ইরান নাকি ইসরায়েল, সামরিক শক্তিতে কোন দেশ এগিয়ে?
Published: 20th, June 2025 GMT
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ সহসা থামবে বলে মনে হচ্ছে না। যুদ্ধের উত্তেজনা দিন দিন বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে দুই দেশের সাধারণ নাগরিকের আহত, নিহত ও বাস্তুচ্যুত হওয়ার সংখ্যাও। শেষ পর্যন্ত কোন দেশ যুদ্ধে এগিয়ে থাকবে বলা যাচ্ছে না। নিয়মিত সৈন্য সংখ্যায় ইরান এগিয়ে তো, সাঁজোয়া যানের দিক থেকে এগিয়ে ইসরায়েল। দুই দেশেরই সামরিক শক্তি অনেক বেশি। চলুন একটি তুলনামূলক রিপোর্ট জানা যাক।
নিয়মিত সৈন্য: গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার-এর তথ্য, সৈন্য সংখ্যার হিসেবে ইসরায়েলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ইরান।দেশটির নিয়মিত সেনার সংখ্যা ১১ লাখ ৮০ হাজার। ইসরায়েলের সৈন্য ৬ লাখ ৭০ হাজার। ইরানের রিজার্ভ সৈন্য সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ আর ইসরায়েলের রিজার্ভ সেনা আছে ৪ লাখ ৬৫ হাজার।
সামরিক খাতে ব্যয়: ইরান ও ইসরায়েল দুই দেশই প্রতিরক্ষা খাতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে। তবে বাৎসরিক সামরিক বাজেটে ইরানের তুলনায় ইসরায়েলের ব্যয় দ্বিগুণেরও বেশি। দেশটি প্রতিবছর প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করে ২৪৪০ কোটি ডলার। অন্যদিকে ইরানের বাজেট ৯৯৫ কোটি ডলার। বিশ্ব র্যাংকিংয়ের ১৪৫ দেশের মধ্যে ইরান ৩৩তমঅবস্থানে। অন্যদিকে ইসরায়েল ১৯ তম অবস্থানে রয়েছে।
আরো পড়ুন:
ইরানে কৌশলগত মার্কিন অস্ত্রের ব্যবহার হবে বিপর্যয়কর: রাশিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য ইরান হামলায় যুক্তরাজ্যের অংশগ্রহণ ‘অবৈধ’: ব্রিটিশ অ্যাটর্নি জেনারেল
যুদ্ধ বিমান: সামরিক বিমানের সংখ্যা ইরানের চেয়ে ইসরায়েলের বেশি। ইরানের মোট সামরিক বিমান রয়েছে ৫৫১টি আর ইসরায়েলের আছে ৬১২টি। এর মধ্যে ইরানের যুদ্ধ বিমান আছে ১৮৬টি। আর ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান আছে ২৪১টি। ইরানের অ্যাটাকিং বিমান সংখ্যা ২৩টি যেখানে ইসরায়েলের আছে ৩৯টি। পরিবহন বিমানের দিক দিয়ে ইরান এগিয়ে। ইরানের পরিবহন বিমান রয়েছে ৮৬টি ইসরায়েলের আছে ১২টি। ইরানের প্রশিক্ষণ বিমান রয়েছে ১০২টি আর ইসরায়েলের রয়েছে ১৫৫টি।
হেলিকপ্টার: গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইরানের হেলিকপ্টারের সংখ্যা ইসরায়েলের চেয়ে বেশি। দেশটির হেলিকপ্টার রয়েছে ১২৯টি আর ইসরায়েলের ১৪৬টি। এদিকে অ্যাটাক হেলিকপ্টার ইসরায়েলের বেশি। দেশটির ৪৮টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার রয়েছে। ইরানের অ্যাটক হেলিকপ্টারের সংখ্যা ১৩টি।
ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান: সাঁজোয়া যানের দিক থেকে ইসরায়েলের চাইতে এগিয়ে আছে ইরান। যেখানে ইসরায়েলের ট্যাংক আছে ১৩৭০টি, সেখানে ইরানের সাঁজোয়া ট্যাংকের সংখ্যা ১৯৯৬টি। কিন্তু সাঁজোয়া যানের দিক থেকে এগিয়ে ইসরায়েল। ইরানের সাঁজোয়া যানের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৭৬৫টি আর ইসরায়েলের আছে ৪৩ হাজার ৪০৩টি। আর্টিলারি সক্ষমতায় এগিয়ে ইরান। দেশটিতে রকেট আর্টিলারি এমএলআরএস এর সংখ্যা ৭৭৫টি এবং সেলফ প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা ৫৮০টি। অন্যদিকে ইসরায়েলের এ দিক থেকে সেফল প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা ৬৫০টি এবং এমএলআরএস বা রকেট আর্টিলারির সংখ্যা ১৫০টি।
নৌ শক্তি: ইরান নৌবাহিনীর শক্তির দিক থেকে ইসরায়েলের চেয়ে অনেক এগিয়ে। দেশটিতে ১০১টি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে যেখানে ৭টি ফ্রিগেট এবং ২১টি টহল জাহাজ রয়েছে। যেখানে ইসরায়েলের যুদ্ধজাহাজ সংখ্যা ৬৭টি। এগুলোর মধ্যে জাহাজ আছে ৪৫টি এবং ইসরায়েলের কোনো ফ্রিগেট নেই। সাবমেরিনের দিক থেকেও ইরান শক্তিশালী। দেশটির সাবমেরিন আছে ১৯টি যেখানে ইসরায়েলের সাবমেরিন আছে ৫টি।
পারমাণবিক শক্তি: বিশ্বের যে নয়টি দেশের কাছে পারমাণবিক শক্তি রয়েছে ইসরায়েল সেগুলোর একটি। এই তালিকায় ইরানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পারমাণবিক অস্ত্র কখনোই ছিল না।
যে তথ্য জানা যায় না: যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত কয়েক বছরে দাবি করেছে যে, ইরান তাদের ইউরেনিয়ামের মজুদ দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। যদিও এই দাবি উড়িয়ে দেয়নি ইরান, কিন্তু দেশটি বলছে তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল আর ইসর য় ল র র ইসর য় ল র ইসর য় ল র চ আর ট ল র দ শট র
এছাড়াও পড়ুন:
ইরান নাকি ইসরায়েল, সামরিক শক্তিতে কোন দেশ এগিয়ে?
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ সহসা থামবে বলে মনে হচ্ছে না। যুদ্ধের উত্তেজনা দিন দিন বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে দুই দেশের সাধারণ নাগরিকের আহত, নিহত ও বাস্তুচ্যুত হওয়ার সংখ্যাও। শেষ পর্যন্ত কোন দেশ যুদ্ধে এগিয়ে থাকবে বলা যাচ্ছে না। নিয়মিত সৈন্য সংখ্যায় ইরান এগিয়ে তো, সাঁজোয়া যানের দিক থেকে এগিয়ে ইসরায়েল। দুই দেশেরই সামরিক শক্তি অনেক বেশি। চলুন একটি তুলনামূলক রিপোর্ট জানা যাক।
নিয়মিত সৈন্য: গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার-এর তথ্য, সৈন্য সংখ্যার হিসেবে ইসরায়েলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ইরান।দেশটির নিয়মিত সেনার সংখ্যা ১১ লাখ ৮০ হাজার। ইসরায়েলের সৈন্য ৬ লাখ ৭০ হাজার। ইরানের রিজার্ভ সৈন্য সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ আর ইসরায়েলের রিজার্ভ সেনা আছে ৪ লাখ ৬৫ হাজার।
সামরিক খাতে ব্যয়: ইরান ও ইসরায়েল দুই দেশই প্রতিরক্ষা খাতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে। তবে বাৎসরিক সামরিক বাজেটে ইরানের তুলনায় ইসরায়েলের ব্যয় দ্বিগুণেরও বেশি। দেশটি প্রতিবছর প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করে ২৪৪০ কোটি ডলার। অন্যদিকে ইরানের বাজেট ৯৯৫ কোটি ডলার। বিশ্ব র্যাংকিংয়ের ১৪৫ দেশের মধ্যে ইরান ৩৩তমঅবস্থানে। অন্যদিকে ইসরায়েল ১৯ তম অবস্থানে রয়েছে।
