ফতুল্লার স্টেডিয়াম এলাকায় রাস্তা পারাপারে ফুট ওভার ব্রীজ, সড়ক সংস্কার ও ড্রেন নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ফতুল্লা ও কুতুবপুর ইউনিয়ন এলাকাবাসী। 

শুক্রবার (২০ জুন) বিকেল ৪ টায় ফতুল্লার স্টেডিয়াম সংলগ্ন লিংক রোডে  এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজক ও সঞ্চচালক সেলিম মুন্সির সভাপতিত্বে মাননবন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার। 

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি মন্টু মেম্বার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ও শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান আব্দুল্লাহ আল-আমীন। 

উপস্থিত বিশেষ অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবু তাহের মোল্লা, বিশিষ্ট সমাজসেবক মনির হোসেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি ৮ নং ওয়ার্ড  সাংগঠনিক সম্পাদক অলিউল্লাহ খোকন, ফতুল্লা থানা তাঁতি দলের সাভাপতি ঈমন, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক ব্রাইট স্টার ক্লাবের সভাপতি আশরাফ উদ্দিন জুয়েল, জাতীয় নাগরিক পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয়কারী সদস্য জাবেদ আলম, জাতীয় নাগরিক পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয়কারী আব্দুর রহমান গাফ্ফারী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা মুখপাত্র মো.

জহিরুল ইসলাম।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুতুবপুর ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো.  শাহাবুদ্দিন মোল্লা, সমাজ সেবক  সহিদুজ্জামান শাহিন, আহসানুল্লাহ অভি, ইমরান হোসেন, আবু জাহের মোল্লা, অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক শিহাব উদ্দিন সাকিব, মো. ইমন, জাহিদুল ইসলাম তানভীর,  সাফোয়ান, মো. হোসেন অন্তর।

এছাড়াও শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। তাদের দাবি ছিল- দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফতুল্লা স্টেডিয়াম বাসস্ট্যান্ডে একটি আধুনিক ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করা, যতদিন পর্যন্ত ওভারব্রিজ নির্মাণ না হয়, ততদিন ট্রাফিক পুলিশ বা নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ করে চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ এবং ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তি রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফতুল্লা স্টেডিয়াম বাস স্ট্যান্ড এলাকাটি নারায়ণগঞ্জের একটি অন্যতম ব্যস্ত ও জনবহুল এলাকা। প্রতিদিন এই স্থানে কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করেন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এখনো কোনো ফুট ওভারব্রিজ নেই, যার ফলে সাধারণ মানুষকে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হতে হচ্ছে।

এরই মধ্যে রাস্তা পার হতে গিয়ে দুইজন মূল্যবান প্রাণ হারিয়েছেন। অথচ এই এলাকা ঘিরে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মার্কেট, সরকারী ও বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ লক্ষ লক্ষ বাসিন্দাদের নিয়মিত যাতায়াত। বর্তমানে এখানে পরিস্থিতি এতটাই নাজুক যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এই অবস্থা নিরসনে বক্তাগন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট একটি ফুট ওভারব্রিজ স্থাপনের জোর  দাবি করেন। সেই সাথে একসময় দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসনে একটি পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা করার পদক্ষেপ নেয়ার দাবি করেন। 

বক্তারা আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের এই ন্যায্য দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। মানবিক বিবেচনায় মানুষের প্রাণ রক্ষার এই উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ মূল্যয়ণ করবেন।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ জ ল উপস থ ত ছ ল ন অন ষ ঠ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

যে কারণে নারায়ণগঞ্জ-৪ খালি রাখলো বিএনপি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপি নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে ৪টি আসনসহ ২৩৭টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। 
 নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন সহ ৬৩টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি, এর একটা বড় অংশ মিত্র দল ও জোটগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে দলটির একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

বিএনপির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের একজন নেতা জানিয়েছেন, মিত্র দলগুলোর বাইরেও জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি এবং ইসলামপন্থী কিছু দলের সঙ্গে তাদের আসন ভাগাভাগির প্রশ্নে আলোচনা চলছে। এসব দলের জন্য আসন ছেড়ে দিতে হতে পারে বিএনপিকে।
এছাড়াও অনেক আসনে বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ে বেশ কয়েকজন করে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক এবং এসব এলাকায় দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলও মীমাংসা করা যাচ্ছে না। এসব কারণেও ওই আসনগুলো খালি রাখা হয়েছে বলে বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন।

তবে দলটি মিত্র বা অন্য দলগুলোর জন্য শেষ পর্যন্ত কতটা আসনের ছাড় দেবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।

বিএনপির মিত্র একটি জোটের একাধিক নেতা বলেন, তাদের কারও কারও আসনে ছাড় দেওয়ার ব্যাপারে বিএনপি ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু তা চূড়ান্ত হয়নি। এখন আসন সমঝোতার আলোচনা হবে বলে তারা আশা করছেন।
এদিকে আরেকটি সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের নির্বাচনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে বিএনপির জোট ছিল। ফলে ওই নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনটি জোটের জন্য ছেড়ে দেয় বিএনপি। ফলে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মনির হোসেন কাশেমী এই আসনে নির্বাচন করে। ২০২৬ সালের নির্বাচন ঘিরে জোটের পরিধি বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। এরমধ্যে এনসিপি ও বিএনপির মধ্যে আলোচনা চলমান। ধারনা করো হচ্ছে জোটের জন্য বিএনপি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনটি শূন্য রেখেছে। ফলে আলোচনায় রয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মনির হোসেন কাসেমী এবং এনসিপির এনসিপির শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান আবদুল্লাহ আল আমিন। শেষ পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও এনসিপি জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার ইচ্ছাপোষন করলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন পেয়ে যেতে পারেন মনির হোসেন কাসেমী অথবা আবদুল্লাহ আল আলামিন। এমনটাই মনে করছেন বিএনপির একাধিক সূত্র।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যে কারণে নারায়ণগঞ্জ-৪ খালি রাখলো বিএনপি
  • মাদ্রাসা সভাপতির বিরুদ্ধে চোরাচালান মামলা, প্রত্যাহারের দাবিতে শিশুশিক্ষার্থীদের দিয়ে মানববন্ধন
  • বিএলআরআই নিয়োগবিধিতে বৈষম্যের অভিযোগে গবিতে মানববন্ধন
  • ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বামরাইল সেতু সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন
  • সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি ও জবিতে মানববন্ধন
  • ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ জন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ও ৩৩ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত
  • সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারসহ ৫ দফা দাবি
  • সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার ও ২১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
  • চারঘাটে পদ্মার ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন
  • আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি, সালমান শাহ ভক্তদের মানববন্ধন