরেন বেজে উঠলে পরিবারসহ বাসার বেসমেন্টে ছুটে যান ইফাত বেনহাইম। তিনি বলেন, ‘আমরা দরজা বন্ধ করে দিই, এবং হঠাৎই একটা বিশাল শব্দ শুনতে পাই। ভেবেছিলাম, পুরো বাড়িটাই হয়তো আমাদের উপর ভেঙে পড়বে। তারপর পুরো অন্ধকার।’

ইফাত জানান, এই ঘটনার পর বাইরে বেরিয়ে দেখতে পান আশেপাশের এলাকাজুড়ে ধ্বংসযজ্ঞ। অনেকগুলো বাড়ির ছাদ ধসে পড়েছে, রাস্তায় কাঁচ পড়ে আছে এবং কমপক্ষে ৩০টি গাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, ভাঙা জানালা এবং দেয়ালে বিশাল ছিদ্র।

তার দুই প্রতিবেশী নিহত হয়েছেন, নিয়মিত রাস্তায় দেখা হলে যাদেরকে সে হ্যালো বলতো। ‘এটি একটি ট্র্যাজেডি,’ তিনি বলেন।

গত রাতের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর একটি, তেল আবিবের ঠিক বাইরে অবস্থিত রিশন লেজিওন শহর।

এখন ২৯ বছর ধরে বসবাস করা বাড়িটি থেকে তাদের জিনিসপত্র সরিয়ে নিচ্ছেন ইফাত, তার স্বামী জিওন এবং কম বয়সী ছয়জন আত্মীয়। আর এটা ঠিক করার চেষ্টা করছেন যে, আজ রাতে তারা কোথায় থাকবেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।

মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।

সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।

মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ

সম্পর্কিত নিবন্ধ