আরো পড়ুন:
ইরানে কৌশলগত মার্কিন অস্ত্রের ব্যবহার হবে বিপর্যয়কর: রাশিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য ইরান হামলায় যুক্তরাজ্যের অংশগ্রহণ ‘অবৈধ’: ব্রিটিশ অ্যাটর্নি জেনারেল
যুদ্ধ বিমান: সামরিক বিমানের সংখ্যা ইরানের চেয়ে ইসরায়েলের বেশি। ইরানের মোট সামরিক বিমান রয়েছে ৫৫১টি আর ইসরায়েলের আছে ৬১২টি। এর মধ্যে ইরানের যুদ্ধ বিমান আছে ১৮৬টি। আর ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান আছে ২৪১টি। ইরানের অ্যাটাকিং বিমান সংখ্যা ২৩টি যেখানে ইসরায়েলের আছে ৩৯টি। পরিবহন বিমানের দিক দিয়ে ইরান এগিয়ে। ইরানের পরিবহন বিমান রয়েছে ৮৬টি ইসরায়েলের আছে ১২টি। ইরানের প্রশিক্ষণ বিমান রয়েছে ১০২টি আর ইসরায়েলের রয়েছে ১৫৫টি।
হেলিকপ্টার: গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইরানের হেলিকপ্টারের সংখ্যা ইসরায়েলের চেয়ে বেশি। দেশটির হেলিকপ্টার রয়েছে ১২৯টি আর ইসরায়েলের ১৪৬টি। এদিকে অ্যাটাক হেলিকপ্টার ইসরায়েলের বেশি। দেশটির ৪৮টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার রয়েছে। ইরানের অ্যাটক হেলিকপ্টারের সংখ্যা ১৩টি।
ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান: সাঁজোয়া যানের দিক থেকে ইসরায়েলের চাইতে এগিয়ে আছে ইরান। যেখানে ইসরায়েলের ট্যাংক আছে ১৩৭০টি, সেখানে ইরানের সাঁজোয়া ট্যাংকের সংখ্যা ১৯৯৬টি। কিন্তু সাঁজোয়া যানের দিক থেকে এগিয়ে ইসরায়েল। ইরানের সাঁজোয়া যানের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৭৬৫টি আর ইসরায়েলের আছে ৪৩ হাজার ৪০৩টি। আর্টিলারি সক্ষমতায় এগিয়ে ইরান। দেশটিতে রকেট আর্টিলারি এমএলআরএস এর সংখ্যা ৭৭৫টি এবং সেলফ প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা ৫৮০টি। অন্যদিকে ইসরায়েলের এ দিক থেকে সেফল প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা ৬৫০টি এবং এমএলআরএস বা রকেট আর্টিলারির সংখ্যা ১৫০টি।
নৌ শক্তি: ইরান নৌবাহিনীর শক্তির দিক থেকে ইসরায়েলের চেয়ে অনেক এগিয়ে। দেশটিতে ১০১টি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে যেখানে ৭টি ফ্রিগেট এবং ২১টি টহল জাহাজ রয়েছে। যেখানে ইসরায়েলের যুদ্ধজাহাজ সংখ্যা ৬৭টি। এগুলোর মধ্যে জাহাজ আছে ৪৫টি এবং ইসরায়েলের কোনো ফ্রিগেট নেই। সাবমেরিনের দিক থেকেও ইরান শক্তিশালী। দেশটির সাবমেরিন আছে ১৯টি যেখানে ইসরায়েলের সাবমেরিন আছে ৫টি।
পারমাণবিক শক্তি: বিশ্বের যে নয়টি দেশের কাছে পারমাণবিক শক্তি রয়েছে ইসরায়েল সেগুলোর একটি। এই তালিকায় ইরানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পারমাণবিক অস্ত্র কখনোই ছিল না।
যে তথ্য জানা যায় না: যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত কয়েক বছরে দাবি করেছে যে, ইরান তাদের ইউরেনিয়ামের মজুদ দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। যদিও এই দাবি উড়িয়ে দেয়নি ইরান, কিন্তু দেশটি বলছে তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ।
ঢাকা/লিপি